প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১৭ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশ সফরে যাবেন। সেখানে কুনো জাতীয় উদ্যানে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে চিতা বনে ছাড়বেন তিনি। এরপর, বেলা ১২টা নাগাদ শেউপুরের কারাহল – এ এসএইচজি সম্মেলনে অংশ নেবেন।
কুনো জাতীয় উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী
কুনো জাতীয় উদ্যানে প্রধানমন্ত্রীর বন্য চিতা ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি ভারতের বৈচিত্র্যময় বন্যপ্রাণী ও তাদের জীবনযাত্রাকে পুনর্জীবিত করার অন্যতম প্রচেষ্টা। ১৯৫২ সালে ভারত থেকে চিতাকে বিলুপ্ত হিসাবে ঘোষণা করা হয়। এ বছরের শুরুতে ভারত ও নামিবিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতাপত্র অনুযায়ী নামিবিয়া থেকে এই চিতাগুলি আনা হচ্ছে। চিতা প্রকল্পের আওতায় এই চিতাগুলিকে ভারতের অরণ্যে ছাড়া হচ্ছে। এই প্রথম আন্তঃউপমহাদেশীয় বৃহত্তম বন্যপ্রাণী আদান-প্রদান হচ্ছে।
চিতাগুলি ভারতের বাস্তুতন্ত্রে ও উন্মুক্ত অরণ্যে পুনরুজ্জীবনে সাহায্য করবে। জল নিরাপত্তা, মাটির আর্দ্রতা রক্ষার মতো বাস্তুতন্ত্রের সহায়ক কাজও সম্পন্ন হবে। বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার পরিচয় এই কাজ।
এসএইচজি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেওপুর কারাহালে আয়োজিত এসএইচজি সম্মেলনে অংশ নেবেন। হাজার হাজার মহিলা ওস্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা এতে অংশ নেবেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনার আওতায় আদিবাসীদের চারটি বিশেষ বিপন্ন উপজাতির জন্য গোষ্ঠীগত দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্রও উদ্বোধন করবেন শ্রী মোদী। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যদের সশক্তিকরণ, শিক্ষা, লিঙ্গ বৈষম্য, পুষ্টি, স্বাস্থ্য, স্বচ্ছতা, ঘরোয়া হিংসার মতো বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে।