মণিপুরে ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বেশি ২২টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী
মণিপুরে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি কয়েকটি জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন; দেশের সব প্রান্তে যোগাযোগ ব্যবস্থার মানোন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই এই প্রকল্প
প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২ হাজার ৩৫০টির বেশি মোবাইল টাওয়ার জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন; এর ফলে মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতি ঘটবে
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অগ্রগতির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী অত্যাধুনিক ক্যান্সার হাসপাতালের শিলান্যাস করবেন; ২০০ শয্যা বিশিষ্ট নবনির্মিত কোভিড হাসপাতালের সূচনা করবেন
মণিপুরে সর্ববৃহৎ সরকারি - বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ইনভেনশন, ইনোভেশন, ইনক্যুবেশন ও ট্রেনিং সেন্টারের শিলান্যাস করবেন; এর ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে
মণিপুর ইন্সটিটিউট অফ পারফর্মিং আর্টস প্রতিষ্ঠানের শিলান্যাস করবেন; ১৯৯০ সালে প্রথম এধরণের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পরিকল্পনা হলেও বহু বছর তা বাস্তবায়িত হয়নি
প্রধানমন্ত্রীর সবকা সাথ - সবকা বিকাশ - সবকা বিশ্বাস মন্ত্রের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে জনবিক
প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২ হাজার ৩৫০টির বেশি মোবাইল টাওয়ার জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন; এর ফলে মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতি ঘটবে
মণিপুরে সর্ববৃহৎ সরকারি - বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ইনভেনশন, ইনোভেশন, ইনক্যুবেশন ও ট্রেনিং সেন্টারের শিলান্যাস করবেন; এর ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে
মণিপুর ইন্সটিটিউট অফ পারফর্মিং আর্টস প্রতিষ্ঠানের শিলান্যাস করবেন; ১৯৯০ সালে প্রথম এধরণের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পরিকল্পনা হলেও বহু বছর তা বাস্তবায়িত হয়নি
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী চৌঠা জানুয়ারি মণিপুর ও ত্রিপুরা সফর করবেন। সেদিন বেলা ১১টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী মণিপুরের ইম্ফলে ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বেশি ২২টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসন করবেন। এরপর, বেলা দুটো নাগাদ প্রধানমন্ত্রী ত্রিপুরার আগরতলায় মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরে নবনির্মিত সুসংবদ্ধ টার্মিনাল ভবনের উদ্বোধন করবেন এবং আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক কর্মসূচির সূচনা করবেন। 
 
মণিপুরে প্রধানমন্ত্রী -
 
মণিপুরে প্রধানমন্ত্রী প্রায় ১ হাজার ৮৫০ কোটি টাকার ১৩টি প্রকল্পের সূচনা এবং ২ হাজার ৯৫০ কোটি টাকার নয়টি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে সড়ক পরিকাঠামো, পানীয় জল সরবরাহ, স্বাস্থ্য, নগরোন্নয়ন, আবাসন, তথ্য প্রযুক্তি, দক্ষতা উন্নয়ন, শিল্প ও সংস্কৃতি প্রভৃতি। 
 
দেশব্যাপী যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধনে প্রধানমন্ত্রী ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নির্মিত পাঁচটি জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্পের নির্মাণ কাজের শিলান্যাস করবেন। সম্মিলিত ভাবে এই মহাসড়ক প্রকল্পগুলির মোট দৈর্ঘ্য হবে ১১০ কিলোমিটারের বেশি। মহাসড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হলে এই অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রভূত অগ্রগতি ঘটবে। সেই সঙ্গে, শিলচর থেকে ইম্ফল পর্যন্ত সারা বছর ধরে যোগাযোগ ব্যবস্থা বজায় থাকবে এবং যানজট কমবে। ৩৭ নম্বর জাতীয় মহাসড়কে বারাক নদীর ওপর একটি ইস্পাত নির্মিত সেতু গড়ে তোলা হয়েছে। এটি নির্মাণে খরচ পড়েছে ৭৫ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী এই সেতুটিরও উদ্বোধন করবেন। 
 
এরপর প্রধানমন্ত্রী প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২ হাজার ৩৮৭টি মোবাইল টাওয়ার মণিপুরবাসীর উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। মোবাইল টাওয়ারগুলি চালু হলে রাজ্যে মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক অগ্রগতি ঘটবে। 
 
মণিপুরে পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি পরিবারে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রী ২৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত থৌবাল মাল্টিপার্পাস প্রকল্পের অন্তর্গত জল সরবরাহ ব্যবস্থার সূচনা করবেন। এই প্রকল্প থেকে সমগ্র ইম্ফল শহরে জল সরবরাহ করা হবে। ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে তামেঙ্গলং সদর দপ্তরে নির্মিত জল সরবরাহ প্রকল্পটি থেকে এই জেলার ১০টি জনপদে প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়াও ৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে সেনাপতি জেলায় নির্মিত জল সরবরাহ প্রকল্পটি থেকে এই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে নিয়মিত জল সরবরাহ করা হবে। 
 
রাজ্যে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের মানোন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী সরকারি - বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ইম্ফলে প্রায় ১৬০ কোটি টাকার অত্যাধুনিক ক্যান্সার হাসপাতালের শিলান্যাস করবেন। হাসপাতালটি গড়ে উঠলে রাজ্যের মানুষ উপকৃত হবেন এবং স্বাস্থ্য খাতে সাধারণ মানুষের খরচ সাশ্রয় হবে। এছাড়াও রাজ্যে কোভিড পরিকাঠামো ব্যবস্থার প্রসারে প্রধানমন্ত্রী কিয়ামগিতে ২০০ শয্যা বিশিষ্ট কোভিড হাসপাতালের সূচনা করবেন। প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় প্রায় ৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এই কোভিড হাসপাতালটি গড়ে তোলা হয়েছে। 
 
দেশে শহরগুলির পুনরুজ্জীবন ও পট পরিবর্তনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নিরলস প্রচেষ্টার বাস্তবায়ণের অঙ্গ হিসেবে ইম্ফল স্মার্ট সিটি মিশনের আওতায় প্রধানমন্ত্রী তিনটি প্রকল্পের সূচনা করবেন। এই প্রকল্পগুলি নির্মাণ খাতে খরচ হয়েছে ১৭০ কোটি টাকার বেশি। প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে ইন্টিগ্রেটেড কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার; প্রথম পর্যায়ে ইম্ফল নদীর পশ্চিম পাড়ের মানোন্নয়ন এবং প্রথম পর্যায়ে থানঙ্গাল বাজারে মল রোডের মানোন্নয়ন। ইম্ফল শহরে গড়ে ওঠা ইন্টিগ্রেটেড কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারটি থেকে বিভিন্ন ধরণের প্রযুক্তি নির্ভর পরিষেবা পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে, যানজট নিয়ন্ত্রণ, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং শহরে নজরদারির কাজে সহায়ক হবে। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে রাজ্যে পর্যটন ও স্থানীয় অর্থনীতির বিকাশ ঘটবে। সেই সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। 
 
প্রধানমন্ত্রী প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে উঠতে চলা ইনভেনশন, ইনোভেশন, ইনক্যুবেশন ও ট্রেনিং সেন্টারের শিলান্যাস কবেন। রাজ্যে সরকারি - বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এটিই সর্ববৃহৎ প্রকল্প। এই প্রকল্পের ফলে তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অগ্রগতি ঘটবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। প্রধানমন্ত্রী এরপর হরিয়ানার গুরগাঁও-এ মণিপুর ইন্সটিটিউট অফ পারফর্মিং আর্ট সেন্টারের নির্মাণ কাজের শিলান্যাস করবেন। মণিপুরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে হরিয়ানায় এধরণের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রথম পরিকল্পনা ১৯৯০ সালে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বহু বছর ধরে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। ২৪০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হবে। মণিপুরের সমৃদ্ধ শিল্প সংস্কৃতির প্রসারে এই প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। রাজ্যের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আরও প্রসারে প্রধানমন্ত্রী ইম্ফলে নবরূপে সজ্জিত গোবিন্দজী মন্দিরের উদ্বোধন করবেন। তিনি মইরাঙে আইএনএ কমপ্লেক্সের সূচনা করবেন। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (আইএনএ) যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল তা এখানে তুলে ধরা হয়েছে। 
 
সবকা সাথ - সবকা বিকাশ - সবকা বিশ্বাস -এই মন্ত্র অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী ১৩০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে প্রধানমন্ত্রী জনবিকাশ কার্যক্রমের আওতায় গড়ে উঠতে চলা ৭২টি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পগুলি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সার্বিক উন্নয়নে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত সহায়তা যোগাবে। 
 
মণিপুরে তাঁত বস্ত্রশিল্পের মানোন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী ইম্ফল পূর্ব জেলায় নঙপোক কাকচিঙে মেগা হ্যান্ডলুম ক্লাস্টার এবং মইরাঙে ক্রাফ্ট অ্যান্ড হ্যান্ডলুম ভিলেজ নামে দুটি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্প দুটি খাতে খরচ ধরা হয়েছে ৩৬ কোটি টাকা। রাজ্যের তন্তুবায়েরা এই প্রকল্প দুটি থেকে লাভবান হবেন। এমনকি, মইরাঙে পর্যটনের সম্ভাবনা বাড়বে। সেই সঙ্গে লোকতাক হ্রদে পর্যটনের প্রসার ঘটবে এবং স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। 
 
প্রধানমন্ত্রী এরপর সরকারি আবাসন কোয়ার্টারের নির্মাণ কাজে সূচনা করবেন। নিউ চেকনে প্রায় ৩৯০ কোটি টাকা খরচে এই আবাসন গড়ে উঠবে। হাউজিং কলোনির আদলে গড়ে ওঠা এই আবাসনগুলিতে সবরকম আধুনিক সুযোগসুবিধা থাকবে। প্রধানমন্ত্রী পূর্ব ইম্ফলে একটি রোপওয়ে প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। 
 
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী আরও কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এরমধ্যে রয়েছে দক্ষতা উন্নয়ন পরিকাঠামো কর্মসূচির আওতায় কাঙ্গপোকপিতে নতুন একটি শিল্প প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (আইটিআই) এবং তথ্য ও জনসংযোগ নির্দেশালয়ের নতুন কার্যালয় ভবন। 
 
ত্রিপুরায় প্রধানমন্ত্রী - 
 
ত্রিপুরা সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আগরতলায় মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরে নতুন সুসংবদ্ধ টার্মিনাল ভবনের উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা গ্রাম সমৃদ্ধি যোজনা এবং ১০০টি বিদ্যালয়ে মিশন বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের সূচনা করবেন। 
 
মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরে নতুন সুসংবদ্ধ টার্মিনাল ভবনটি নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা। সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত এই টার্মিনাল ভবন ৩০ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে। দেশের সমস্ত বিমানবন্দরে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াসের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নতুন এই টার্মিনাল ভবনটি গড়ে উঠেছে। 
 
রাজ্যে ১০০টি বিদ্যালয়ে যে বিদ্যাজ্যোতি মিশনের সূচনা হতে চলেছে তার উদ্দেশ্যই হল, বর্তমানে চালু ১০০টি মাধ্যমিক / উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মান বাড়ানো এবং শিক্ষাদানের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলা। এই কর্মসূচিতে নার্সারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে আসা হবে। আগামী তিন বছরে এই কর্মসূচি রূপায়ণ খাতে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। 
 
মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা গ্রাম সমৃদ্ধি যোজনার উদ্দেশ্যই হল গ্রামে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক ক্ষেত্রগুলিতে পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে মাপকাঠি নির্ধারণ করা। এই কর্মসূচিতে যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে মাপকাঠি নির্ধারণ করা হবে তার মধ্যে রয়েছে পারিবারিক জল সংযোগ, পারিবারিক বিদ্যুৎ সংযোগ, সব মরশুমের উপযোগী সড়ক, প্রতিটি পরিবারে ব্যবহার হওয়া শৌচাগার, প্রত্যেক শিশুর জন্য টিকাকরণের প্রস্তাব, মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির অংশগ্রহণ প্রভৃতি। গ্রামগুলিতে পরিষেবা প্রদানে আদর্শ মানদন্ড গড়ে তোলার লক্ষ্যে একেবারে তৃণমূল স্তরে পরিষেবা ব্যবস্থার মানোন্নয়নে গ্রামগুলির মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা গড়ে তোলাই গ্রাম সমৃদ্ধি যোজনার উদ্দেশ্য। 
Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Annual malaria cases at 2 mn in 2023, down 97% since 1947: Health ministry

Media Coverage

Annual malaria cases at 2 mn in 2023, down 97% since 1947: Health ministry
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Our constitution embodies the Gurus’ message of Sarbat da Bhala—the welfare of all: PM Modi
December 26, 2024
PM launches ‘Suposhit Gram Panchayat Abhiyan’
On Veer Baal Diwas, we recall the valour and sacrifices of the Sahibzades, We also pay tribute to Mata Gujri Ji and Sri Guru Gobind Singh Ji: PM
Sahibzada Zorawar Singh and Sahibzada Fateh Singh were young in age, but their courage was indomitable: PM
No matter how difficult the times are, nothing is bigger than the country and its interests: PM
The magnitude of our democracy is based on the teachings of the Gurus, the sacrifices of the Sahibzadas and the basic mantra of the unity of the country: PM
From history to present times, youth energy has always played a big role in India's progress: PM
Now, only the best should be our standard: PM

भारत माता की जय!

भारत माता की जय!

केंद्रीय मंत्रिमंडल में मेरी सहयोगी अन्नपूर्णा देवी जी, सावित्री ठाकुर जी, सुकांता मजूमदार जी, अन्य महानुभाव, देश के कोने-कोने से यहां आए सभी अतिथि, और सभी प्यारे बच्चों,

आज हम तीसरे ‘वीर बाल दिवस’ के आयोजन का हिस्सा बन रहे हैं। तीन साल पहले हमारी सरकार ने वीर साहिबजादों के बलिदान की अमर स्मृति में वीर बाल दिवस मनाने की शुरुआत की थी। अब ये दिन करोड़ों देशवासियों के लिए, पूरे देश के लिए राष्ट्रीय प्रेरणा का पर्व बन गया है। इस दिन ने भारत के कितने ही बच्चों और युवाओं को अदम्य साहस से भरने का काम किया है! आज देश के 17 बच्चों को वीरता, इनोवेशन, साइंस और टेक्नोलॉजी, स्पोर्ट्स और आर्ट्स जैसे क्षेत्रों में सम्मानित किया गया है। इन सबने ये दिखाया है कि भारत के बच्चे, भारत के युवा क्या कुछ करने की क्षमता रखते हैं। मैं इस अवसर पर हमारे गुरुओं के चरणों में, वीर साहबजादों के चरणों में श्रद्धापूर्वक नमन करता हूँ। मैं अवार्ड जीतने वाले सभी बच्चों को बधाई भी देता हूँ, उनके परिवारजनों को भी बधाई देता हूं और उन्हें देश की तरफ से शुभकामनाएं भी देता हूं।

