প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী পয়লা অগাস্ট মহারাষ্ট্রের পুণে সফর করবেন। সকাল ১১টায় তিনি দাগদুশেঠ মন্দির দর্শন করবেন এবং পুজো দেবেন। ১১টা ৪৫ মিনিটে তাঁকে লোকমান্য তিলক জাতীয় পুরস্কার প্রদান করা হবে। এরপর, ১২টা ৪৫ মিনিটে শ্রী মোদী মেট্রো রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও, বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী পুণে মেট্রোর প্রথম পর্যায়ের দুটি করিডরের সম্পূর্ণ পথে মেট্রো রেলের যাত্রার সূচনা করবেন। ফুগেওয়াড়ি থেকে সিভিল কোর্ট পর্যন্ত এবং গারওয়াড় কলেজ থেকে রুবি হল ক্লিনিক পর্যন্ত মেট্রো রেল যাত্রার সূচনা করা হবে। ২০১৬ সালে শ্রী মোদী এই প্রকল্পগুলির শিলান্যাস করেছিলেন। এর ফলে, শিবাজীনগর, সিভিল কোর্ট, পুণে পুর নিগম দপ্তর, পুণে আরটিও এবং পুণে রেল স্টেশনের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে উঠবে। শহরাঞ্চলের নাগরিকদের অত্যাধুনিক এবং পরিবেশ-বান্ধব গণপরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার যে পরিকল্পনা প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন, এর মাধ্যমে সেই পরিকল্পনা খানিকটা বাস্তবায়িত হবে।
কয়েকটি মেট্রো স্টেশনের নকশা ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের অনুপ্রেরণায় করা হয়েছে। ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের সৈনিকরা যে পাগড়ি মাথায় দিতেন – যা মাভালা পাগড়ি হিসেবে পরিচিত, তার আদলে ছত্রপতি সম্ভাজী উদ্যান মেট্রো স্টেশন এবং ডেকান জিমখানা মেট্রো স্টেশনটি নির্মাণ করা হয়েছে। ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের নির্মিত দুর্গের নকশায় শিবাজীনগর মেট্রো স্টেশনটি নির্মিত হয়েছে। এই স্টেশনটি মাটির নীচে।
সিভিল কোর্ট মেট্রো স্টেশন মাটি থেকে ৩৩.১ মিটার নীচে নির্মিত। এটি দেশের গভীরতম মেট্রো স্টেশন। প্ল্যাটফর্মে যাতে সূর্যের আলো এসে পৌঁছয়, এই মেট্রো স্টেশনটি নির্মাণের সময় তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
পিম্প্রি চিঞ্চওয়াড় পৌর নিগমে একটি বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন শ্রী মোদী। ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়েছে। প্রতি বছর আড়াই লক্ষ মেট্রিক টন বর্জ্য থেকে এখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।
সকলের জন্য আবাস – এই উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় পিসিএমসি ১ হাজার ২৮০টি গৃহ নির্মাণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী সুবিধাভোগীদের হাতে এই বাড়িগুলি তুলে দেবেন। এছাড়াও, পুণে পুর নিগমের ২ হাজার ৬৫০টি বাড়িও সুবিধাভোগীদের কাছে হস্তান্তরিত করা হবে। এই অনুষ্ঠানে তিনি পিসিএমসি নির্মিত প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ১ হাজার ১৯০টি গৃহ নির্মাণের সূচনা করবেন। এছাড়াও, পুণে মেট্রোপলিটন রিজিয়ন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির পরিকল্পিত ৬ হাজার ৪০০টি গৃহ নির্মাণ প্রকল্পেরও সূচনা করবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীকে লোকমান্য তিলক জাতীয় পুরস্কার প্রদান করা হবে। লোকমান্য তিলককে শ্রদ্ধা জানাতে ১৯৮৩ সালে তিলক স্মারক মন্দির ট্রাস্ট এই পুরস্কার প্রদান শুরু করে। যাঁরা দেশের জন্য কাজ করে চলেছেন এবং দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, তাঁদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতেই এই পুরস্কার। প্রতি বছর লোকমান্য তিলকের প্রয়াণ দিবস – পয়লা অগাস্ট এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
শ্রী মোদীর আগে আরও ৪০ জনকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন – ডঃ শঙ্কর দয়াল শর্মা, প্রণব মুখোপাধ্যায়, অটল বিহারী বাজপেয়ী, ইন্দিরা গান্ধী, ডঃ মনমোহন সিং, শ্রী এন আর নারায়ণমূর্তি এবং ডঃ ই শ্রীধরণ।