আগামীকাল, অর্থাৎ ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঝাড়খণ্ড, গুজরাট এবং ওড়িশা সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী।
আগামীকাল বেলা ১০টা নাগাদ তিনি ঝাড়খণ্ডের টাটানগর জংশন রেল স্টেশনে টাটানগর-পাটনা বন্দে ভারত ট্রেনের যাত্রা সঙ্কেত দেবেন। এরপর তিনি বেলা ১০-৩০ মিনিটে ৬৬০ কোটি টাকার বেশ কয়েকটি রেল প্রকল্পের শিলান্যাসের পাশাপাশি কয়েকটিকে উৎসর্গ করবেন জাতির উদ্দেশেও। টাটানগরেই ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা - গ্রামীণ’-এর আওতায় ২০ হাজার সুফলভোগীর হাতে তিনি মঞ্জুরিপত্র তুলে দেবেন।
পরেরদিন, অর্থাৎ ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৯-৪৫ মিনিট নাগাদ প্রধানমন্ত্রী গুজরাটের গান্ধীনগরে ‘প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর মুফত বিজলী যোজনা’র সুফলভোগীদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় মিলিত হবেন। এরপর, বেলা ১০-৩০ মিনিটে গান্ধীনগরের মহাত্মা মন্দিরে আন্তর্জাতিক পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি কর্মসূচিতে বিনিয়োগকর্তাদের এক বৈঠকের উদ্বোধন করবেন তিনি। দুপুর ১-৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন আমেদাবাদ মেট্রো রেল প্রকল্পের। সেকশন-১ মেট্রো স্টেশন থেকে গিফ্ট সিটি মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত তিনি সফরও করবেন একটি মেট্রো ট্রেনে। বিকেল ৩-৩০ মিনিটে আমেদাবাদে ৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী।
পরেরদিন, অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন ওড়িশায়। সেখানে বেলা ১১-১৫ মিনিট নাগাদ তিনি ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা - শহরাঞ্চল’-এর সুফলভোগীদের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকার পর্বে মিলিত হবেন। দুপুর ১২টা নাগাদ ৩,৮০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। কয়েকটি প্রকল্প আবার তিনি উৎসর্গ করবেন জাতির উদ্দেশেও। এই কর্মসূচিটির আয়োজন করা হয়েছে ওড়িশার ভুবনেশ্বরে।
সফরকালে ঝাড়খণ্ডের টাটানগরে ছ’টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের শুভ সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই ট্রেনগুলি হল –
(১) টাটানগর-পাটনা
(২) ভাগলপুর-দুমকা-হাওড়া
(৩) ব্রহ্মপুর-টাটানগর
(৪) গয়া-হাওড়া
(৫) দেওঘর-বারাণসী
(৬) রৌরকেলা-হাওড়া
অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি সংশ্লিষ্ট রুটগুলিতে সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করে তুলতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই নতুন ট্রেনগুলি চালু হওয়ার ফলে বিশেষভাবে উপকৃত হবেন নিয়মিত সফররত যাত্রী সাধারণ, বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত কর্মী, ব্যবসায়ী এবং ছাত্রছাত্রী। এছাড়াও, এই ট্রেনগুলির মাধ্যমে ঝাড়খণ্ডের দেওঘর, উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির, পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় কালীঘাট ও বেলুড় মঠের মতো ধর্মীয় স্থানগুলিতে খুব সহজেই পৌঁছে যাওয়া যাবে। ধানবাদের কয়লা খনি ও তার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন শিল্প সংস্থা, কলকাতার পাট শিল্প এবং দুর্গাপুরের লোহা ও ইস্পাত শিল্প সংস্থাগুলি বিশেষভাবে উপকৃত হবে।
তিনদিনের কর্মসূচিতে সংশ্লিষ্ট তিনটি রাজ্যের জন্য যে উন্নয়ন প্রকল্পগুলির শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী, তার মধ্যে রয়েছে – রেল উন্নয়ন প্রকল্প, পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি কর্মসূচি, ভবিষ্যতের লক্ষ্যে জ্বালানি সমস্যার স্থায়ী সমাধান প্রচেষ্টা, সড়ক সংযোগ প্রকল্প, ফ্লাইওভার নির্মাণ, সৌর জ্বালানি প্রকল্প, তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা ইত্যাদি।