Ro-Pax service will decrease transportation costs and aid ease of doing business: PM Modi
Connectivity boost given by the ferry service will impact everyone starting from traders to students: PM Modi
Name of Ministry of Shipping will be changed to Ministry of Ports, Shipping and Waterways: PM Modi

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আজ হাজিরায় রো-পাক্স টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন এবং গুজরাট ও হাজিরা ঘোঘা-র মধ্যে রো-পাক্স ফেরি পরিষেবার সূচনা করেছেন। তিনি স্থানীয় পরিষেবা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেছেন। এই অনুষ্ঠানে শ্রী মোদী জাহাজ চলাচল মন্ত্রকের নাম পরিবর্তন করে বন্দর, জাহাজ চলাচল ও জল পরিবহণ মন্ত্রক রেখেছেন।

 

এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আজ গুজরাটবাসী তাঁদের দীপাবলি উপহার পেলেন। এই উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার সুফল সকলেই পাবেন। এর ফলে ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নতি হবে ও আরো দ্রুত যাতায়াত করা যাবে। হাজিরা এবং ঘোঘা-র মধ্যে রো-পাক্স পরিষেবার সূচনা হওয়ার ফলে সৌরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ গুজরাটের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হলো। এর ফলে ১০ থেকে ১২ ঘন্টার পরিবর্তে তিন থেকে চার ঘন্টার মধ্যে যাতায়াত করা যাবে। এতে সময় এবং অর্থ দুইই বাঁচবে। শ্রী মোদী বলেছেন, ৮০,০০০ রেল যাত্রী ও ৩০,০০০ ট্রাক বছরে এই নতুন পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন।

শ্রী মোদী আরও জানিয়েছেন, সৌরাষ্ট্র এবং সুরাটের মধ্যে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠার ফলে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনের মানোন্নয়ন হবে। তিনি আরও বলেছেন, ফল, শাকসব্জি এবং দুধ সহজেই পরিবহণ করা যাবে এবং দূষণের মাত্রা কমবে। যেসমস্ত ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মচারী চ্যালেঞ্জের মধ্যেও সাহসিকতার সঙ্গে এই পরিষেবা গড়ে তুলেছেন তিনি তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ভাবনগর ও সুরাটের মধ্যে নতুন এই জল পরিবহণের কারণে তিনি জনসাধারণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

 

প্রধানমন্ত্রী গত দুই দশকে যেভাবে গুজরাট জাহাজ চলাচলের সম্ভাবনাগুলিকে কাজে লাগাচ্ছে তার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, বন্দরমুখী উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে যা প্রতিটি গুজরাটির কাছে গর্বের বিষয়। রাজ্যের জাহাজ চলাচলকে উন্নত করার জন্য রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেছেন, জাহাজ নির্মাণ নীতি তৈরি করা হয়েছে এছাড়াও জাহাজ নির্মাণ পার্ক ও বিশেষ সুবিধা সম্পন্ন টার্মিনাল, জাহাজ চলাচল ব্যবস্থাপনার উন্নতি এবং উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। তিনি বলেছেন, এই উদ্যোগগুলির ফলে বন্দর ক্ষেত্র নতুন দিশায় এগোচ্ছে। উপকূলবর্তী অঞ্চলের পরিকাঠামোর উন্নয়নের পাশাপাশি সমগ্র অঞ্চলের আধুনিকীকরণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে গুজরাট সমৃদ্ধির প্রবেশ পথে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেছেন, গত দু’ দশকের বেশি সময় ধরে সুসংহত বন্দর গড়ে তোলার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার ফলে গুজরাটে চিরাচরিত বন্দর ব্যবস্থাপনার পরিবর্তনে উন্নত ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করা হচ্ছে। এই উদ্যোগগুলির ফলে গুজরাট দেশের মধ্যে প্রধান সামুদ্রিক বাণিজ্যিক কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। গত বছর দেশের মোট সামুদ্রিক বাণিজ্যের ৪০ শতাংশের বেশি গুজরাটে হয়েছে।

The Prime Minister said today, Gujarat has become a gateway of prosperity due to the efforts of the government in ensuring the development of all types of infrastructure in the coastal area. He said over the past two decades, a unique model of integrated port has evolved from traditional port operations in Gujarat and has developed as a benchmark today. He said the result of these efforts is that the ports of Gujarat have emerged as major maritime centers of the country. Last year, it accounted for more than 40 percent of the country's total maritime trade.

The Prime Minister remarked that today, maritime business-related infrastructure and capacity building in Gujarat is in full swing. Many facilities are getting ready in Gujrat like Gujarat Maritime Cluster, Gujarat Maritime University and country’s first CNG Terminal at Bhavnagar. Gujarat Maritime cluster ports to be built in GIFT city would be a dedicated system to address Ports to sea based Logistics. He said that these clusters would help in strengthening the cooperation between the government, industry and educational institutions and will also help in value addition in this sector.

