প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী মাননীয় লরেন্স ওং-এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সিঙ্গাপুরের সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী ওং।
বৈঠকে দুই নেতা ভারত-সিঙ্গাপুর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন। এই সম্পর্ককে সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। এর ফলে ভারতের পূবে সক্রিয় হও নীতির রূপায়ণে গতি আসবে। দু’দেশের বিস্তৃত অর্থনৈতিক সহযোগিতার পরিসর নিয়ে বিশদে আলোচনা করেন দুই নেতা। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত আদান-প্রদান আরও বাড়ানোয় তাঁরা জোর দেন। ভারতের অর্থনৈতিক পরিমণ্ডলে সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগ প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা – একথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী ওই দেশকে নতুন দিল্লির গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করেন। ভারতে দ্রুত ধারাবাহিক বিকাশ সিঙ্গাপুরের সংস্থাগুলির সামনে বিপুল লগ্নির সম্ভাবনার ক্ষেত্র তৈরি করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, সমুদ্র পরিসর সংক্রান্ত সচেতনতা, শিক্ষা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ফিনটেক, নব্য প্রযুক্তি, বিজ্ঞান সংক্রান্ত ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়। দু’দেশের সংযোগের আরও প্রসারে জোর দেন তাঁরা। গ্রিন করিডর প্রকল্প রূপায়ণে গতি আনার বিষয়ে দুই নেতাই গুরুত্ব আরোপ করেন।
২০২৪-এর আগস্টে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ভারত-সিঙ্গাপুর মন্ত্রী পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকের ফলাফল নিয়ে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা হয়। ওই বৈঠকগুলিতে উন্নতমানের উৎপাদন, সংযোগ, ডিজিটালাইজেশন, স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও ওষুধ, দক্ষতা বিকাশ এবং ধারাবাহিক উন্নয়নের ক্ষেত্রগুলিকে সহযোগিতার পরিসর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশেষত সেমি-কন্ডাক্টর ও নব্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী ও ভবিষ্যৎমুখী করে তুলবে বলে দুই প্রধানমন্ত্রী মনে করেন।
২০২৫-এ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৬০তম বার্ষিকী উদযাপনের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সিঙ্গাপুরে ভারতের প্রথম থিরুভাল্লুভার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেন। আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক নানা বিষয় নিয়ে তাঁদের মতবিনিময়ে ভারত-আসিয়ান সমীকরণ এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিষয়গুলি প্রাধান্য পায়।
সেমি-কন্ডাক্টর, ডিজিটাল প্রযুক্তি, দক্ষতা বিকাশ এবং স্বাস্থ্য পরিচর্যা ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন দুই নেতা।