প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২৮ শে মে শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ফলে ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা করেছেন। তিনি ওড়িশার ভদ্রক ও বালেশ্বর জেলা এবং পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি আকাশপথে ঘুরে দেখেন।
প্রধানমন্ত্রী ভুবনেশ্বরে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজের পর্যালোচনার জন্য অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে পৌরহিত্য করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ফলে ওড়িশায় সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খন্ডের কোনো কোনো অঞ্চলও ক্ষতিগ্রস্ত।
শ্রী মোদী দ্রুত ত্রাণকাজের জন্য ১ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন। ওড়িশাকে খুব তাড়াতাড়ি ৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিবেচনা করে পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খন্ডের জন্য আরও ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কেন্দ্র ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে রাজ্যগুলিতে আন্তঃমন্ত্রিগোষ্ঠী পাঠাবে। এই গোষ্ঠীর সদস্যরা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে পরবর্তী সাহায্যের বিষয়টি চূড়ান্ত করবে।
প্রধানমন্ত্রী ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খন্ডের জনসাধারণকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, কেন্দ্র পরিস্থিতির মোকাবিলায় সংকটের এই সময় রাজ্যগুলির সঙ্গে এক যোগে কাজ করছে। ঘূর্ণিঝড় প্রভাবিত অঞ্চলে পরিকাঠামো পুনর্গঠনে সম্ভাব্য সব রকমের সহায়তার আশ্বাসও প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।
শ্রী মোদী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিনি তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন। এই বিপর্যয়ে যেসব পরিবার তাদের নিকটজনেদের হারিয়েছেন তিনি তাঁদের প্রতি গভীর দুঃখপ্রকাশ করেছেন। নিহতদের নিকটাত্মীয়কে এককালীন ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা অর্থ সাহায্য দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিপর্যয় ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের আরও বিজ্ঞান সম্মতভাবে কাজ করতে হবে। আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ায় যে প্রভাব পরছে তার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও পরিবর্তন আনতে হবে। উদ্ধারকাজে আরও সহযোগিতার মধ্য দিয়ে তিনি মানুষের মধ্যে আস্থা অর্জনের কথা বলেছেন।
ওড়িশা সরকার বিপর্যয় ব্যবস্থাপনায় যে প্রস্তুতি নিয়েছে এর ফলে সেখানে জীবনহানি কম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এই প্রয়াসের প্রশংসা করে বলেছেন, এ ধরণের প্রাকৃতিক বিপর্যের মোকাবিলা করার জন্য রাজ্য দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগ নিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, বিপর্যয় ব্যবস্থাপনার ওপর অর্থ কমিশনও গুরুত্ব দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে।