প্রধানমন্ত্রী দাহোদে আদিজাতি মহা সম্মেলনে যোগ দেবেন, সেই সঙ্গে ২২ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা ও শিলান্যাস করবেন
প্রধানমন্ত্রী জামনগরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরম্পরাগত আন্তর্জাতিক চিকিৎসা কেন্দ্রের শিলান্যাস করবেন; তিনি গান্ধীনগরে বিশ্ব আয়ুষ বিনিয়োগ ও উদ্ভাবন শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন
প্রধানমন্ত্রী বনসকাঁথায় দিয়োদারে বনস ডেয়ারি সঙ্কুলে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ ও শিলান্যাস করবেন
প্রধানমন্ত্রী গান্ধীনগরে বিদ্যালয়গুলির কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার পরিদর্শন করবেন
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী ১৮ – ২০ এপ্রিল গুজরাট সফর করবেন। ১৮ তারিখ তিনি সন্ধে ৬টা নাগাদ গান্ধীনগরে বিদ্যালয়গুলির কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার পরিদর্শনে যাবেন। পরদিন অর্থাৎ ১৯ তারিখ সকাল ৯টা ৪০ মিনিট নাগাদ তিনি বনসকাঁথার দিয়োদারে বনস ডেয়ারি সঙ্কুলে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ ও শিলান্যাস করবেন। সেদিনই তিনি বেলা ৩টে ৩০ মিনিট নাগাদ জামনগরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আন্তর্জাতিক পরম্পরাগত চিকিৎসা কেন্দ্রের শিলান্যাস করবেন। আগামী ২০ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী গান্ধীনগরে বিশ্ব আয়ুষ বিনিয়োগ ও শীর্ষ সম্মেলনের সূচনা করবেন। এরপর বেলা তিনটে ৩০ মিনিট নাগাদ শ্রী মোদী দাহোদে আদিজাতি মহাসম্মেলন উদ্বোধন তথা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা ও শিলান্যাস করবেন।
 
বিদ্যালয় কম্যান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টারে প্রধানমন্ত্রী :-
 
প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৮ই এপ্রিল গান্ধীনগরে সন্ধে ৬টা নাগাদ বিদ্যালয়গুলির কম্যান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার পরিদর্শন করবেন। এই কেন্দ্রটি প্রতি বছর ৫০০ কোটির বেশি ডেটা সংগ্রহ করে। সংগৃহীত এই ডেটা বা তথ্য ডেটা অ্যানালিটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং পদ্ধতির মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে দেখা হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সার্বিক শিক্ষা গ্রহণের গুণমান বাড়াতেই এই কেন্দ্রটি কাজ করে থাকে। এছাড়াও এই কেন্দ্রটি শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইনে দৈনিক উপস্থিতিতে নজরদারি তথা ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা গ্রহণের মান নির্দিষ্ট সময় অন্তর মূল্যায়ন এবং এই সংক্রান্ত তথ্য একত্রিত করে থাকে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক এই কম্যান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টারটিকে সেরা আন্তর্জাতিক পন্থা-পদ্ধতি অনুসরণ করার স্বীকৃতি দিয়েছে। এমনকি, এই কেন্দ্রটির বিভিন্ন কাজকর্ম দেখার জন্য বিভিন্ন দেশকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। 
 
বনসকাঁথায় দিয়োদারে বনস ডেয়ারি সঙ্কুলে প্রধানমন্ত্রী :-
 
প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৯ এপ্রিল সকাল ৯টা ৪০ মিনিট নাগাদ বনসকাঁথা জেলার দিয়োদারে একটি নতুন ডেয়ারি কমপ্লেক্স ও আলু প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এগুলি নির্মাণে খরচ হয়েছে ৬০০ কোটি টাকার বেশি। উল্লেখ করা যেতে পারে, নবনির্মিত এই ডেয়ারি কমপ্লেক্সটি গ্রীণফিল্ড প্রকল্প। এই ডেয়ারি কমপ্লেক্সে প্রতিদিন ৩০ লক্ষ লিটার দুধ প্রক্রিয়াকরণ, প্রায় ৮০ টন মাখন উৎপাদন, এক লক্ষ লিটার আইসক্রিম উৎপাদন, ২০ টন ঘন দুধ উৎপাদন এবং ছয় টন চকলেট উৎপাদন হবে। আলু প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রটিতে বিভিন্ন ধরণের প্রক্রিয়াজাত খাদ্য সামগ্রী, যেমন – ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, পটাটো চিপস, আলু টিক্কি, প্যাটিজ প্রভৃতি তৈরি হবে। এমনকি, অধিকাংশ প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পণ্য রপ্তানিও করা হবে। এই কেন্দ্রটি স্থানীয় কৃষকদের ক্ষমতায়ন এবং এই অঞ্চলে গ্রামীণ অর্থনীতি বিকাশে সাহায্য করবে। 
 
প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী বনস কমিউনিটি রেডিও স্টেশন জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। কৃষিকাজ ও গবাদি পশুপালন সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রচারের জন্য এই রেডিও স্টেশনটি গড়ে তোলা হয়েছে। ১ হাজার ৭০০টির বেশি গ্রামের ৫ লক্ষের বেশি কৃষক এই রেডিও স্টেশন থেকে উপকৃত হবেন বলে আশাকরা হচ্ছে। 
 
প্রধানমন্ত্রী পালানপুরে বনস ডেয়ারি প্ল্যান্টে চিজ এবং হুই পাউডার উৎপাদনের জন্য সম্প্রসারিত কেন্দ্রটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এরপর তিনি গুজরাটের দামায় জৈব সার ও জৈব গ্যাস প্ল্যান্ট জাতির উদ্দেশ উৎসর্গ করবেন। 
 
