প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ৯ – ১১ অক্টোবর গুজরাট সফর করবেন। এরপর, ১১ অক্টোবর তিনি যাবেন মধ্যপ্রদেশে।
৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী মেহসানার মধেরা’তে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। এরপর, সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ মধেশ্বরী মাতা মন্দির দর্শন ও পূজা করবেন। সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট নাগাদ তিনি সূর্য মন্দির দর্শনে যাবেন।
১০ অক্টোবর সকাল ১১টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী ভারুচের আমোদে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। বিকেল ৩টে ১৫ মিনিট নাগাদ প্রধানমন্ত্রী আহেমেদাবাদে মোদী শৈক্ষণিক সঙ্কুলের উদ্বোধন করবেন। এরপর, বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট নাগাদ প্রধানমন্ত্রী জামনগরে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন।
১১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী দুপুর ২টো ১৫ মিনিট নাগাদ আহমেদাবাদের আসরওয়া সিভিল হাসপাতালে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। এরপর, তিনি উজ্জয়িনী যাবেন। উজ্জয়িনীতে মহাকালেশ্বর মন্দিরে বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিট নাগাদ দর্শন ও পূজা করবেন। সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট নাগাদ শ্রী মহাকাল লোক উৎসর্গ করবেন প্রধানমন্ত্রী। সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিট নাগাদ উজ্জয়িনীতে এক জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
মেহসানায় প্রধানমন্ত্রী:
প্রধানমন্ত্রী মেহসানার মধেরায় একটি জনসভায় পৌরহিত্য করবেন এবং ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন।
প্রধানমন্ত্রী মধেরা গ্রামকে ভারতের প্রথম ২৪X৭ সৌর বিদ্যুৎ গ্রাম হিসাবে ঘোষণা করবেন। এই প্রকল্প এ ধরনের প্রথম কাজ। সূর্য মন্দিরের সফর মধেরাকে সৌর বিদ্যুতের সাহায্যে আলোকিত করে তোলার প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। ১ হাজার ৩০০-রও বেশি বিভিন্ন বাড়ি ও সরকারি ভবনের ছাদে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্প থেকে ভারত কিভাবে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছে, তা পরিস্ফুট হবে। এছাড়াও, এই প্রকল্পটি তৃণমূল স্তরে কি করে জনগণকে সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে সক্ষম করে তুলতে পারে – তাও প্রকাশ করবে।
প্রধানমন্ত্রী সবরমতী – জগুদান এবং আহমেদাবাদ – মেহসানা ব্রডগেজ লাইনও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এছাড়াও, রয়েছে ওএনজিসি-র নন্দসান ভূ-তাত্ত্বিক তেল উৎপাদন প্রকল্প, সিঙ্গোরা হ্রদ থেকে খেরাভা হ্রদ পর্যন্ত সুজলাং সুফলাং ক্যানেল এবং ভারোই নদী বাঁধ-ভিত্তিক প্রকল্পগুলিও উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও, বেচরাজি মোধেরা - চানাসমা রাজ্য সড়ক; উনজা - দাসাজ উপেরা লাডোল (ভানখার অ্যাপ্রোচ রোড) - এর একটি অংশ সম্প্রসারণের প্রকল্প; আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নতুন ভবন, সর্দার প্যাটেল ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এসপিআইপিএ), মেহসানা; এবং মধেরার সূর্য মন্দিরে প্রজেকশন ম্যাপিং সহ আরও একাধিক প্রকল্প রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী পাতান থেকে গোজারিয়া পর্যন্ত ৬৮ নম্বর জাতীয় সড়কের সম্প্রসারণ, জল প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্প এবং স্বয়ংক্রিয় গুঁড়ো দুধের কারখানা সহ একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। উত্তর গুজরাটের মেহসানা ও অন্যান্য জেলায় হাসপাতালগুলির সংস্কার একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন।
জনসভার পর প্রধানমন্ত্রী যাবেন মধেশ্বরী মাতা মন্দিরে। সেখানে দর্শন ও পূজা করবেন। এরপর, তিনি সূর্য মন্দিরে প্রোজেকশন ম্যাপিং শো প্রত্যক্ষ করবেন।
ভারুচে প্রধানমন্ত্রী:
প্রধানমন্ত্রী ভারুচের আমোদে ৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন।
ফার্মাসিউটিক্যাল ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারত গঠনের লক্ষ্যে আরেক ধাপ এগিয়ে প্রধানমন্ত্রী জাম্বুসারে একটি ড্রাগ পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ওষুধ প্রস্তুত ক্ষেত্রে ভারত অনেকটাই আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে। দাহেজে গভীর সমুদ্রে পাইপ লাইন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এটি বাস্তবায়িত হলে শিল্প কারখানাগুলি থেকে বর্জ্য জল নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা সহজ হবে। এছাড়াও, আঙ্কেলেশ্বর বিমান বন্দরের প্রথম ধাপের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন শিল্প পার্কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এই পার্কগুলির মধ্যে ৪টি আদিবাসী শিল্প পার্ক রয়েছে। এছাড়াও থাকবে ১টি কৃষি খাদ্য পার্ক এবং সামুদ্রিক খাদ্য পার্ক।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দেশের রাসায়নিক ক্ষেত্রকে উজ্জীবিত করতে সক্ষম এমন একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এর মধ্যে থাকবে কস্টিক সোডার কারখানা এবং ক্লোরোমেথানেস – এর একটি কারাখানা। এছাড়াও, হাইড্রাজিন প্রকল্পেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। উমল্লা আসা – পানেথা সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি।
১১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী আহমেদাবাদে আসারওয়া সিভিল হাসপাতালে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। এখানে হৃদরোগের চিকিৎসা এবং ইউ এন মেহতা ইন্সটিটিউট অফ কার্ডিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের নতুন হস্টেলের উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও, কিডনী ও ক্যান্সার রোগীদের সুবিধার্থে নতুন বিশ্রামাগার ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
জামনগরে প্রধানমন্ত্রী:
প্রধানমন্ত্রী জামনগরে ১ হাজার ৪৫০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। এর মধ্যে রয়েছে – জলসেচ, বিদ্যুৎ, জল সরবরাহ এবং নগরোন্নয়ন পরিকাঠামো।
প্রধানমন্ত্রী সৌরাষ্ট্র অবতরণ জলসেচ যোজনা লিঙ্ক-৩ এবং হরিপার – এ ৪০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী পালাভর/জামনগর তালুক, মোরবি-মালিয়া-জোডিয়া গ্রুপ অগমেন্টেশন জল সরবরাহ প্রকল্প, লালপুর বাইপাস জংশন উড়ালপুল, হাপা মার্কেট ইয়ার্ড রেলওয়ে ক্রসিং, পাম্পিং স্টেশনের সংস্কার এবং শিলান্যাস করবেন।
উজ্জয়িনীতে প্রধানমন্ত্রী:
প্রধানমন্ত্রী শ্রী মহাকাল লোক জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। মহাকাল লোক প্রকল্পের প্রথম ধাপটি এই মন্দিরে আগত দর্শনার্থীদের বিশ্বমানের আধুনিক সুবিধা প্রদান করবে। এই প্রকল্পে মন্দির এলাকার ভিড় নিয়ন্ত্রণ সহ ঐতিহ্যবাহী নির্মাণগুলি সংরক্ষণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প রূপায়ণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮৫০ কোটি টাকা। বর্তমানে এই মন্দিরে প্রতি বছর প্রায় দেড় কোটি ভক্তের সমাগম হয়।
মহাকাল পথে ১০৮টি স্তম্ভ রয়েছে, যাতে ভগবান শিবের আনদ তান্ডব স্বরূপের বিভিন্ন রূপ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই মহাকাল পথে ভগবান শিবের জীবনের নানা কাহিনী রেখাঙ্কিত করা হয়েছে। প্রায় আড়াই হেক্টর বিস্তৃত প্লাজা এলাকায় রয়েছে একটি পদ্মপুকুর। সেখানে ভগবান শিবের একটি মূর্তি ও ফোয়াড়াও রয়েছে। এই সমগ্র এলাকাটি কৃত্রিম বুদ্ধমত্তা ও সিসি টিভির মাধ্যমে সমগ্র এলাকাটিতে ২৪ নজরদারি চালানো হবে।