साथियों,

आज आप सभी से बात करते हुए मैं उन परिस्थितियों को भी याद करूंगा, जब वीर साहिबजादों ने अपना बलिदान दिया था। ये आज की युवा पीढ़ी के लिए भी जानना उतना ही जरूरी है। और इसलिए उन घटनाओं को बार-बार याद किया जाना ये भी जरूरी है। सवा तीन सौ साल पहले के वो हालात 26 दिसंबर का वो दिन जब छोटी सी उम्र में हमारे साहिबजादों ने अपने प्राणों की आहुति दे दी। साहिबजादा जोरावर सिंह और साहिबजादा फतेह सिंह की आयु कम थी, आयु कम थी लेकिन उनका हौसला आसमान से भी ऊंचा था। साहिबजादों ने मुगल सल्तनत के हर लालच को ठुकराया, हर अत्याचार को सहा, जब वजीर खान ने उन्हें दीवार में चुनवाने का आदेश दिया, तो साहिबजादों ने उसे पूरी वीरता से स्वीकार किया। साहिबजादों ने उन्हें गुरु अर्जन देव, गुरु तेग बहादुर और गुरु गोविंद सिंह की वीरता याद दिलाई। ये वीरता हमारी आस्था का आत्मबल था। साहिबजादों ने प्राण देना स्वीकार किया, लेकिन आस्था के पथ से वो कभी विचलित नहीं हुए। वीर बाल दिवस का ये दिन, हमें ये सिखाता है कि चाहे कितनी भी विकट स्थितियां आएं। कितना भी विपरीत समय क्यों ना हो, देश और देशहित से बड़ा कुछ नहीं होता। इसलिए देश के लिए किया गया हर काम वीरता है, देश के लिए जीने वाला हर बच्चा, हर युवा, वीर बालक है।

साथियों,

वीर बाल दिवस का ये वर्ष और भी खास है। ये वर्ष भारतीय गणतंत्र की स्थापना का, हमारे संविधान का 75वां वर्ष है। इस 75वें वर्ष में देश का हर नागरिक, वीर साहबजादों से राष्ट्र की एकता, अखंडता के लिए काम करने की प्रेरणा ले रहा है। आज भारत जिस सशक्त लोकतंत्र पर गर्व करता है, उसकी नींव में साहबजादों की वीरता है, उनका बलिदान है। हमारा लोकतंत्र हमें अंत्योदय की प्रेरणा देता है। संविधान हमें सिखाता है कि देश में कोई भी छोटा बड़ा नहीं है। और ये नीति, ये प्रेरणा हमारे गुरुओं के सरबत दा भला के उस मंत्र को भी सिखाती हैं, जिसमें सभी के समान कल्याण की बात कही गई है। गुरु परंपरा ने हमें सभी को एक समान भाव से देखना सिखाया है और संविधान भी हमें इसी विचार की प्रेरणा देता है। वीर साहिबजादों का जीवन हमें देश की अखंडता और विचारों से कोई समझौता न करने की सीख देता है। और संविधान भी हमें भारत की प्रभुता और अखंडता को सर्वोपरि रखने का सिद्धांत देता है। एक तरह से हमारे लोकतंत्र की विराटता में गुरुओं की सीख है, साहिबजादों का त्याग है और देश की एकता का मूल मंत्र है।

साथियों,

इतिहास ने और इतिहास से वर्तमान तक, भारत की प्रगति में हमेशा युवा ऊर्जा की बड़ी भूमिका रही है। आजादी की लड़ाई से लेकर के 21वीं सदी के जनांदोलनों तक, भारत के युवा ने हर क्रांति में अपना योगदान दिया है। आप जैसे युवाओं की शक्ति के कारण ही आज पूरा विश्व भारत को आशा और अपेक्षाओं के साथ देख रहा है। आज भारत में startups से science तक, sports से entrepreneurship तक, युवा शक्ति नई क्रांति कर रही है। और इसलिए हमारी पॉलिसी में भी, युवाओं को शक्ति देना सरकार का सबसे बड़ा फोकस है। स्टार्टअप का इकोसिस्टम हो, स्पेस इकॉनमी का भविष्य हो, स्पोर्ट्स और फिटनेस सेक्टर हो, फिनटेक और मैन्युफैक्चरिंग की इंडस्ट्री हो, स्किल डेवलपमेंट और इंटर्नशिप की योजना हो, सारी नीतियां यूथ सेंट्रिक हैं, युवा केंद्रिय हैं, नौजवानों के हित से जुड़ी हुई हैं। आज देश के विकास से जुड़े हर सेक्टर में नौजवानों को नए मौके मिल रहे हैं। उनकी प्रतिभा को, उनके आत्मबल को सरकार का साथ मिल रहा है।

