রাজ্যসভায় ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বিতীয়বারের জন্য নির্বাচিত হওয়ায় সংসদের উভয়কক্ষ এবং সমস্ত দেশবাসীর পক্ষ থেকে শ্রী হরিবংশ নারায়ণ সিং-কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সামাজিক কাজ এবং সাংবাদিকতার জগতে শ্রী হরিবংশ যে সম্মানের সঙ্গে কাজ করেছেন তাতে তাঁর এক সততার পরিচিতি তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, এই একই অনুভূতি ও সম্মান আজ সভাকক্ষে প্রত্যেক সদস্যের মনেও রয়েছে। তিনি শ্রী হরিবংশের কার্যশৈলীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রী হরিবংশ যেভাবে সভার কাজ পরিচালনা করেছেন তাতে সভাকক্ষের গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হয়েছে ।
চেয়ারম্যানকে সম্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজ্যসভার সদস্যরা সভার কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য ডেপুটি চেয়ারম্যানকে সহায়তা করবেন। তিনি বলেন, হরিবংশ জী বিরোধী দল সহ সকলকেই অন্তর্ভুক্ত করেছেন এবং কোনো পক্ষের মধ্যে কখনও বৈষম্য রাখেননি। তিনি বলেন, সংসদ সদস্যদের নিয়ম মেনে পরিচালনা করা কঠিন কাজ। হরিবংশ জী সেক্ষেত্রে সকলের বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিল পাশ করানোর ক্ষেত্রে হরিবংশ জী ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকেছেন এবং এই দু-বছর তাঁর সাফল্যের সাক্ষী। বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক বিল যা দেশের ভবিষ্যৎ এবং গতিপথে পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, তা এই সভাকক্ষে পাশ হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের এক বছরের মধ্যে এই সভায় বিগত ১০ বছরের সর্বোচ্চ কাজের রেকর্ড গড়ে সভার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা অর্জন করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সভাকক্ষে কার্যক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। প্রত্যেকেই প্রকাশ্যে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পেরেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হরিবংশ জী মাটির মানুষ। তিনি অত্যন্ত সৎ, নম্র। হরিবংশ জী যখন প্রথম সরকারি বৃত্তি পেলেন তখন তিনি সেই অর্থ বাড়িতে না রেখে বই কিনেছিলেন। এই বইয়ের প্রতি হরিবংশ জীর দারুণ টান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রী হরিবংশ জী জয়প্রকাশ নারায়ণের দ্বারা অনুপ্রাণিত। প্রায় চার দশক ধরে সামাজিক ক্ষেত্রে তিনি কাজ করেছেন। ২০১৪ সালে তিনি সংসদে আসেন।
শ্রী মোদী বলেন, হরিবংশ জী তাঁর বিনয়ী আচরণ এবং নম্রতার জন্যই পরিচিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হরিবংশ জী আন্তঃ সংসদীয় ইউনিয়নের মতো সমস্ত আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে এবং অন্যান্য দেশের ভারতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে ভারতের সম্মান নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে কাজ করে চলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হবিবংশ-জী রাজ্যসভায় বেশ কয়েকটি কমিটির চেয়ারম্যান। এরফলে ওই কমিটির কার্যক্ষেত্রে উন্নতিসাধন হয়েছে। তিনি বলেছেন, হরিবংশ-জী সাংসদ সদস্য হওয়ার পরে সমস্ত সাংসদ সদস্যদের আচরণের মধ্যে নৈতিকতা ফুটিয়ে তুলতে সচেষ্ট হয়েছেন। শ্রী মোদী বলেন, সংসদীয় কাজ ও দায়িত্বের মাঝে হরিবংশ-জী একজন বুদ্ধিজীবী ও চিন্তাবীদ হিসেবে সমান দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। জনগণকে ভারতের অর্থনৈতিক, সামাজিক, কৌশলগত ও রাজনৈতিক সমস্যাগুলি সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে এখনও হরিবংশ-জী সারা দেশ ঘুরে বেড়ান। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী চন্দ্রশেখর-জীর জীবন নিয়ে হরিবংশ-জীর লেখা বইয়ে তাঁর লেখনী দক্ষতার প্রতিফলন উঠে এসেছে। আমি এবং এই সভার সমস্ত সদস্য ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে হরিবংশ-জীর দিক নির্দেশনা পাওয়ায় সৌভাগ্যবান।’
প্রধানমন্ত্রী শ্রী হরিবংশ জীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং বলেছেন, আড়াইশোরও বেশি অধিবেশন এই সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে যা ভারতীয় গণতন্ত্রের পরিপক্কতার সাক্ষ্যতা বহন করে নিয়ে চলে।
Harivansh Ji has represented India at many global conferences. Wherever he went, he left a mark and raised India’s prestige: PM @narendramodi in the Rajya Sabha
— PMO India (@PMOIndia) September 14, 2020
Harivansh Ji has made efforts to ensure productivity and positivity are on the rise in Parliament. He is a torchbearer of democracy, hailing from Bihar, a land known for its democratic ethos. It is Bihar that has a close link with JP and Bapu’s Champaran Satyagraha: PM
— PMO India (@PMOIndia) September 14, 2020
Harivansh Ji belongs to all sides of the aisle. He has conducted proceedings in an impartial manner. He has been an outstanding umpire and will continue being so in the times to come. He has always been diligent in performing his duties: PM @narendramodi in the Rajya Sabha
— PMO India (@PMOIndia) September 14, 2020