প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে কর্ণাটক সফরে যাবেন। সকাল ১১টা ৩০ মিনিট নাগাদ বেঙ্গালুরুতে ভারত শক্তি সপ্তাহ ২০২৩ – এর উদ্বোধন করবেন। এর পর, বেলা ৩টে ৩০ মিনিট নাগাদ তিনি তুমকুরুতে এইচএএল হেলিকপ্টার কারখানা জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন এবং উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন।
ভারত শক্তি সপ্তাহ ২০২৩:
প্রধানমন্ত্রী বেঙ্গালুরুতে ভারত শক্তি সপ্তাহ (আইইডব্লিউ)- ২০২৩ এর সূচনা করবেন। ৬-৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। শক্তি ক্ষেত্রে ভারতের উন্নয়নকে তুলে ধরতেই এই কর্মসূচি। অনুষ্ঠানে চিরাচরিত ও অ-চিরাচরিত শক্তি শিল্প ক্ষেত্রের নেতা সরকারি আধিকারিক এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা বর্তমানে শক্তি ক্ষেত্রের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবেন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৩০ জনেরও বেশি মন্ত্রী এতে অংশ নেবেন। উপস্থিত থাকবেন ৩০ হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি, ১ হাজার জন প্রদর্শক। ৫০০ জন বক্তা ভারতের শক্তি ক্ষেত্রের ভবিষ্যৎ ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করবেন। প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রের সিইও-দের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠক করবেন। সবুজ শক্তি ক্ষেত্রে বিভিন্ন উদ্যোগের উদ্বোধনও করবেন। শক্তি ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হবয়ে ওঠার জন্য ইথানল মিশ্রণ কর্মসূচিতে সরকার বিশেষ নজর দিয়েছে। সরকারের এই প্রচেষ্টার ফলে ২০১৩-১৪ সাল থেকে বর্তমানে ইথানল উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ছ’গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইথানল মিশ্রণ এবং জৈব জ্বালানী ক্ষেত্রে বিগত ৮ বছরে সরকারের গৃহীত নানা প্রচেষ্টা কেবল ভারতের শক্তি ক্ষেত্রকে সুরক্ষিত করেছে তাই নয়, এর ফলস্বরূপ ৩১৮ লক্ষ মেট্রিক টন কার্বনডাই অক্সাইড নির্গমন কম করা সম্ভব হয়েছে। কৃষকদের ২০১৪ সাল থেকে ২০২২ সাল – এই সময়ের মধ্যে ইথানল সরবরাহের জন্য প্রায় ৮১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
ইথানল মিশ্রণ পথদিশার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে প্রধানমন্ত্রী ই-২০ জ্বালানীর সূচনা করবেন। ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৮৪টি খুচরো বিক্রিয় কেন্দ্রে এটি পাওয়া যাবে। ই-২০ হ’ল পেট্রোলের সঙ্গে ২০ শতাংশ ইথানলের মিশ্রণ। সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ সম্পূর্ণ ইথানল মিশ্রণ করার লক্ষ্য নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী গ্রিন মোবিলিটি র্যা লির সূচনা করবেন। এই র্যা লিটিতে সবুজ শক্তির মাধ্যমে চলাচলকারী যানবাহন অংশ নেবে। এর ফলে, জনগণের মধ্যে সবুজ জ্বালানী সম্পর্কে সচেতনতা বাড়বে।
প্রধানমন্ত্রী ইন্ডিয়ান অয়েলের ‘আনবটল’ উদ্যোগের আওতায় উর্দির সূচনা করবেন। একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বন্ধের জন্য প্রধানমন্ত্রীর যে লক্ষ্য রয়েছে, তার সঙ্গে সাযুজ্য বজায় রেখে ইন্ডিয়ান অয়েল এলপিজি সরবরাহ কর্মী ও খুচরো বিক্রেতাদের উর্দি তৈরি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী ইন্ডিয়ান অয়েলের ঘরের ভেতর সৌরশক্তিতে রান্নার ব্যবস্থারও সূচনা করবেন। এর ফলে, শক্তি ক্ষেত্রে সাশ্রয় ঘটবে।
তুমকুরুতে প্রধানমন্ত্রী:
প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে আত্মনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগিয়ে প্রধানমন্ত্রী তুমকুরুতে এইচএএল হেলিকপ্টার কারখানা জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৬ সালে এই কারখানাটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।
এই হেলিকপ্টার কারখানাটি এশিয়ার বৃহত্তম হেলিকপ্টার নির্মাণকারী সুবিধা যুক্ত। এখানে প্রাথমিকভাবে হাল্কা কার্যকরি হেলিকপ্টার নির্মান করা হবে।
পরবর্তীতে কারখানায় লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারের মতো অন্যান্য হেলিকপ্টার নির্মাণের সুবিধাও সম্প্রসারণ করা হবে। এই হেলিকপ্টার কারখানাটিতে কাজ শুরু হলে এই অঞ্চলের প্রায় ৬ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
প্রধানমন্ত্রী তুমকুরুতে শিল্প টাউনশিপের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। ৮ হাজার ৪৮৪ একর জায়গা জুড়ে তিনটি ধাপে এই টাউনশিপ গড়ে তোলা হবে। তুমকুরুকে চেন্নাই-বেঙ্গালুরু শিল্প করিডরের অংশ হিসাবে গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তুমকুরুর তিপতুর এবং চিককন্যাকানাহিল্লি তালুকে দুটি জল জীবন মিশন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। ১১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এগুলি নির্মাণ করা হবে। এই প্রকল্প সম্পূর্ণ হলে এই অঞ্চলের মানুষ পরিচ্ছন্ন পানীয় জল পাবেন।