প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২৭ শে ডিসেম্বর হিমাচল প্রদেশের মান্ডি সফর করবেন। তিনি ওইদিন বেলা ১২টার সময় ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি বিভিন্ন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। এর আগে শ্রী মোদী হিমাচল প্রদেশের আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সম্মেলনে দ্বিতীয় গ্রাউন্ড ব্রেকিং বৈঠকে পৌরোহিত্য করবেন। এই বৈঠক শুরু হবে বেলা ১১.৩০এ।
দেশের যেসব সম্পদকে এখনও কাজে লাগানো হয়নি সেগুলিকে প্রধানমন্ত্রী ব্যবহার করার জন্য উদ্যোগী হয়েছেন। এই প্রয়াসের অঙ্গ হিসেবে হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সম্ভাবনাগুলিকে পুরো মাত্রায় কাজে লাগানোর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এরই ফলশ্রুতিতে প্রধানমন্ত্রীর মান্ডি সফরের সময় এই সব প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হবে।
প্রধানমন্ত্রী রেনুকাজি জলাধার প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। তিন দশকের বকেয়া এই প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুসারে সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্য দিয়ে বাস্তবায়িত হবে। এই প্রকল্প রূপায়ণে কেন্দ্রীয় সরকার হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরাখন্ড এবং দিল্লীকে যুক্ত করেছে। ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষম এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। এর থেকে দিল্লী দারুনভাবে উপকৃত হবে। রেনুকাজি জলাধার প্রকল্প থেকে প্রতি বছর ৫০ কোটি ঘন মিটার জল দিল্লীতে সরবরাহ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী লুহরির জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের শিলান্যাস করবেন। ১৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পটি নির্মিত হবে। ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই প্রকল্পে প্রতি বছর ৭৫ কোটি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। অত্যাধুনিক ও নির্ভরযোগ্য গ্রিড ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলি উপকৃত হবে।
প্রধানমন্ত্রী ধৌলাসিধ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। হামিরপুর জেলায় এটি প্রথম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। ৬৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই প্রকল্প নির্মাণে ব্যয় হবে ৬৮০ কোটি টাকা। এখান থেকে বছরে ৩০ কোটি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে।
শ্রী মোদী সাওরা-কুড্ডু জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। ১১১ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই প্রকল্প নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২ হাজার ৮০ কোটি টাকা। এখান থেকে প্রতি বছর ৩৮ কোটি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। হিমাচলপ্রদেশ এই প্রকল্প থেকে বছরে ১২০ কোটি টাকার বেশি আয় করতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী হিমাচলপ্রদেশে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনের দ্বিতীয় গ্রাউন্ড ব্রেকিং বৈঠকে পৌরোহিত্য করবেন। প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের সূচনার জন্য সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।