मेरे युवा दोस्तों,

आज तेजी से बदलते विश्व में आवश्यकताएँ भी नई हैं, अपेक्षाएँ भी नई हैं, और भविष्य की दिशाएँ भी नई हैं। ये युग अब मशीनों से आगे बढ़कर मशीन लर्निंग की दिशा में बढ़ चुका है। सामान्य सॉफ्टवेयर की जगह AI का उपयोग बढ़ रहा है। हम हर फ़ील्ड नए changes और challenges को महसूस कर सकते हैं। इसलिए, हमें हमारे युवाओं को futuristic बनाना होगा। आप देख रहे हैं, देश ने इसकी तैयारी कितनी पहले से शुरू कर दी है। हम नई राष्ट्रीय शिक्षा नीति, national education policy लाये। हमने शिक्षा को आधुनिक कलेवर में ढाला, उसे खुला आसमान बनाया। हमारे युवा केवल किताबी ज्ञान तक सीमित न रहें, इसके लिए कई प्रयास किए जा रहे हैं। छोटे बच्चों को इनोवेटिव बनाने के लिए देश में 10 हजार से ज्यादा अटल टिंकरिंग लैब शुरू की गई हैं। हमारे युवाओं को पढ़ाई के साथ-साथ अलग-अलग क्षेत्रों में व्यावहारिक अवसर मिले, युवाओं में समाज के प्रति अपने दायित्वों को निभाने की भावना बढ़े, इसके लिए ‘मेरा युवा भारत’ अभियान शुरू किया गया है।

भाइयों बहनों,

आज देश की एक और बड़ी प्राथमिकता है- फिट रहना! देश का युवा स्वस्थ होगा, तभी देश सक्षम बनेगा। इसीलिए, हम फिट इंडिया और खेलो इंडिया जैसे मूवमेंट चला रहे हैं। इन सभी से देश की युवा पीढ़ी में फिटनेस के प्रति जागरूकता बढ़ रही है। एक स्वस्थ युवा पीढ़ी ही, स्वस्थ भारत का निर्माण करेगी। इसी सोच के साथ आज सुपोषित ग्राम पंचायत अभियान की शुरुआत की जा रही है। ये अभियान पूरी तरह से जनभागीदारी से आगे बढ़ेगा। कुपोषण मुक्त भारत के लिए ग्राम पंचायतों के बीच एक healthy competition, एक तंदुरुस्त स्पर्धा हो, सुपोषित ग्राम पंचायत, विकसित भारत का आधार बने, ये हमारा लक्ष्य है।