প্রধানমন্ত্রী এরপর খিমানা, রতনপুরা – ভিলডি, রাধানপুর এবং থাওয়ারে ১০০ টন উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন চারটি গোবর গ্যাস প্ল্যান্টের শিলান্যাস করবেন। 
 
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরম্পরাগত আন্তর্জাতিক চিকিৎসা কেন্দ্র :
 
প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৯ এপ্রিল বেলা তিনটে ৩০ মিনিটে জামনগরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরম্পরাগত আন্তর্জাতিক চিকিৎসা কেন্দ্রের শিলান্যাস করবেন। এই অনুষ্ঠানে মরিসাসের প্রধানমন্ত্রী মিঃ প্রবিন্দ কুমার জগন্নাথ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) মহানির্দেশক টেড্রস গেব্রেইসাস উপস্থিত থাকবেন। এটি সারা বিশ্বে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এধরণের একমাত্র কেন্দ্র হয়ে উঠছে। এই কেন্দ্রটি সারা বিশ্বে রোগী কল্যাণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক হাব হয়ে উঠবে। 
 
বিশ্ব আয়ুষ বিনিয়োগ ও উদ্ভাবন শীর্ষ সম্মেলন :
 
বিশ্ব আয়ুষ বিনিয়োগ ও উদ্ভাবন শীর্ষ সম্মেলন গান্ধীনগরে মহাত্মা মন্দিরে আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী আগামী ২০ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ এই সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মরিসাসের প্রধানমন্ত্রী এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহানির্দেশক উপস্থিত থাকবেন। তিন দিনের এই সম্মেলনে প্রায় ৯০ জন বিশিষ্ট বক্তা এবং ১০০ জন প্রদর্শক পাঁচটি পূর্ণাঙ্গ সভা, আটটি গোল টেবিল বৈঠক, ছয়টি কর্মশিবির এবং দুটি সেমিনারে অংশ নেবেন। এই সম্মেলন বিনিয়োগের সম্ভাবনা খুঁজে বের করার পাশাপাশি উদ্ভাবন, গবেষণা ও উন্নয়ন, স্টার্ট আপ ক্ষেত্রের অনুকূল পরিবেশ এবং রোগী কল্যাণের মত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলির অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা নেবে। শিল্পপতি, শিক্ষাবিদ ও বিশেষজ্ঞদের একমঞ্চে নিয়ে এসে ভবিষ্যৎ সহযোগিতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।  
 
দাহোদে আদিজাতি মহাসম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী :
 
প্রধানমন্ত্রী আগামী ২০ এপ্রিল বেলা তিনটে ৩০ মিনিট নাগাদ দাহোদে আদি জাতি মহাসম্মেলনে যোগ দেবেন। এই সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি ২২ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। দুই লক্ষের বেশি মানুষ এই সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। 
 
প্রধানমন্ত্রী ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বেশি বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। নর্মদা নদী অববাহিকায় দাহোদ জেলার দক্ষিণাংশের জন্য যে আঞ্চলিক জল সরবরাহ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, সেটিরও তিনি সূচনা করবেন। এই প্রকল্প খাতে খরচ হয়েছে ৮৪০ কোটি টাকা। দাহোদ জেলায় প্রায় ২৮০টি গ্রামে এবং দেবগড় বাড়িয়া শহরে এই প্রকল্পটি থেকে জল সরবরাহ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী দাহোদ স্মার্টসিটিতে পাঁচটি প্রকল্পের সূচনা করবেন। এই প্রকল্প খাতে খরচ হয়েছে ৩৩৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে রয়েছে ইন্টিগ্রেডেট কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার ভবন, বন্যার জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা, পয়ঃপ্রণালী, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বর্ষার জল সংরক্ষণ ব্যবস্থা। 
 
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে পঞ্চমহল ও দাহোদ জেলার ১০ হাজার আদিবাসীকে ১২০ কোটি টাকা সাহায্য দেওয়া হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী ৬৬ কিলোভোল্ট ক্ষমতাসম্পন্ন ঘোড়িয়া সাবস্টেশন, পঞ্চায়েত ভবন, অঙ্গনওয়াড়ি প্রভৃতি কেন্দ্রের সূচনা করবেন। 
 
প্রধানমন্ত্রী দাহোদে রেলের উৎপাদন ইউনিটে নয় হাজার অশ্ব ক্ষমতা সম্পন্ন ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিন তৈরির শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্প খাতে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। উল্লেখ করা যেতে পারে, বাষ্পচালিত রেল ইঞ্জিনের সংস্কার ও মেরামতের জন্য ১৯২৬-এ রেলের দাহোদ ওয়ার্কশপ স্থাপিত হয়েছিল। এই ওয়ার্কশপটিকে বৈদ্যুতিন রেলইঞ্জিন নির্মাণের উপযোগী করে তোলা হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোগত মানোন্নয়ন করা হয়েছে। এই কেন্দ্রটি চালু হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে প্রায় ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। প্রধানমন্ত্রী রাজ্য সরকারের প্রায় ৫৫০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এরমধ্যে রয়েছে, ৩০০ কোটি টাকার জল সরবরাহ প্রকল্প, প্রায় ১৭৫ কোটি টাকার দাহোদ স্মার্টসিটি প্রকল্প, দুধিমতি নদীর সঙ্গে যুক্ত একাধিক প্রকল্প, ঘোড়িয়ায় জিইটিসিও-এর সাবস্টেশন প্রভৃতি।  
Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।