মণিপুরে ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বেশি ২২টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী
মণিপুরে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি কয়েকটি জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন; দেশের সব প্রান্তে যোগাযোগ ব্যবস্থার মানোন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই এই প্রকল্প
প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২ হাজার ৩৫০টির বেশি মোবাইল টাওয়ার জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন; এর ফলে মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতি ঘটবে
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অগ্রগতির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী অত্যাধুনিক ক্যান্সার হাসপাতালের শিলান্যাস করবেন; ২০০ শয্যা বিশিষ্ট নবনির্মিত কোভিড হাসপাতালের সূচনা করবেন
মণিপুরে সর্ববৃহৎ সরকারি - বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ইনভেনশন, ইনোভেশন, ইনক্যুবেশন ও ট্রেনিং সেন্টারের শিলান্যাস করবেন; এর ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে
মণিপুর ইন্সটিটিউট অফ পারফর্মিং আর্টস প্রতিষ্ঠানের শিলান্যাস করবেন; ১৯৯০ সালে প্রথম এধরণের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পরিকল্পনা হলেও বহু বছর তা বাস্তবায়িত হয়নি
প্রধানমন্ত্রীর সবকা সাথ - সবকা বিকাশ - সবকা বিশ্বাস মন্ত্রের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে জনবিক
প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২ হাজার ৩৫০টির বেশি মোবাইল টাওয়ার জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন; এর ফলে মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতি ঘটবে
মণিপুরে সর্ববৃহৎ সরকারি - বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ইনভেনশন, ইনোভেশন, ইনক্যুবেশন ও ট্রেনিং সেন্টারের শিলান্যাস করবেন; এর ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে
মণিপুর ইন্সটিটিউট অফ পারফর্মিং আর্টস প্রতিষ্ঠানের শিলান্যাস করবেন; ১৯৯০ সালে প্রথম এধরণের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পরিকল্পনা হলেও বহু বছর তা বাস্তবায়িত হয়নি
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী চৌঠা জানুয়ারি মণিপুর ও ত্রিপুরা সফর করবেন। সেদিন বেলা ১১টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী মণিপুরের ইম্ফলে ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বেশি ২২টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসন করবেন। এরপর, বেলা দুটো নাগাদ প্রধানমন্ত্রী ত্রিপুরার আগরতলায় মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরে নবনির্মিত সুসংবদ্ধ টার্মিনাল ভবনের উদ্বোধন করবেন এবং আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক কর্মসূচির সূচনা করবেন। 
 
মণিপুরে প্রধানমন্ত্রী -
 
মণিপুরে প্রধানমন্ত্রী প্রায় ১ হাজার ৮৫০ কোটি টাকার ১৩টি প্রকল্পের সূচনা এবং ২ হাজার ৯৫০ কোটি টাকার নয়টি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে সড়ক পরিকাঠামো, পানীয় জল সরবরাহ, স্বাস্থ্য, নগরোন্নয়ন, আবাসন, তথ্য প্রযুক্তি, দক্ষতা উন্নয়ন, শিল্প ও সংস্কৃতি প্রভৃতি। 
 
দেশব্যাপী যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধনে প্রধানমন্ত্রী ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নির্মিত পাঁচটি জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্পের নির্মাণ কাজের শিলান্যাস করবেন। সম্মিলিত ভাবে এই মহাসড়ক প্রকল্পগুলির মোট দৈর্ঘ্য হবে ১১০ কিলোমিটারের বেশি। মহাসড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হলে এই অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রভূত অগ্রগতি ঘটবে। সেই সঙ্গে, শিলচর থেকে ইম্ফল পর্যন্ত সারা বছর ধরে যোগাযোগ ব্যবস্থা বজায় থাকবে এবং যানজট কমবে। ৩৭ নম্বর জাতীয় মহাসড়কে বারাক নদীর ওপর একটি ইস্পাত নির্মিত সেতু গড়ে তোলা হয়েছে। এটি নির্মাণে খরচ পড়েছে ৭৫ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী এই সেতুটিরও উদ্বোধন করবেন। 
 
এরপর প্রধানমন্ত্রী প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২ হাজার ৩৮৭টি মোবাইল টাওয়ার মণিপুরবাসীর উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। মোবাইল টাওয়ারগুলি চালু হলে রাজ্যে মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক অগ্রগতি ঘটবে। 
 