साथियों,

वीर बाल दिवस, हमें प्रेरणाओं से भरता है और नए संकल्पों के लिए प्रेरित करता है। मैंने लाल किले से कहा है- अब बेस्ट ही हमारा स्टैंडर्ड होना चाहिए, मैं अपनी युवा शक्ति से कहूंगा, कि वो जिस सेक्टर में हों उसे बेस्ट बनाने के लिए काम करें। अगर हम इंफ्रास्ट्रक्चर पर काम करें तो ऐसे करें कि हमारी सड़कें, हमारा रेल नेटवर्क, हमारा एयरपोर्ट इंफ्रास्ट्रक्चर दुनिया में बेस्ट हो। अगर हम मैन्युफैक्चरिंग पर काम करें तो ऐसे करें कि हमारे सेमीकंडक्टर, हमारे इलेक्ट्रॉनिक्स, हमारे ऑटो व्हीकल दुनिया में बेस्ट हों। अगर हम टूरिज्म में काम करें, तो ऐसे करें कि हमारे टूरिज्म डेस्टिनेशन, हमारी ट्रैवल अमेनिटी, हमारी Hospitality दुनिया में बेस्ट हो। अगर हम स्पेस सेक्टर में काम करें, तो ऐसे करें कि हमारी सैटलाइट्स, हमारी नैविगेशन टेक्नॉलजी, हमारी Astronomy Research दुनिया में बेस्ट हो। इतने बड़े लक्ष्य तय करने के लिए जो मनोबल चाहिए होता है, उसकी प्रेरणा भी हमें वीर साहिबजादों से ही मिलती है। अब बड़े लक्ष्य ही हमारे संकल्प हैं। देश को आपकी क्षमता पर पूरा भरोसा है। मैं जानता हूँ, भारत का जो युवा दुनिया की सबसे बड़ी कंपनियों की कमान संभाल सकता है, भारत का जो युवा अपने इनोवेशन्स से आधुनिक विश्व को दिशा दे सकता है, जो युवा दुनिया के हर बड़े देश में, हर क्षेत्र में अपना लोहा मनवा सकता है, वो युवा, जब उसे आज नए अवसर मिल रहे हैं, तो वो अपने देश के लिए क्या कुछ नहीं कर सकता! इसलिए, विकसित भारत का लक्ष्य सुनिश्चित है। आत्मनिर्भर भारत की सफलता सुनिश्चित है।

साथियों,

समय, हर देश के युवा को, अपने देश का भाग्य बदलने का मौका देता है। एक ऐसा कालखंड जब देश के युवा अपने साहस से, अपने सामर्थ्य से देश का कायाकल्प कर सकते हैं। देश ने आजादी की लड़ाई के समय ये देखा है। भारत के युवाओं ने तब विदेशी सत्ता का घमंड तोड़ दिया था। जो लक्ष्य तब के युवाओं ने तय किया, वो उसे प्राप्त करके ही रहे। अब आज के युवाओं के सामने भी विकसित भारत का लक्ष्य है। इस दशक में हमें अगले 25 वर्षों के तेज विकास की नींव रखनी है। इसलिए भारत के युवाओं को ज्यादा से ज्यादा इस समय का लाभ उठाना है, हर सेक्टर में खुद भी आगे बढ़ना है, देश को भी आगे बढ़ाना है। मैंने इसी साल लालकिले की प्राचीर से कहा है, मैं देश में एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिसके परिवार का कोई भी सक्रिय राजनीति में ना रहा हो। अगले 25 साल के लिए ये शुरुआत बहुत महत्वपूर्ण है। मैं हमारे युवाओं से कहूंगा, कि वो इस अभियान का हिस्सा बनें ताकि देश की राजनीति में एक नवीन पीढ़ी का उदय हो। इसी सोच के साथ अगले साल की शुरुआत में, माने 2025 में, स्वामी विवेकानंद की जयंती के अवसर पर, 'विकसित भारत यंग लीडर्स डॉयलॉग’ का आयोजन भी हो रहा है। पूरे देश, गाँव-गाँव से, शहर और कस्बों से लाखों युवा इसका हिस्सा बन रहे हैं। इसमें विकसित भारत के विज़न पर चर्चा होगी, उसके रोडमैप पर बात होगी।

साथियों,

अमृतकाल के 25 वर्षों के संकल्पों को पूरा करने के लिए ये दशक, अगले 5 वर्ष बहुत अहम होने वाले हैं। इसमें हमें देश की सम्पूर्ण युवा शक्ति का प्रयोग करना है। मुझे विश्वास है, आप सब दोस्तों का साथ, आपका सहयोग और आपकी ऊर्जा भारत को असीम ऊंचाइयों पर लेकर जाएगी। इसी संकल्प के साथ, मैं एक बार फिर हमारे गुरुओं को, वीर साहबजादों को, माता गुजरी को श्रद्धापूर्वक सिर झुकाकर के प्रणाम करता हूँ।

आप सबका बहुत-बहुत धन्यवाद !