প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বিলাসপুরে এইমস পরিদর্শন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী হাসপাতাল ভবনের ‘সি’ ব্লকে এসে পৌঁছন। তারপর তিনি এইমস-এর বিলাসপুর ক্যাম্পাসের থ্রি-ডি মডেলটির প্রদর্শন প্রত্যক্ষ করেন এবং তার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যান। প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালের সিটি স্ক্যান সেন্টার এবং এমার্জেন্সি ও ট্রমা বিভাগের মধ্য দিয়ে যান।
দেশজুড়ে স্বাস্থ্যক্ষেত্রকে শক্তিশালী করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি এবং দায়বদ্ধতা আরও একবার দেখা গেল জাতির উদ্দেশে বিলাসপুর এইমস উৎসর্গ করার মাধ্যমে। এই হাসপাতালের শিলান্যাসও করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ২০১৭-র অক্টোবরে এবং এটি স্থাপিত হচ্ছে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনা’র অধীন।
বিলাসপুরের এইমস তৈরি করতে খরচ ১,৪৭০ কোটি টাকারও বেশি। এই অত্যাধুনিক হাসপাতালে আছে ১৮টি স্পেশালিটি ও ১৭টি সুপার স্পেশালিটি বিভাগ, ১৮টি মডিউলার অপারেশন থিয়েটার এবং ৬৪টি আইসিইউ শয্যা সহ ৭৫০টি শয্যা। ২৪৭ একরের বেশি এলাকা জুড়ে থাকা এই হাসপাতালে আছে ২৪ ঘন্টার এমার্জেন্সি এবং ডায়ালিসিসের সুবিধা, আল্ট্রা-সোনোগ্রাফি, সিটি স্ক্যান, এমআরআই ইত্যাদির মতো আধুনিক ডায়াগনস্টিক যন্ত্র, অমৃত ফার্মাসি ও জন ঔষধি কেন্দ্র এবং ৩০ শয্যার আয়ুষ ব্লকও। এই হাসপাতালে ডিজিটাল হেলথ সেন্টারও আছে হিমাচল প্রদেশের আদিবাসী এবং দুরধিগম্য এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের জন্য। কাজা, সালুনি এবং কেলং-এর মতো দুর্গম আদিবাসী এবং হিমালয় সন্নিহিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য শিবিরের মাধ্যমে বিশেষ স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ারও সুবিধা রয়েছে এই হাসপাতালে। প্রতি বছর এই হাসপাতালে এমবিবিএস পাঠক্রমে ১০০ জন এবং নার্সিং পাঠক্রমে ৬০ জন ছাত্রছাত্রীকে ভর্তি করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী জয়রাম ঠাকুর, রাজ্যের রাজ্যপাল শ্রী রাজেন্দ্র বিশ্বনাথ আর্লেকর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর এবং সাংসদ ও বিজেপি জাতীয় সভাপতি শ্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডা।