প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২৫ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশ সফর করবেন। সফরকালে সকাল ১০.৩০এ সিদ্ধার্থ নগরে শ্রী মোদী উত্তরপ্রদেশে ৯টি মেডিকেল কলেজের উদ্বোধন করবেন। এরপর দুপুর ১.১৫-য় বারাণসীতে তিনি প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভর স্বাস্থ্য ভারত যোজনার (পিএমএএসবিওয়াই) সূচনা করবেন। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বারাণসীর জন্য ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা করবেন।
পিএমএএসবিওয়াই-এর মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামোর যে ঘাটতি আছে সেগুলি পূরণ করা হবে। শহর এবং গ্রামাঞ্চলে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ফেসিলিটি গড়ে তোলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সব রাজ্যে ১১,০২৪টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার পাশাপাশি ১০টি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত রাজ্যে ১৭,৭৮৮টি গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিকাঠামোর উন্নয়ন ঘটানো হবে।
দেশের যেসব জেলায় ৫ লক্ষের বেশী মানুষ বসবাস করেন সেই জেলাগুলিতে এক্সক্লুসিভ ক্রিটিক্যাল কেয়ার হসপিটাল ব্লকের ব্যবস্থা করা হবে। বাকি জেলাগুলিকে রেফারেল সার্ভিসের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দেশজুড়ে পরীক্ষাগারগুলির মাধ্যমে মানুষ যাতে সহজেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে পারে তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রতিটি জেলায় সুসংহত জনস্বাস্থ্য পরীক্ষাগার গড়ে তোলা হবে।
পিএমএএসবিওয়াই-এর আওতায় একটি ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর হেল্থ, ৪টি নতুন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর ভাইরোলজি, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণপূর্ব এশিয়া অঞ্চলের জন্য একটি আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্র, ৯টি তৃতীয় পর্যায়ের জৈব সুরক্ষিত পরীক্ষাগার এবং ৫টি নতুন রিজিওনাল ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল গড়ে তোলা হবে।
মহানগর, ব্লক, জেলা, আঞ্চলিক ও জাতীয় স্তরে পরীক্ষাগারগুলির ওপর বিভিন্ন অসুখে নজরদারি চালানোর জন্য তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পিএমএএসবিওয়াই একটি বিশেষ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। সমস্ত জনস্বাস্থ্য পরীক্ষাগারগুলির মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তুলতে সুসংহত স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য ভিত্তিক পোর্টালের ব্যাপ্তি বাড়ানো হবে। পিএমএএসবিওয়াই-এর মাধ্যমে ৩৩টি জনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মানোন্নয়ন ঘটানোর পাশাপাশি এ ধরণের আরও ১৭টি কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এই কেন্দ্রগুলিতে যথাযথভাবে রোগ নির্ণয়, রোগ প্রতিরোধ, মহামারী প্রতিরোধ এবং জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কোনো আপৎকালীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তা মোকাবিলা করার উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর যোগান এখান থেকে দেওয়া হবে।
যে ৯টি মেডিকেল কলেজের উদ্বোধন করা হবে সেগুলি হল- সিদ্ধার্থ নগর, এটাওয়া, হরদৈ, ফতেপুর, প্রতাপগড়, দেওরিয়া, গাজিপুর, মির্জাপুর ও জৌনপুর। এদের মধ্যে কেন্দ্রের প্রতিটি জেলায় বা রেফারেল হাসপাতালের সঙ্গে নতুন মেডিকেল কলেজ গড়ার প্রকল্পে ৮টি কলেজ গড়ে তোলা হয়েছে। জৌনপুর মেডিকেল কলেজটি রাজ্য সরকারের অর্থে নির্মিত হয়েছে।
পিছিয়ে পড়া এবং উচ্চাকাঙ্খী জেলাগুলিতে কেন্দ্রের এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হবে। বর্তমানে মেডিকেল কলেজ এবং জেলা হাসপাতালের পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে যে বৈষম্য রয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের মাধ্যমে তা দূর হবে। এই প্রকল্পে ৩টি পর্যায়ে দেশে ১৫৭টি হাসপাতাল গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬৩টি মেডিকেল কলেজের কাজ শুরু হয়ে গেছে। অনুষ্ঠানে উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন।