প্রধানমন্ত্রী গুজরাটে প্রায় ১৫ হাজার ৬৭০ কোটি টাকার একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন
প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারতের দক্ষতা প্রকাশের এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী ডেফএক্সপো ২০২২ – এর উদ্বোধন করবেন
এই প্রথম শুধুমাত্র ভারতীয় সংস্থাগুলির উৎপাদিত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে
প্রধানমন্ত্রী ডেফস্পেস উদ্যোগের সূচনা করবেন, দিশা এয়ারফিল্ডের শিলান্যাস করবেন এবং সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত প্রশিক্ষণের জন্য বিমান এইচটিটি ৪০ জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন
প্রধানমন্ত্রী কেভাডিয়ায় মিশন লাইফ – এর সূচনা করবেন
প্রধানমন্ত্রী কেভাডিয়ায় ভারতীয় দূতাবাসের প্রধানদের দশম সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন
প্রধানমন্ত্রী রাজকোটে ইন্ডিয়া আর্বান হাউসিং কনক্লেভ ২০২২ – এর উদ্বোধন করবেন; তিনি ৫ হাজার ৮৬০ কোটি টাকার একগুচ্ছ প্রকল্পের জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ ও শিলান্যাস করবেন
প্রধানমন্ত্রী গুজরাটে ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকার উৎকর্ষ স্কুল মিশন – এর সূচনা করবেন
প্রধানমন্ত্রী জুনাগড়ে ৩ হাজার ৫৮০ কোটি টাকার এবং ভিয়ারায় ১ হাজার ৯৭০ কোটি টাকার একগুচ্ছ উন্নয়নমূ

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১৯ ও ২০ অক্টোবর গুজরাট সফর করবেন। সফরকালে তিনি প্রায় ১৫ হাজার ৬৭০ কোটি টাকার একগুচ্ছ প্রকল্প উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন।

১৯ অক্টোবর সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী গান্ধীনগরে মহাত্মা মন্দির কনভেনশন অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে ডেফএক্সপো ২২ – এর উদ্বোধন করবেন। তিনি আদালাজে বেলা ১২টায় উৎকর্ষ স্কুল মিশন – এর সূচনা করবেন। বিকেল ৩টে ১৫ মিনিটে জুনাগড়ে একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। সন্ধ্যে ৬টায় শ্রী মোদী রাজকোটে ইন্ডিয়া আর্বান হাউসিং কনক্লেভ ২০২২ – এর উদ্বোধন করবেন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ ও শিলান্যাস করবেন। এরপর, তিনি রাজকোটে সন্ধ্যে ৭টা ২০ মিনিটে উদ্ভাবনমূলক নির্মাণ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত একটি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন।

প্রধানমন্ত্রী ২০ অক্টোবর সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে কেভাডিয়ায় মিশন লাইফ – এর সূচনা করবেন। বেলা ১২টায় তিনি বিভিন্ন দেশের ভারতীয় দূতাবাসের প্রধানদের দশম সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। এরপর, ভিয়ারায় ৩টে ৪৫ মিনিটে একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন।

গান্ধীনগরে প্রধানমন্ত্রী:

প্রধানমন্ত্রী ডেফএক্সপো ২০২২ – এর উদ্বোধন করবেন। এবারের এক্সপো-র মূল ভাবনা গর্বের পথে একধাপ বা ‘পাথ টু প্রাইড’। এই প্রথম প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের প্রদর্শনীতে সবচেয়ে বেশি ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলি অংশগ্রহণ করছে। প্রদর্শনীতে বিদেশি সংস্থাগুলির অধীনস্ত ভারতীয় প্রতিষ্ঠান, ভারতে নিবন্ধীকৃত বিভিন্ন সংস্থার শাখা, কোনও ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানগুলি অংশ নিতে চলেছে। এর আগে শুধুমাত্র ভারতীয় প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে এ ধরনের প্রদর্শনী হয়নি। এর মধ্য দিয়ে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতীয় সংস্থাগুলির দক্ষতা এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের প্রসার ঘটানোর সুযোগ প্রতিফলিত হবে। এক্সপো-তে ভারত প্যাভিলিয়নের পাশাপাসি, ১০ রাজ্যের প্যাভিলিয়ন থাকছে। প্রধানমন্ত্রী ভারত প্যাভিলিয়নে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত প্রতিরক্ষা কাজে ব্যবহৃত বিমান এইটিটি ৪০-র উদ্বোধন করবেন। হিন্দুস্তান অ্যারোনেটিক্স লিমিটেড এটির মূল নক্‌শা তৈরি করেছে। এই বিমানে অত্যাধুনিক বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা রয়েছে এবং এটি চালক-বান্ধব।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মিশন ডেফস্পেস – এর সূচনা করবেন। বিভিন্ন শিল্প সংস্থা ও স্টার্টআপ-গুলির সাহায্যে মহাকাশে প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য নানা সমস্যার সমাধান এই মিশনের মাধ্যমে করা হবে। শ্রী মোদী গুজরাটে দিশা এয়ারফিল্ডেরও শিলান্যাস করবেন। দেশের সীমান্ত এলাকার কাছাকাছি বিমান বাহিনীর ঘাঁটিগুলিকে আরও সুরক্ষিত করার উদ্যোগের অঙ্গ হিসাবে এটি নির্মাণ করা হবে।

ইন্ডিয়া – আফ্রিকা : প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কৌশলগত ব্যবস্থা গ্রহণ শীর্ষক বিষয়ে ভারত – আফ্রিকা প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত দ্বিতীয় আলোচনাচক্র প্রদর্শনী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলির মধ্যে শান্তি, উন্নয়ন, স্থিতাবস্থা ও সমৃদ্ধ নিশ্চিত করার জন্য সর্বাঙ্গীন আলোচনা কর্মসূচি ইন্ডিয়ান ওশান রিজিয়ন প্লাস – এর দ্বিতীয় সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর সাগর কর্মসূচির সাযুজ্য রেখেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সরঞ্জামের উৎপাদক সংস্থাগুলির জন্য প্রথম বিনিয়োগকারী সম্মেলনও এখানে অনুষ্ঠিত হবে। মন্থন ২০২২ কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্টার্ট সংস্থা তাদের উদ্ভাবিত সামগ্রী প্রদর্শন করবে। এছাড়াও বন্ধন কর্মসূচির আওতায় ৪৫১টি সংস্থার মধ্যে সমঝোতা গড়ে উঠবে। 

প্রধানমন্ত্রী আদালাজে ত্রিমন্দিরে উৎকর্ষ স্কুল মিশনের সূচনা করবেন। এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধার্য হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। এই অনুষ্ঠানে শ্রী মোদী ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের সূচনা করবেন। এর মাধ্যমে গুজরাটের নতুন নতুন শ্রেণীকক্ষ, স্মার্ট ক্লাস, কম্প্যুটার গবেষণাগার নির্মাণ এবং স্কুলগুলির সার্বিক পরিকাঠামোর মানোন্নয়ন ঘটানো হবে।

জুনাগড়ে প্রধানমন্ত্রী:

প্রধানমন্ত্রী জুনাগড়ে প্রায় ৩ হাজার ৫৮০ কোটি টাকার একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন।

তিনি উপকূল অঞ্চলের যেসব স্থানে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি, সেগুলিকে যুক্ত করে মহাসড়কের মানোন্নয়ন কর্মসূচির শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পের প্রথম পর্বে ১৩টি জেলায় মোট ২৭০ কিলোমিটার সড়কের মানোন্নয়ন ঘটানো হবে।

প্রধানমন্ত্রী জুনাগড়ে ২টি জল সরবরাহ প্রকল্পের এবং কৃষিপণ্য মজুত রাখার জন্য গুদামঘর নির্মাণ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। পোরবন্দরে তিনি মাধবপুরের শ্রীকৃষ্ণ রুক্মিনী মন্দিরের সার্বিক উন্নয়ন প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। তিনি পোরবন্দরের মৎস্য বন্দরের পলি তোলা, জল সরবরাহ ও পয়ঃনিকাশি ব্যবস্থার শিলান্যাস করবেন। গির সোমনাথে শ্রী মোদী মাধওয়াড়ে একটি মৎস্য বন্দর গড়ে তোলা সহ ২টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন।

রাজকোটে প্রধানমন্ত্রী:

প্রধানমন্ত্রী রাজকোটে ৫ হাজার ৮৬০ কোটি টাকার একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। তিনি ইন্ডিয়া আর্বান হাউসিং কনক্লেভ ২০২২ – এর উদ্বোধন করবেন। ভারতীয় আবাসন শিল্পের পরিকল্পনা, নক্‌শা তৈরি, নীতি প্রণয়ন, দায়বদ্ধতা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এখানে আলোচনা হবে। এই অনুষ্ঠানের পর তিনি নির্মাণ শিল্পের বিভিন্ন উদ্ভাবনমূলক উদ্যোগ সংক্রান্ত প্রদর্শনীরও উদ্বোধন করবেন।

এক জনসমাবেশে শ্রী মোদী লাইট হাউস প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ১ হাজার ১০০-রও বেশি বাড়ি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। ঐ অনুষ্ঠানেই তিনি সংশ্লিষ্ট সুবিধাভোগীদের হাতে বাড়ির চাবি তুলে দেবেন। এছাড়াও, নর্মদা ক্যানেল পাম্পিং স্টেশনে দ্বিতীয় ব্রাহ্মনী জলাধার থেকে মোরবি বাল্ক পাইপলাইন প্রকল্পটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এছাড়াও, তাঁর আঞ্চলিক বিজ্ঞান কেন্দ্র, উড়ালপুল, সেতু সহ সড়ক সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্পও উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী গুজরাটে ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের চারলেনের রাজকোট – গোন্ডাল – জেটপুর শাখাটি ছয় লেনে উন্নীত করার প্রকল্পটির শিলান্যাস করবেন। এছড়াও, মোরবি, রাজকোট, বোতাদ, জামনগর ও কচ্ছে জিআইডিসি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এগুলি নির্মাণে ব্যয় হবে ২ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। অন্যান্য যেসব প্রকল্পগুলির রাজকোটে শিলান্যাস হবে, তার মধ্যে রয়েছে – আমূলের গাধকায় দুধ উৎপাদন কেন্দ্র, রাজকোটে ইন্ডোর স্পোর্টস্‌ কমপ্লেক্স, ২টি জল সরবরাহ প্রকল্প সহ সড়ক ও রেলপথের একগুচ্ছ প্রকল্প।

কেভাডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী:

প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব শ্রী আন্তোনিয় গুতারেজের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। এরপর, একতানগরে স্ট্যাচু অফ ইউনিটিতে শ্রী গুতারেজের উপস্থিতিতে মিশন লাইফ – এর সূচনা করা হবে। পরিবেশ রক্ষা ও সংরক্ষণের জন্য ভারতের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক স্তরে এক গণআন্দোলনের যে পরিকল্পনা প্রধানমন্ত্রী করেছেন, তা এই মিশনের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে।

সুস্থায়ী একটি ব্যবস্থার দিকে আমাদের সার্বিক উদ্যোগের মধ্য দিয়ে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনাই মিশন লাইফ – এর উদ্দেশ্য। এক্ষেত্রে ৩টি উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রথমত, চাহিদা সৃষ্টির জন্য ব্যক্তি-বিশেষকে তাঁদের দৈনন্দিন জীবনে পরিবেশ-বান্ধব বিভিন্ন আচরণে উৎসাহিত করা হবে। দ্বিতীয়ত, সরবরাহ ব্যবস্থার জন্য শিল্প সংস্থাগুলিকে চাহিদার পরিবর্তন অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সাহায্য করা হবে। তৃতীয়ত, সুস্থায়ীভাবে উৎপাদন ও বিভিন্ন সামগ্রী ব্যবহারের জন্য সরকারকে প্রভাবিত করা। এর মধ্য দিয়ে প্রয়োজনীয় শিল্প নীতি প্রণয়ন করা যাবে।

শ্রী মোদী বিভিন্ন দেশে ভারতীয় দূতাবাসগুলির প্রধানদের দশম সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। বিদেশ মন্ত্রক কেভাডিয়ায় ২০ থেকে ২২ অক্টোবর এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনে ১১৮টি ভারতীয় দূতাবাসের প্রধানরা ২৩টি অধিবেশনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। এর মধ্যে বর্তমানে বিশ্ব জুড়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক অবস্থা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভারতের বিদেশ নীতিতে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়গুলি সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। দূতাবাসগুলির প্রধানরা তাঁদের নিজ নিজ রাজ্যে সফর করছেন। সফরকালে উচ্চাকাঙ্খী জেলা, এক জেলা – এক পণ্য, অমৃত সরোবর মিশন সহ বিভিন্ন ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পের বিষয়ে তাঁরা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছেন।

ভিয়ারায় প্রধানমন্ত্রী:

প্রধানমন্ত্রী তাপির ভিয়ারায় ১৯৭০ কোটি টাকার একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। তিনি সাপুতারা থেকে স্ট্যাচু অফ ইউনিটির মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী সড়ক, তাপি ও নর্মদা জেলায় বিভিন্ন জল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।