মণিপুরে পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি পরিবারে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রী ২৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত থৌবাল মাল্টিপার্পাস প্রকল্পের অন্তর্গত জল সরবরাহ ব্যবস্থার সূচনা করবেন। এই প্রকল্প থেকে সমগ্র ইম্ফল শহরে জল সরবরাহ করা হবে। ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে তামেঙ্গলং সদর দপ্তরে নির্মিত জল সরবরাহ প্রকল্পটি থেকে এই জেলার ১০টি জনপদে প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়াও ৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে সেনাপতি জেলায় নির্মিত জল সরবরাহ প্রকল্পটি থেকে এই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে নিয়মিত জল সরবরাহ করা হবে। 
 
রাজ্যে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের মানোন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী সরকারি - বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ইম্ফলে প্রায় ১৬০ কোটি টাকার অত্যাধুনিক ক্যান্সার হাসপাতালের শিলান্যাস করবেন। হাসপাতালটি গড়ে উঠলে রাজ্যের মানুষ উপকৃত হবেন এবং স্বাস্থ্য খাতে সাধারণ মানুষের খরচ সাশ্রয় হবে। এছাড়াও রাজ্যে কোভিড পরিকাঠামো ব্যবস্থার প্রসারে প্রধানমন্ত্রী কিয়ামগিতে ২০০ শয্যা বিশিষ্ট কোভিড হাসপাতালের সূচনা করবেন। প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় প্রায় ৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এই কোভিড হাসপাতালটি গড়ে তোলা হয়েছে। 
 
দেশে শহরগুলির পুনরুজ্জীবন ও পট পরিবর্তনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নিরলস প্রচেষ্টার বাস্তবায়ণের অঙ্গ হিসেবে ইম্ফল স্মার্ট সিটি মিশনের আওতায় প্রধানমন্ত্রী তিনটি প্রকল্পের সূচনা করবেন। এই প্রকল্পগুলি নির্মাণ খাতে খরচ হয়েছে ১৭০ কোটি টাকার বেশি। প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে ইন্টিগ্রেটেড কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার; প্রথম পর্যায়ে ইম্ফল নদীর পশ্চিম পাড়ের মানোন্নয়ন এবং প্রথম পর্যায়ে থানঙ্গাল বাজারে মল রোডের মানোন্নয়ন। ইম্ফল শহরে গড়ে ওঠা ইন্টিগ্রেটেড কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারটি থেকে বিভিন্ন ধরণের প্রযুক্তি নির্ভর পরিষেবা পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে, যানজট নিয়ন্ত্রণ, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং শহরে নজরদারির কাজে সহায়ক হবে। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে রাজ্যে পর্যটন ও স্থানীয় অর্থনীতির বিকাশ ঘটবে। সেই সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। 
 
প্রধানমন্ত্রী প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে উঠতে চলা ইনভেনশন, ইনোভেশন, ইনক্যুবেশন ও ট্রেনিং সেন্টারের শিলান্যাস কবেন। রাজ্যে সরকারি - বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এটিই সর্ববৃহৎ প্রকল্প। এই প্রকল্পের ফলে তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অগ্রগতি ঘটবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। প্রধানমন্ত্রী এরপর হরিয়ানার গুরগাঁও-এ মণিপুর ইন্সটিটিউট অফ পারফর্মিং আর্ট সেন্টারের নির্মাণ কাজের শিলান্যাস করবেন। মণিপুরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে হরিয়ানায় এধরণের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রথম পরিকল্পনা ১৯৯০ সালে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বহু বছর ধরে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। ২৪০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হবে। মণিপুরের সমৃদ্ধ শিল্প সংস্কৃতির প্রসারে এই প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। রাজ্যের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আরও প্রসারে প্রধানমন্ত্রী ইম্ফলে নবরূপে সজ্জিত গোবিন্দজী মন্দিরের উদ্বোধন করবেন। তিনি মইরাঙে আইএনএ কমপ্লেক্সের সূচনা করবেন। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (আইএনএ) যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল তা এখানে তুলে ধরা হয়েছে। 
 
সবকা সাথ - সবকা বিকাশ - সবকা বিশ্বাস -এই মন্ত্র অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী ১৩০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে প্রধানমন্ত্রী জনবিকাশ কার্যক্রমের আওতায় গড়ে উঠতে চলা ৭২টি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পগুলি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সার্বিক উন্নয়নে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত সহায়তা যোগাবে। 
 
মণিপুরে তাঁত বস্ত্রশিল্পের মানোন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী ইম্ফল পূর্ব জেলায় নঙপোক কাকচিঙে মেগা হ্যান্ডলুম ক্লাস্টার এবং মইরাঙে ক্রাফ্ট অ্যান্ড হ্যান্ডলুম ভিলেজ নামে দুটি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্প দুটি খাতে খরচ ধরা হয়েছে ৩৬ কোটি টাকা। রাজ্যের তন্তুবায়েরা এই প্রকল্প দুটি থেকে লাভবান হবেন। এমনকি, মইরাঙে পর্যটনের সম্ভাবনা বাড়বে। সেই সঙ্গে লোকতাক হ্রদে পর্যটনের প্রসার ঘটবে এবং স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। 
 
প্রধানমন্ত্রী এরপর সরকারি আবাসন কোয়ার্টারের নির্মাণ কাজে সূচনা করবেন। নিউ চেকনে প্রায় ৩৯০ কোটি টাকা খরচে এই আবাসন গড়ে উঠবে। হাউজিং কলোনির আদলে গড়ে ওঠা এই আবাসনগুলিতে সবরকম আধুনিক সুযোগসুবিধা থাকবে। প্রধানমন্ত্রী পূর্ব ইম্ফলে একটি রোপওয়ে প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। 
 
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী আরও কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এরমধ্যে রয়েছে দক্ষতা উন্নয়ন পরিকাঠামো কর্মসূচির আওতায় কাঙ্গপোকপিতে নতুন একটি শিল্প প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (আইটিআই) এবং তথ্য ও জনসংযোগ নির্দেশালয়ের নতুন কার্যালয় ভবন। 
 
ত্রিপুরায় প্রধানমন্ত্রী - 
 
ত্রিপুরা সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আগরতলায় মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরে নতুন সুসংবদ্ধ টার্মিনাল ভবনের উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা গ্রাম সমৃদ্ধি যোজনা এবং ১০০টি বিদ্যালয়ে মিশন বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের সূচনা করবেন। 
 
মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরে নতুন সুসংবদ্ধ টার্মিনাল ভবনটি নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা। সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত এই টার্মিনাল ভবন ৩০ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে। দেশের সমস্ত বিমানবন্দরে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াসের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নতুন এই টার্মিনাল ভবনটি গড়ে উঠেছে। 
 
রাজ্যে ১০০টি বিদ্যালয়ে যে বিদ্যাজ্যোতি মিশনের সূচনা হতে চলেছে তার উদ্দেশ্যই হল, বর্তমানে চালু ১০০টি মাধ্যমিক / উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মান বাড়ানো এবং শিক্ষাদানের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলা। এই কর্মসূচিতে নার্সারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে আসা হবে। আগামী তিন বছরে এই কর্মসূচি রূপায়ণ খাতে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। 
 
মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা গ্রাম সমৃদ্ধি যোজনার উদ্দেশ্যই হল গ্রামে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক ক্ষেত্রগুলিতে পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে মাপকাঠি নির্ধারণ করা। এই কর্মসূচিতে যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে মাপকাঠি নির্ধারণ করা হবে তার মধ্যে রয়েছে পারিবারিক জল সংযোগ, পারিবারিক বিদ্যুৎ সংযোগ, সব মরশুমের উপযোগী সড়ক, প্রতিটি পরিবারে ব্যবহার হওয়া শৌচাগার, প্রত্যেক শিশুর জন্য টিকাকরণের প্রস্তাব, মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির অংশগ্রহণ প্রভৃতি। গ্রামগুলিতে পরিষেবা প্রদানে আদর্শ মানদন্ড গড়ে তোলার লক্ষ্যে একেবারে তৃণমূল স্তরে পরিষেবা ব্যবস্থার মানোন্নয়নে গ্রামগুলির মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা গড়ে তোলাই গ্রাম সমৃদ্ধি যোজনার উদ্দেশ্য। 
Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।