নমস্কার,

সবার আগে প্রফেসার ক্লস শ্বাব আর ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের পুরো টিমকে অভিনন্দন জানাই। বিশ্ব অর্থনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চকে আপনারা এই কঠিন সময়েও সজীব রেখেছেন। এই সময়ে যখন সব থেকে বড় প্রশ্ন হলো বিশ্ব অর্থনীতি কিভাবে এগোবে, সকলের নজর এই ফোরামের দিকে থাকা অত্যন্ত স্বাভাবিক।

বন্ধুগণ,

সমস্ত আকাঙ্খার মাঝে আজ আমি আপনাদের সকলের সামনে ১৩০ কোটি থেকেও বেশি ভারতবাসীর পক্ষ থেকে বিশ্বের জন্য বিশ্বাস, ইতিবাচকতা আর আশার বার্তা নিয়ে এসেছি। যখন করোনা এসেছিল, তখন ভারতের সামনে সমস্যার পাহাড় ছিল। আমার মনে পড়ে, গত বছর ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিলে বিশ্বের অনেক বিখ্যাত অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ এবং বড় বড় সংস্থাগুলি ভারত সম্পর্কে কী বলেছিল। তাঁরা ভবিষ্যদ্বানী করেছিলেন, গোটা বিশ্বে সবচাইতে বেশি করোনা সংক্রমণ হবে ভারতে। ভারতে করোনার সুনামি আসবে। কেউ বললেন ৭০/৮০ কোটি ভারতীবাসীর করোনা হবে, আবার কেউ বলেন ২ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

বিশ্বের বড় বড় এবং আধুনিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সম্পন্ন দেশের সেই সময়ে যে অবস্থা ছিল তা দেখে ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য বিশ্ববাসীর দুশ্চিন্তা অত্যন্ত স্বাভাবিক ছিল। আপনারা আন্দাজ করতে পারেন তখন আমাদের মনের অবস্থা কেমন ছিল। কিন্তু ভারত তার জনগণের মনে নিরাশা ছেয়ে যেতে দেয়নি। ভারত সক্রিয়ভাবে গণ অংশীদারিত্বের দৃষ্টিকোণ নিয়ে এগিয়ে গেছে।

আমরা নির্দিষ্টভাবে কোভিড প্রতিরোধী স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার ওপর জোর দিই। আমরা আমাদের মানব সম্পদকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রশিক্ষিত করি। টেস্টিং এবং ট্র্যাকিং-এর জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগাই।

এই লড়াইয়ে ভারতের প্রত্যেক ব্যক্তি ধৈর্য সহকারে কর্তব্য পালন করেছেন। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি গণ আন্দোলনের রূপ দিয়েছে। আজ ভারত বিশ্বের সেই দেশগুলির অন্যতম যে দেশে অধিকাংশ নাগরিকের জীবন রক্ষায় সাফল্য এসেছে আর করোনা সংক্রমিত মানুষের সংখ্যাও নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। যেভাবে প্রভূ স্যার বলেছেন, এখন সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা দ্রুত গতিতে হ্রাস পাচ্ছে।

বন্ধুগণ,

ভারতের সাফল্যকে অন্য কোনো দেশের সাফল্যের তুলনায় পরিমাপ করা উচিত হবে না। যে দেশে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ বসবাস করেন, সে দেশ করোনাকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে গোটা বিশ্বকে, সমগ্র মানবতাকে বড় বিপর্যয় থেকে বাঁচিয়েছে।

করোনা শুরু হওয়ার সময় মাস্ক পিপিই কিট, টেস্ট কিট আমরা বিদেশ থেকে আমদানি করতাম। আজ আমরা নিজেদের দেশে এগুলি উৎপাদনের মাধ্যমে নিজেদের প্রয়োজন পুরো করে বিদেশেও রপ্তানি করার মাধ্যমে মানবতার সেবাও করছি। আর আজ ভারতেই বিশ্বে সর্ববৃহৎ করোনার টিকাকরণ কর্মসূচী শুরু হয়েছে।

প্রথম পর্যায়ে আমরা আমাদের ৩ কোটি স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে অগ্রণী কোভিড যোদ্ধাদের টিকাকরণ করাচ্ছি। ভারতে কী হারে টিকাকরণ হচ্ছে তা পরিসংখ্যান দিলেই বুঝতে পারবেন। মাত্র ১২ দিনে ভারত ২.৩ মিলিয়ন থেকেও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী ও অন্যান্য ক্ষেত্রে অগ্রণী কোভিড যোদ্ধাদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করেছে। আগামী কয়েক মাসে আমরা আমাদের প্রায় ৩০ কোটি সিনিয়র সিটিজেন এবং কোমর্বিডিটি রোগীদের টিকাকরণের লক্ষ্য বাস্তবায়িত করবো।

বন্ধুগণ,

সর্বে সন্তু নিরাময়া – গোটা বিশ্ব সুস্থ থাকুক; ভারতের এই কয়েক হাজার বছরের পুরোনো প্রার্থনা, এই দর্শন মেনে এই সঙ্কটকালে ভারত গোড়া থেকেই তার আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালন করছে। যখন বিশ্বের অনেক দেশে আকাশ পথে যাত্রা বন্ধ ছিল, তখন ১ লক্ষেরও বেশি বিদেশী নাগরিককে তাঁদের দেশে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি ভারত ১৫০টিরও বেশি দেশে প্রয়োজনীয় ঔষধ ও স্বাস্থ্য সরঞ্জাম পাঠিয়েছে। অনেক দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের ভারতে অনলাইন প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ভারতের পরম্পরাগত চিকিৎসা পদ্ধতি – আয়ুর্বেদ কিভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষেত্রে সহায়ক হয়ে উঠতে পারে সে বিষয়ে আমরা বিশ্ববাসীকে পথ দেখিয়েছি।

আজ ভারত কোভিডের টিকা পৃথিবীর অনেক দেশে পাঠিয়ে, সেসব দেশের টিকাকরণের পরিকাঠামো গড়ার কাজে সাহায্য করে অন্যান্য দেশেরও মানুষদেরও জীবন বাঁচাচ্ছি। আর এটা শুনে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সমস্ত সদস্যরা খুশি হবেন এখন বিশ্বে কেবলমাত্র দুটি ভারতে তৈরি করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে। আগামী দিনে আরও অনেক টিকা ভারতেই তৈরি হতে চলেছে। এই টিকাগুলি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আরও বেশি পরিমাণে দ্রুত গতিতে সাহায্য করতে সফল হবে।

ভারতের সাফল্যের এই চিত্র, ভারতের সামর্থের এই চিত্র তুলে ধরে অর্থনৈতিক বিশ্বকে আমি আশ্বস্ত করছি, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি দ্রুত গতিতে উন্নত হবে। করোনার সময়েও ভারত পরিকাঠামো ক্ষেত্রে লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প শুরু করে কর্মসংস্থানের জন্য বিশেষ প্রকল্প শুরু করে অর্থনৈতিক গতিবিধি জারি রেখেছে। তখন আমরা একেক জনের জীবন বাঁচানোর দিকে জোর দিয়েছিলাম। এখন ভারতের প্রত্যেক মানুষের জীবন দেশের উন্নয়নের জন্য উৎসর্গীকৃত।

এখন ভারত আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার সংকল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছে। ভারতের আত্মনির্ভরতার এই আকাঙ্খা বিশ্বায়নকে নতুনভাবে শক্তিশালী করবে। আর আমি স্থিরনিশ্চিত, এই অভিযান ‘ইন্ডাস্ট্রি ফোর পয়েন্ট জিরো’ থেকেও অনেক বড় সহায়তা পাবে। এর পেছনে যেমন কারণ রয়েছে, এই ভরসার ভিত্তিও রয়েছে।

বন্ধুগণ,

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘ইন্ডাস্ট্রি ফোর পয়েন্ট জিরো’-র চারটি মুখ্য উপাদান থাকবে। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, অটোমেশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা মেশিন লার্নিং এবং রিয়েলটাইম ডেটা। আজ ভারত বিশ্বের সেই দেশগুলির অন্যতম যেখানে সব চাইতে কম দামে ডেটা পাওয়া যায়, যেখানে দূর দূরান্তের প্রতিটি অঞ্চলে মোবাইল ফোন সংযোগ পাওয়া যায়, স্মার্ট ফোন রয়েছে। ভারতের অটোমেশন, নকশার বিশেষজ্ঞদের সংখ্যাও অনেক বড় আর অধিকাংশ আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলির ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টারগুলি ভারতেই রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা মেশিন লার্নিং-এর ক্ষেত্রে ভারতের সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়াররা অনেক বছর ধরেই নিজেদের সামর্থের মাধ্যমে বিশ্ববাসী তথা মানবতার সেবা করে আসছেন।

