প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী ১২ মার্চ কর্ণাটক সফর করবেন। প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন তিনি। দুপুর ১২টা নাগাদ মান্ডার প্রধান সড়ক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এরপর, বেলা ৩টে ১৫ মিনিট নাগাদ হুব্বালি – ধারওয়াড়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন তিনি।
মান্ডাতে প্রধানমন্ত্রী: দেশ জুড়ে বিশ্বমানের যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গীর সফল রূপ দিতে পরিকাঠামো প্রকল্পের দ্রুত বিকাশ এক প্রমাণস্বরূপ। এই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বেঙ্গালুরু মাইশুরু এক্সপ্রেসওয়েকে জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এই প্রকল্পে জাতীয় সড়ক – ২৭৫ এ ছয় লেনবিশিষ্ট বেঙ্গালুরু – নিদাঘাট্টা – মাইশুরু অংশটিকে সংযুক্ত করছে। প্রায় ৮ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে। এর ফলে, বেঙ্গালুরু থেকে মাইশুরু যাওয়ার সময় ৩ ঘন্টা থেকে কমে প্রায় ৭৫ মিনিট হবে। এলাকার আর্থ-সামাজিক বিকাশে এটি নির্ণায়ক হিসাবেও কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রী চার লেনবিশিষ্ট মাইশুরু – কুশলনগর সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবে। ৪ হাজার ১৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক গড়ে তোলা হবে। কুশলনগর ও বেঙ্গালুরুর মধ্যে যোগাযোগ সম্প্রসারণে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং তা নির্মিত হলে ভ্রমণ সময় ৫ ঘন্টা থেকে কমে ২ ঘন্টা ৫০ মিনিট হবে।
হুব্বালি-ধারওয়াদে প্রধানমন্ত্রী: ধারওয়াড় আইআইটি-কে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এই প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিপ্রস্তর প্রধানমন্ত্রী স্থাপন করেছিলেন ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। ৮৫০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে নির্মিত এইই প্রতিষ্ঠানটি থেকে চার বছরের বি-টেক, পাঁচ বছরের বিএস - এমএস প্রোগ্রাম, এম-টেক এবং পিএইচডি প্রদান করা হবে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ রেল প্ল্যাটফর্ম শ্রী সিদ্ধারূধা স্বামীজী হুব্বালি স্টেশন জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন প্রধানমন্ত্রী। গিনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড সম্প্রতি এটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ হাজার ৫০৭ মিটার দীর্ঘ প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী হোসাপেতে – হুব্বালি – তিনাইঘাট বিভাগের বৈদ্যুতিকীকরণ এবং হোসাপেতে স্টেশনটি আধুনিকীকরণ প্রকল্পের সূচনা করবেন।
৫৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই এলাকাটি বৈদ্যুতিকীকরণের ফলে বিধাহীনভাবে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। আধুনিক হসপেট স্টেশনটি যাত্রীদের জন্য অনেক স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ হয়ে উঠবে। হাম্পি মিনারে অনুকরণে এটি গড়ে তোলা হয়েছে। হুব্বালি – ধারওয়াড় স্মার্টসিটির বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন শ্রী মোদী। প্রায় ৫২০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পে খরচ ধরা হয়েছে।
জয়াদেবা হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হাসপাতালে এলাকার মানুষ হৃদরোগ নিরাময়ে আধুনিক চিকিৎসার সুযোগ পাবেন। এলাকায় জল সরবরাহ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ধারওয়াড় মাল্টি-ভিলেজ ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪০ কোটি টাকা। তুপ্পারিহাল্লা বন্যাজনিত ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন শ্রী মোদী। এর জন্য খরচ ধরা হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা।