প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী ১১-১২ মার্চ গুজরাট সফর করবেন। আগামী ১১ তারিখ বিকেল ৪টে নাগাদ প্রধানমন্ত্রী গুজরাটে পঞ্চায়েত মহাসম্মেলনে যোগ দিয়ে এক সমাবেশে ভাষণ দেবেন। পরেরদিন অর্থাৎ, ১২ মার্চ বেলা ১১টায় তিনি রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় (আরআরবি) জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি ভাষণ দেবেন। সেদিনই সন্ধ্যা ৬-৩০ মিনিট নাগাদ প্রধানমন্ত্রী একাদশ খেল মহাকুম্ভের সূচনা করে ভাষণ দেবেন।
গুজরাটে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থায় ৩৩টি জেলা পঞ্চায়েত, ২৪৮টি তালুক পঞ্চায়েত এবং ১৪,৫০০টির বেশি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। ‘গুজরাট পঞ্চায়েত মহাসম্মেলন : আপনু গাম, আপনু গৌরব’ অনুষ্ঠানে রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার ১ লক্ষেরও বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন।
পুলিশি ব্যবস্থা, অপরাধ বিচার ও কারা প্রশাসনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উচ্চ গুণমানবিশিষ্ট প্রশিক্ষিত মানবসম্পদের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় (আরআরবি) গড়ে তোলা হয়েছে। ২০১০-এ গুজরাট সরকার যে রক্ষা শক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলেছিল, তার মানোন্নয়ন ঘটিয়ে সরকার জাতীয় পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলেছে। এখন এর নামকরণ হয়েছে রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়। জাতীয় স্তরের গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানটির সূচনা হয় ২০২০-র ১ অক্টোবর। জ্ঞান ও সম্পদের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি সামঞ্জস্য গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। সেইসঙ্গে, পুলিশ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে উৎকর্ষ কেন্দ্র স্থাপন করবে।
রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি ব্যবস্থা সম্পর্কিত বিজ্ঞান, অপরাধ আইন ও বিচার, সাইবার মনস্তত্ত্ব, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও সাইবার নিরাপত্তা, অপরাধের তদন্ত, কৌশলগত ভাষা, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও রণকৌশল, শারীরশিক্ষা ও ক্রীড়া, উপকূল ও সামুদ্রিক নিরাপত্তার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা থেকে ডক্টরেট পর্যায় পর্যন্ত পঠনপাঠন হয়ে থাকে। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮টি রাজ্যের ৮২২ জন পড়ুয়া রয়েছেন।
২০১০-এ গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১৬টি ভিন্ন ভিন্ন ক্রীড়া বিভাগে ১৩ লক্ষের বেশি প্রতিযোগীর অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে খেল মহাকুম্ভের সূচনা করেন। আজ এই ক্রীড়া মহাযজ্ঞে সর্বসাধারণের অংশগ্রহণের জন্য ৩৬টি ভিন্ন ভিন্ন ক্রীড়া সহ ২৬টি প্যারা-স্পোর্টর্স রয়েছে। একাদশ খেল মহাকুম্ভে ৪৫ লক্ষের বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহণের জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন।
খেল মহাকুম্ভ গুজরাটে খেলাধূলায় বিপ্লব এনেছে। এই ক্রীড়াযজ্ঞে অংশগ্রহণের জন্য কোনও বয়সসীমা নির্ধারিত না থাকায় সর্বস্তরের বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশগ্রহণ করে থাকেন। দীর্ঘ এক মাস ধরে এই ক্রীড়া মহাযজ্ঞ চলবে। স্বাভাবিকভাবেই কাবাডি, খো-খো, দড়ি টানাটানি, যোগাসন, মল্লখম্ভ-এর মতো চিরাচরিত খেলাগুলির পাশাপাশি টেনিস, ফেন্সিং, আর্টিস্টিক স্কেটিং-এর মতো আধুনিক খেলাধূলার ক্ষেত্রে এই খেল মহাকুম্ভ এক অনন্য সঙ্গম হয়ে উঠেছে। এমনকি, এই খেল মহাকুম্ভ একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে প্রতিভা খুঁজে বের করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। গুজরাটে প্যারা-স্পোর্টর্সের প্রসারে খেল মহাকুম্ভের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।