বন্ধুগণ,

বিগত ৬ বছরে ভারতে যেভাবে ডিজিটাল পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ হয়েছে তা ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বিশেষজ্ঞদের জন্যও একটি গবেষণার বিষয়। এই পরিকাঠামো ডিজিটাল সলিউশনগুলিকে ভারতের জনগণের দৈনন্দিন জীবনের অংশ করে তুলেছে। আজ ভারতে ১৩০ কোটিরও বেশি মানুষের কাছে ইউনিভার্সাল আইডি বা আধার কার্ড রয়েছে। জনগণের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ইউনিভার্সাল আইডি তাদের মোবাইল ফোনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। কেবলমাত্র গত ডিসেম্বর মাসেই ভারতে চার ট্রিলিয়ন টাকা লেনদেন ইউপিআই-এর মাধ্যমে হয়েছে। দেশের ব্যাঙ্কিং সেক্টরে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা জানেন, কিভাবে বিশ্বের বড় বড় দেশ ভারতের প্রযুক্তিবিদদের দ্বারা তৈরি ইউপিআই ব্যবস্থাকে নিজেদের দেশে চালু করার চেষ্টা করছে।

বন্ধুগণ,

আমরা এটাও দেখেছি, যে করোনা সঙ্কটের সময় অনেক দেশ দুশ্চিন্তায় ছিল – কিভাবে তাদের নাগরিকদের কাছে আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দেবে? আপনারা শুনে চমকে যাবেন, সেই সময় ভারত ৭৬ কোটিরও বেশি নাগরিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১.৮ ট্রিলিয়ন থেকেও বেশি টাকা সরাসরি জমা করেছে। এটি ভারতের শক্তিশালী ডিজিটাল পরিকাঠামো শক্তির উদাহরণ। আমাদের ডিজিটাল পরিকাঠামো গণ সরবরাহ ব্যবস্থাকেও দক্ষ করে তুলেছে। আর স্বচ্ছতাও বাড়িয়েছে। এখন ভারত তার ১৩০ কোটি নাগরিকের স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও সহজ করে তুলতে ইউনিক হেল্থ আইডি দেওয়ার অভিযানও শুরু করছে।

বন্ধুগণ,

আমি আজ এই প্রতিষ্ঠিত ফোরামে সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, ভারতের প্রতিটি সাফল্য, গোটা বিশ্বের সাফল্যের সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। আজ আমরা যে আত্মনির্ভর ভারত অভিযান চালু করেছি এতেও আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহণ এবং আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খলের প্রতি সম্পূর্ণ দায়বদ্ধতা রয়েছে। ভারতের আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খলকে শক্তিশালী করার সামর্থ রয়েছে, ক্ষমতাও রয়েছে; আর সব চাইতে বড় কথা হলো বিশ্বস্ততাও রয়েছে। আজ ভারতে অনেক বড় উপভোক্তা ভিত্তি রয়েছে। আর এটি যত বিস্তারিত হবে, বিশ্ব অর্থনীতি ততই লাভবান হবে।

বন্ধুগণ,

প্রফেসর ক্লজ শ্বাব কখনো বলেছিলেন, ভারত সম্ভাবনাপূর্ণ আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়। আমি আজ তাঁর সঙ্গে জুড়বো, ভারত অনেক সম্ভাবনার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ, নতুন প্রাণশক্তিতে ভরপুর। বিগত বছরগুলিতে ভারত সংস্কার এবং ‘ইনসেনটিভস বেসড স্টিমুলাস’ গঠনে অনেক জোর দিয়েছে।

করোনা এই সময়েও ভারত প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে গঠনগত সংস্কারের গতি দ্রুত করেছে। এই সংস্কারগুলিকে ‘প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভস’ এর মাধ্যমে সাহায্য করা হচ্ছে। এখন ভারতে কর ব্যবস্থা থেকে শুরু করে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নিয়মাবলী পর্যন্ত সবই অনুমেয় এবং পরিবেশবান্ধব।