প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সামুদ্রিক বাণিজ্যিক সংক্রান্ত পরিকাঠামো এবং ক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ গুজরাটে পুরোদমে হচ্ছে। গুজারাট মেরিটাইম ক্লাস্টার, গুজরাট মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি এবং দেশের প্রথম সিএনজি টার্মিনাল ভাবনগরে গড়ে তোলা হচ্ছে। গিফট সিটিতে গুজরাট মেরিটাইম ক্লাস্টার পোর্টস্ গড়ে তোলার ফলে সমুদ্র ভিত্তিক লজিস্টিকের চাহিদা বন্দরগুলি মেটাতে পারছে। এই ক্লাস্টারগুলি সরকার, শিল্প ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সহযোগিতা বাড়াচ্ছে এবং এই ক্ষেত্রে আরও সম্ভাবনা গড়ে তুলছে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের প্রথম রসায়নিক টার্মিনাল গুজরাটের দাহেজে গড়ে তোলা হয়েছে। ভাবনগর বন্দরে দেশের প্রথম সিএনজি টার্মিনাল গড়ে তোলার পাশাপাশি তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের টার্মিনাল আগেই তৈরি করা হয়েছে। রো-রো টার্মিনালের ব্যবস্থা ভাবনগর বন্দরে করা হয়েছে। এছাড়াও তরল পদার্থ নিয়ে জাহাজ চলাচলের জন্য টার্মিনাল তৈরি করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, নতুন এই টার্মিনালগুলির পাশাপাশি ভাবনগর বন্দরের ক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ঘোঘা এবং দাহেজের মধ্যে ফেরি পরিষেবা আবারও শুরু করার জন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রকল্পে অনেকগুলি সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে. যেগুলি আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে সমাধান করা হবে। তিনি বলেছেন, গুজরাট মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি সামুদ্রিক ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য প্রশিক্ষিত মানব সম্পদ এবং রপ্তানির জন্য উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে। আজ এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সামুদ্রিক ব্যবসা বাণিজ্যের আইন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইন, সামুদ্রিক ব্যবসা বাণিজ্য, জাহাজ চলাচল ও লজিস্টিকস্-এর ওপর এমবিএ ডিগ্রি দেওয়া হচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও দেশের সামুদ্রিক ব্যবসা বাণিজ্যের ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে রাখার জন্য লোথাল-এ প্রথম জাতীয় সংগ্রহশালা তৈরি করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আজকের রো-পাক্স ফেরি পরিষেবা ও সম্প্রতি সি প্লেন পরিষেবা জলসম্পদ ভিত্তিক অর্থনীতিতে গতির সঞ্চার করেছে। দেশের নীল অর্থনীতি বা সমুদ্র ভিত্তিক অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে যাতে তাঁরা আধুনিক ট্রলার কিনতে পারেন এবং উন্নত দিক নির্দেশনা ব্যবস্থার মাধ্যমে আবহাওয়া ও জাহাজ চলাচলের পথের বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে পারেন। তিনি মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন এবং জানিয়েছেন, সরকার এই বিষয় নিয়ে গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে। সম্প্রতি মৎস্য ভিত্তিক বাণিজ্যকে প্রসারিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় মৎস্য পালনের জন্য পরিকাঠামো গড়ে তুলতে আগামী বছরগুলিতে ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আজ দেশজুড়ে বন্দরগুলির ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে এবং নতুন নতুন বন্দর দ্রুত তৈরি করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, দেশে ২১ হাজার কিলোমিটার জল পথের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে, যার মধ্য দিয়ে দেশের উন্নয়ন হবে। সাগরমালা প্রকল্পের আওতায় দেশজুড়ে ৫০০টি প্রকল্পের কাজ চলছে। সড়ক এবং রেল পরিবহণের থেকে জল পরিবহণ অনেক সস্তা এবং এর মাধ্যমে পরিবেশ কম দূষিত হয়। অথচ ২০১৪ সালের পর থেকে এবিষয়ে সর্বাঙ্গীন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজ স্থলবেষ্টির বিভিন্ন রাজ্যগুলিতেও আন্তর্দেশীয় জলপথ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ চলছে। বঙ্গোপসাগরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে যাতে ভারত মহাসাগরে অভূতপূর্বভাবে আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। আত্মনির্ভর ভারত অভিযানে দেশের সামুদ্রিক ব্যবসা বাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

 

প্রধানমন্ত্রী জাহাজ চলাচল মন্ত্রকের নাম পরিবর্তন করে বন্দর, জাহাজ চলাচল ও জল পরিবহণ মন্ত্রক রেখেছেন। তিনি বলেছেন, বেশিরভাগ উন্নত রাষ্ট্রে জাহাজ চলাচল মন্ত্রক বন্দর ও জল পরিবহণের কাজও করে। এখন থেকে এই নামে আরও স্পষ্টতা আসায় কাজেরও সুবিধে হবে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নীল অর্থনীতিকে দৃঢ় করার মধ্য দিয়ে আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের সুবিধে হবে, কারণ সামুদ্রিক ব্যবসা বাণিজ্যের লজিস্টিককে আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। অন্যান্য দেশের থেকে আমাদের দেশে এক বন্দর থেকে অন্য বন্দরে পণ্য পরিবহণ ব্যয় সাপেক্ষ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, জল পরিবহণের মাধ্যমে লজিস্টিকসের ব্যয় কমানো যেতে পারে, আর তাই বাধাহীন জাহাজ চলাচলের প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেছেন, লজিস্টিকস ক্ষেত্রে ব্যয় কমানোর জন্য দেশে বহু স্তরীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ চলছে। সড়ক, রেল, বিমান ও জাহাজ চলাচলের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ উন্নত করার জন্য পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। বহুস্তরীয় লজিস্টিকস পার্ক দেশে গড়ে তোলা হচ্ছে। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গেও এই ধরণের যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি আশা করেন, এর ফলে দেশে লজিস্টিকস ক্ষেত্রে ব্যয় হ্রাস পাবে এবং আমাদের অর্থনীতিতে গতি আসবে।

 

প্রধানমন্ত্রী জনসাধারণকে এই উৎসবের মরশুমে স্থানীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ছোট ছোট ব্যবসায়ী, কারিগর এবং গ্রামের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জিনিস কিনতে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই উদ্যোগগুলি নেওয়া হলে গ্রামের হস্ত শিল্পীদের বাড়িতে দীপাবলির আলো জ্বলে উঠবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Click here to read full text speech

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।