ভারতে ‘ইজ অফ্ ডুইং বিজনেস’-এর পরিস্থিতি দ্রুত উন্নয়নের লক্ষ্যেও অনেক কাজ চলছে। আরেকটি বিশেষ বিষয় হল ভারত তার উন্নয়নকে আবহাওয়া পরিবর্তন রোধের লক্ষ্যের সঙ্গে দ্রুত গতিতে সমানতালে মেলাতে পারছে।

বন্ধুগণ,

‘ইন্ডাস্ট্রি ফোর পয়েন্ট জিরো’ নিয়ে শুরু হওয়া এই আলোচনার মাঝে আমাদের আরেকটা কথা মনে রাখতে হবে, করোনা সঙ্কট আমাদের মানবিকতার মূল্যবোধগুলিকে আরেকবার মনে করিয়ে দিয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে ‘ইন্ডাস্ট্রি ফোর পয়েন্ট জিরো’-ও রোবটের জন্য নয়, মানুষের জন্য। আমাদের এটা সুনিশ্চিত করতে হবে যে প্রযুক্তি যেন কোনো ফাঁদ না হয়ে ওঠে, ইজ অফ্ লিভিং -এর সরঞ্জাম হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, আমরা এক্ষেত্রে সফল হবো।

এই বিশ্বাস নিয়ে আমি এই প্রশ্নোত্তর পর্বের দিকে এগিয়ে যেতে চাইবো। চলুন এগোই....

ধন্যবাদ!

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India’s upward surge: Driving global markets with homegrown success

Media Coverage

India’s upward surge: Driving global markets with homegrown success
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
The National Games are a celebration of India's incredible sporting talent: PM Modi in Dehradun
January 28, 2025
It is a celebration of India's incredible sporting talent and showcases the spirit of athletes from across the country: PM
We consider sports as a key driver for India's holistic development: PM
We are creating more and more opportunities for our athletes so they can enhance their potential to the fullest: PM
India is making a strong push to host the 2036 Olympics: PM
The National Games is more than just a sporting event, It is a great platform to showcase the spirit of 'Ek Bharat, Shreshtha Bharat,’ It is a celebration of India's rich diversity and unity: PM

भारत माता की जय!

देवभूमि उत्तराखंड के गवर्नर गुरमीत सिंह जी, युवा मुख्यमंत्री पुष्कर धामी जी, मंत्रिमंडल के मेरे सहयोगी अजय टम्टा जी, रक्षा खडसे जी, उत्तराखंड असेंबली की स्पीकर रितु खंडूरी जी, स्पोर्ट्स मिनिस्टर रेखा आर्य जी, कॉमनवेल्थ गेम्स के प्रेसिडेंट क्रिस जेनकिंस जी, IOA की प्रेसिडेंट पी.टी. ऊषा जी, सांसद महेंद्र भट्ट जी, राष्ट्रीय खेलों में शामिल होने आए देशभर के सभी खिलाड़ी, अन्य महानुभाव!

देवभूमि आज युवा ऊर्जा से और दिव्य हो उठी है। बाबा केदार, बद्रीनाथ जी, मां गंगा के शुभाशीष के साथ, आज नेशनल गेम्स शुरु हो रहे हैं। ये वर्ष उत्तराखंड के निर्माण का 25वां वर्ष है। इस युवा राज्य में, देश के कोने-कोने से आए हजारों युवा अपना सामर्थ्य दिखाने वाले हैं। एक भारत-श्रेष्ठ भारत की बड़ी सुंदर तस्वीर यहां दिख रही है। नेशनल गेम्स में इस बार भी कई देसी पारंपरिक खेलों को शामिल किया गया है। इस बार के नेशनल गेम्स, एक प्रकार से ग्रीन गेम्स भी हैं। इसमें environment friendly चीजों का काफी इस्तेमाल हो रहा है। नेशनल गेम्स में मिलने वाले सभी मेडल और ट्रॉफियां भी ई-वेस्ट से बनी हैं। मेडल जीतने वाले खिलाड़ियों के नाम पर यहां एक पौधा भी लगाया जाएगा। ये बहुत ही अच्छी पहल है। मैं सभी खिलाड़ियों को, बेहतरीन प्रदर्शन के लिए शुभकामनाएं देता हूं। मैं धामी जी और उनकी पूरी टीम को, उत्तराखंड के हर नागरिक को इस शानदार आयोजन के लिए बधाई देता हूं।

साथियों,

हम अक्सर सुनते हैं, सोना तप कर खरा होता है। हम खिलाड़ियों के लिए भी ज्यादा से ज्यादा मौके बना रहे हैं, ताकि वे अपने सामर्थ्य को और निखार सकें। आज साल भर में कई टूर्नामेंट्स आयोजित किए जा रहे हैं। खेलो इंडिया सीरीज में कई सारे नए टूर्नामेंट्स जोड़े गए हैं। खेलो इंडिया यूथ गेम्स की वजह से यंग प्लेयर्स को आगे बढ़ने का मौका मिला है यूनिवर्सिटी गेम्स, यूनिवर्सिटी के स्टूडेंट्स को नए अवसर दे रहे हैं। खेलो इंडिया पैरा गेम्स से पैरा एथलीट्स की परफॉर्मेंस नए-नए अचीवमेंट कर रही है। अभी कुछ दिन पहले ही लद्दाख में खेलो इंडिया विंटर गेम्स का पांचवां एडिशन शुरू हो चुका है। पिछले साल ही हमने बीच गेम्स का आयोजन किया था।

और साथियों,

ऐसा नहीं है कि ये सारे काम सिर्फ सरकार ही करा रही है। आज भाजपा के सैकड़ों सांसद नए टैलेंट को आगे लाने के लिए अपने क्षेत्रों में सांसद खेल कूद स्पर्धा करा रहे हैं। मैं भी काशी का सांसद हूं, अगर मैं सिर्फ अपने संसदीय क्षेत्र की बात करूं, तो सांसद खेल प्रतियोगिता में हर साल काशी संसदीय क्षेत्र में करीब ढाई लाख युवाओं को खेलने का, खिलने का मौका मिल रहा है। यानि देश में खेलों का एक खूबसूरत गुलदस्ता तैयार हो गया है, जिसमें हर सीजन में फूल खिलते हैं, लगातार टूर्नामेंट होते हैं।

साथियों,

हम स्पोर्ट्स को भारत के सर्वांगीण विकास का एक प्रमुख माध्यम मानते हैं। जब कोई देश स्पोर्ट्स में आगे बढता है, तो देश की साख भी बढ़ती है, देश का प्रोफाइल भी बढ़ता है। इसलिए, आज स्पोर्ट्स को भारत के विकास से जोड़ा जा रहा है। हम इसे भारत के युवाओं के आत्मविश्वास से जोड़ रहे हैं। आज भारत, दुनिया की तीसरी बड़ी आर्थिक ताकत बनने की ओर अग्रसर है, इसमें स्पोर्ट्स इकोनॉमी का बड़ा हिस्सा हो, ये हमारा प्रयास है। आप जानते हैं, किसी स्पोर्ट्स में सिर्फ एक खिलाड़ी ही नहीं खेलता, उसके पीछे एक पूरा इकोसिस्टम होता है। कोच होते हैं, ट्रेनर होते हैं, न्यूट्रिशन और फिटनेस पर ध्यान देने वाले लोग होते हैं, डॉक्टर होते हैं, इक्विपमेंट्स होते हैं। यानि इसमें सर्विस और मैन्युफैक्चरिंग, दोनों के लिए स्कोप होता है। ये जो अलग-अलग स्पोर्ट्स का सामान पूरी दुनिया के खिलाड़ी यूज़ करते हैं, भारत उनका क्वालिटी मैन्युफेक्चरर बन रहा है। यहां से मेरठ ज्यादा दूर नहीं है। वहां स्पोर्ट्स का सामान बनाने वाली, 35 हज़ार से ज्यादा छोटी-बड़ी फैक्ट्रियां हैं। इनमें तीन लाख से अधिक लोग काम कर रहे हैं। ये इकोसिस्टम देश के कोने-कोने में बने, आज देश इसके लिए काम कर रहा है।

साथियों,

कुछ समय पहले मुझे दिल्ली में अपने आवास पर ओलंपिक्स टीम से मिलने का अवसर मिला। बातचीत के दौरान एक साथी ने, पीएम की नई परिभाषा बताई थी। उन्होंने कहा कि देश के खिलाड़ी मुझे पीएम यानि प्राइम मिनिस्टर नहीं, बल्कि परम मित्र मानते हैं। आपका ये विश्वास ही मुझे ऊर्जा देता है। मेरा आप सभी के टैलेंट पर, आपके सामर्थ्य पर पूरा भरोसा है, हमारी पूरी कोशिश है, आपका सामर्थ्य बढ़े, आपके खेल में और निखार आए। बीते 10 सालों में देखिए, आपके टैलेंट को सपोर्ट करने पर हमने निरंतर फोकस किया है। 10 साल पहले स्पोर्ट्स का जो बजट था, वो आज तीन गुना से ज्यादा हो चुका है। TOPS स्कीम के तहत ही देश के दर्जनों खिलाड़ियों पर सैकड़ों करोड़ रुपए का निवेश किया जा रहा है। खेलो इंडिया प्रोग्राम के तहत देशभर में आधुनिक स्पोर्ट्स इंफ्रास्ट्रक्चर बनाया जा रहा है। आज स्कूल में भी स्पोर्ट्स को मेनस्ट्रीम किया गया है। देश की पहली स्पोर्ट्स यूनिवर्सिटी भी मणिपुर में बन रही है।

साथियों,

सरकार के इन प्रयासों का नतीजा हम ग्राउंड पर देख रहे हैं, मेडल टैली में दिखाई दे रहे हैं। आज हर इंटरनेशनल इवेंट में भारतीय खिलाड़ी अपना परचम लहरा रहे हैं। ओलंपिक्स और पैरालंपिक्स में, हमारे खिलाड़ियों ने कितना अच्छा प्रदर्शन किया है। उत्तराखंड से भी कितने ही खिलाड़ियों ने मेडल जीते हैं। मुझे खुशी है कि बहुत से मेडल विनर आज आपका हौसला बढ़ाने के लिए यहां इस वेन्यू पर भी आए हैं।

साथियों,

हॉकी में पुराने गौरवशाली दिन वापस लौट रहे हैं। अभी कुछ दिन पहले ही हमारी खो-खो टीम ने वर्ल्ड कप जीता है। हमारे गुकेश डी. ने विश्व शतरंज चैंपियनशिप का खिताब जीता, तो दुनिया हैरान रह गई। कोनेरू हम्पी, महिला विश्व रैपिड शतरंज चैंपियन बनीं, ये सफलता दिखाती है कि भारत में कैसे स्पोर्ट्स अब सिर्फ Extra-Curricular Activity नहीं रह गया है। अब हमारे युवा Sports को प्रमुख Career Choice मानकर काम कर रहे हैं।

साथियों,

जैसे हमारे खिलाड़ी हमेशा बड़े लक्ष्य लेकर चलते हैं, वैसे ही, हमारा देश भी बड़े संकल्प लेकर आगे बढ़ रहा है। आप सभी जानते हैं कि भारत, 2036 ओलंपिक्स की मेज़बानी के लिए पूरा ज़ोर लगा रहा है। जब भारत में ओलंपिक होगा, तो वो भारत के स्पोर्ट्स को एक नए आसमान पर ले जाएगा। ओलंपिक्स सिर्फ एक खेल का आयोजन भर नहीं होता, दुनिया के जिन देशों में भी ओलंपिक्स होता है, वहां अनेक सेक्टर्स को गति मिलती है। ओलंपिक्स के लिए जो स्पोर्ट्स इंफ्रास्ट्रक्चर बनता है, उससे भी रोजगार बनता है। भविष्य में खिलाड़ियों के लिए बेहतर सुविधाएं बनती हैं। जिस शहर में ओलंपिक होता है, वहां नया कनेक्टिविटी इंफ्रास्ट्रक्चर बनता है। इससे कंस्ट्रक्शन से जुड़ी इंडस्ट्री को बल मिलता है, ट्रांसपोर्ट से जुड़ा सेक्टर आगे बढ़ता है। और सबसे बड़ा फायदा तो देश के टूरिज्म को मिलता है। अनेकों नए होटल बनते हैं, दुनिया भर से लोग ओलंपिक्स में हिस्सा लेने और गेम्स देखने आते हैं। इसका पूरे देश को फायदा होता है। जैसे ये नेशनल गेम्स का आयोजन, यहां देवभूमि उत्तराखंड में हो रहा है। यहां जो दर्शक, देश के दूसरे हिस्से से आएंगे, वो उत्तराखंड के दूसरे हिस्सों में भी जाएंगे। यानि स्पोर्ट्स के एक इवेंट से सिर्फ खिलाड़ियों को ही फायदा नहीं होता, बल्कि बहुत से अन्य सेक्टर्स की इकोनॉमी भी इससे ग्रो करती है।

साथियों,

आज दुनिया कह रही है, 21वीं सदी भारत की सदी है। और यहां बाबा केदार के दर्शन के बाद मेरे मुंह से, मेरे दिल से अचानक ही निकला था- ये उत्तराखंड का दशक है। मुझे खुशी है कि उत्तराखंड तेज़ी से प्रगति कर रहा है। कल ही उत्तराखंड देश का ऐसा राज्य बना है, जिसने यूनिफॉर्म सिविल कोड, समान नागरिक संहिता लागू की, मैं कभी-कभी इसे सेक्‍युलर सिविल कोड भी कहता हूं। समान नागरिक संहिता, हमारी बेटियाँ, माताओं-बहनों के गरिमापूर्ण जीवन का आधार बनेगी। यूनिफॉर्म सिविल कोड से लोकतंत्र की स्पिरिट को मजबूती मिलेगी, संविधान की भावना मजबूत होगी। और मैं आज यहां स्पोर्ट्स के इस इवेंट में हूं, तो इसे मैं आपसे जोड़कर भी देखता हूं। स्पोर्ट्स-मैन-शिप हमें भेदभाव की हर भावना से दूर करती है, हर जीत, हर मेडल के पीछे का मंत्र होता है- सबका प्रयास। स्पोर्ट्स से हमें टीम भावना के साथ खेलने की प्रेरणा मिलती है। यही भावना यूनिफॉर्म सिविल कोड की भी है। किसी से भेदभाव नहीं, हर कोई बराबर। मैं उत्तराखंड की भाजपा सरकार को इस ऐतिहासिक कदम के लिए बधाई देता हूं।

साथियों,

उत्तराखंड में पहली बार, इतने बड़े पैमाने पर इस तरह के नेशनल इवेंट का आयोजन हो रहा है। ये अपने आप में बहुत बड़ी बात है। इससे यहां रोजगार के भी ज्यादा अवसर बनेंगे, यहां के युवाओं को यहीं पर काम मिलेगा। उत्तराखंड को अपने विकास के लिए और भी नए रास्ते बनाने ही होंगे। अब जैसे उत्तराखंड की अर्थव्यवस्था सिर्फ चार धाम यात्राओं पर निर्भर नहीं रह सकती। सरकार आज सुविधाएं बढ़ाकर इन यात्राओं का आकर्षण लगातार बढ़ा रही है। हर सीजन में श्रद्धालुओं की संख्या भी नए रिकॉर्ड बना रही है। लेकिन इतना काफी नहीं है। उत्तराखंड में शीतकालीन आध्यात्मिक यात्राओं को भी प्रोत्साहित करना जरूरी है। मुझे खुशी है कि इस दिशा में भी उत्तराखंड में कुछ नए कदम उठाए गए हैं।

साथियों,

उत्तराखंड एक प्रकार से मेरा दूसरा घर है। मेरी भी इच्छा है कि मैं शीतकालीन यात्राओं का हिस्सा बनूं। मैं देशभर के युवाओं से भी कहूंगा कि सर्दियों में जरूर उत्तराखंड आएं। तब यहां श्रद्धालुओं की संख्या भी उतनी नहीं होती। आपके लिए एडवेंचर से जुड़ी एक्टिविटीज़ की बहुत संभावना यहां पर है। आप सभी एथलीट्स भी नेशनल गेम्स के बाद इनके बारे में जरूर पता करिएगा और हो सके तो देवभूमि के आतिथ्य का और ज्यादा दिनों तक आनंद उठाइएगा।

साथियों,

आप सभी अपने-अपने राज्यों को रिप्रज़ेंट करते हैं। आने वाले दिनों में आप यहां कड़ी स्पर्धा करेंगे। अनेक नेशनल रिकॉर्ड टूटेंगे, नए रिकॉर्ड बनेंगे। आप पूरे सामर्थ्य के अनुसार अपना शत-प्रतिशत देंगे, लेकिन मेरा आपसे कुछ आग्रह भी हैं। ये नेशनल गेम्स सिर्फ खेल की ही स्पर्धा नहीं है, ये एक भारत श्रेष्ठ भारत का भी एक मजबूत मंच है। ये भारत की विविधता को सेलिब्रेट करने का आयोजन है। आप कोशिश करें, आपके मेडल में, भारत की एकता और श्रेष्ठता की चमक भी नजर आए। आप यहां से देश के अलग-अलग राज्यों की भाषा, खान-पान, गीत-संगीत की बेहतर जानकारी लेकर जाएं। मेरा एक आग्रह स्वच्छता को लेकर भी है। देवभूमि के निवासियों के प्रयासों से उत्तराखंड प्लास्टिक मुक्त बनने की दिशा में काफी मेहनत कर रहा है, आगे बढ़ने का प्रयास कर रहा है। प्लास्टिक मुक्त उत्तराखंड का संकल्प, आपके सहयोग के बिना पूरा नहीं हो सकता। इस अभियान को सफल बनाने में जरूर अपना योगदान दें।

साथियों,

आप सभी फिटनेस का महत्व समझते हैं। इसलिए मैं आज एक ऐसी चुनौती की बात भी करना चाहता हूं, जो बहुत जरूरी है। आंकड़े कहते हैं कि हमारे देश में Obesity की, मोटापे की समस्या तेजी से बढ़ रही है। देश का हर एज ग्रुप, और य़ुवा भी इससे बुरी तरह से प्रभावित हो रहे हैं। और ये चिंता की बात इसलिए भी है, क्योंकि Obesity, मोटापे की वजह से Diabetes, Heart disease जैसी बीमारियों का रिस्क बढ़ रहा है। मुझे संतोष है कि आज देश Fit India Movement के माध्यम से फिटनेस और Healthy Lifestyle के लिए जागरूक हो रहा है। ये नेशनल गेम्स भी, हमें ये सिखाते हैं कि Physical Activity, Discipline और Balanced Life कितनी जरूरी है। आज मैं देशवासियों से कहूंगा, दो चीजों पर जरूर फोकस करें। ये दो चीजें, Exercise और Diet से जुड़ी हैं। हर दिन, थोड़ा सा समय निकालकर एक्सरसाइज जरूर करिए। टहलने से लेकर वर्क-आउट करने तक, जो भी संभव हो अवश्य कीजिए। दूसरा ये कि अपनी Diet पर फोकस कीजिए। Balanced Intake पर आपका फोकस हो और खाना न्यूट्रिशियस हो, पौष्टिक हो।

एक और चीज हो सकती है। अपने खाने में अन-हेल्दी फैट, तेल को थोड़ा कम करें। अब जैसे हमारे सामान्य घरों में, महीने की शुरुआत में राशन आता है। अब तक अगर आप हर महीने दो लीटर खाने का तेल घर लाते थे, तो इसमें कम से कम 10 प्रतिशत की कटौती करिए। हम हर दिन जितना तेल यूज करते हैं, उसको 10 परसेंट कम करें। ये Obesity से बचने के कुछ रास्ते हमें खोजने पड़ेंगे। ऐसे छोटे-छोटे कदम उठाने से आपकी हेल्थ में बहुत बड़ा चेंज आ सकता है। और यही तो हमारे बड़े-बुजुर्ग करते थे। वो ताजी चीजें, नैचुरल चीजें, Balanced Meals खाते थे। एक स्वस्थ तन ही, स्वस्थ मन और स्वस्थ राष्ट्र का निर्माण कर सकता है। मैं राज्य सरकारों, स्कूलों, ऑफिसों और Community Leaders से भी कहूंगा कि वो इसे लेकर जागरूकता फैलाएं, आप सभी को तो बहुत सारा प्रैक्टिकल एक्सपीरियंस है। मैं चाहता हूं कि आप सही Nutrition की जानकारी निरंतर लोगों तक पहुंचाएं। आइए, हम सब मिलकर एक ‘फिट इंडिया’ बनाएं, इसी आह्वान के साथ।

साथियों,

वैसे मेरा दायित्व होता है नेशनल गेम्स की शुरुआत करवाने का, लेकिन मैं आज आप सबको जोड़कर करना चाहता हूं। तो इस गेम्‍स के शुभारंभ के लिए आप अपने मोबाइल के फ्लैश लाइट चालू कीजिए, आप सब। आप सब अपने मोबाइल के फ्लैश लाइट चालू कीजिए। सबके-सबके मोबाइल के फ्लैश लाइट चालू हों, आप सबके मोबाइल के फ्लैश लाइट चालू हों। आप सबके साथ मिलकर मैं 38वें नेशनल गेम्स की शुरुआत की घोषणा करता हूं। एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत शुभकामनाएं।

धन्यवाद !