defence
প্রধানমন্ত্রী ১২ মার্চ, ২০২৪ গুজরাট এবং রাজস্থান সফরে যাবেন। সকাল ৯টা ১৫ নাগাদ প্রধানমন্ত্রী আমেদাবাদে ৮৫ হাজার কোটি টাকার বেশি মূল্যের একাধিক প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ ও শিলান্যাস করবেন। তার পরে ১০টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী সবরমতি আশ্রমে যাবেন, সেখানে কোছরাব আশ্রমের উদ্বোধন করবেন এবং গান্ধী আশ্রম মেমোরিয়ালের মাস্টার প্ল্যানের সূচনা করবেন। এর পরে ১টা ৪৫ নাগাদ প্রধানমন্ত্রী রাজস্থানের পোখরানে তিন বাহিনীর অগ্নি এবং সমর মহড়ায় দেশে তৈরি প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের ‘ভারত শক্তি’ নামের প্রদর্শনীর সাক্ষী থাকবেন।
পোখরানে প্রধানমন্ত্রী
দেশের আত্মনির্ভর উদ্যোগের অঙ্গ হিসেবে শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ ‘ভারত শক্তি’তে প্রদর্শিত হবে দেশজ প্রযুক্তিতে তৈরি অস্ত্রসম্ভার। জলে, স্থলে, আকাশে, সাইবার এবং মহাকাশে যেকোনো রকম আক্রমণের মোকাবিলয় ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা প্রদর্শিত হবে নানা ধরনের মাধ্যমে।
মহড়ায় থাকবে টি৯০ (১এম) ট্যাঙ্ক, ধনুষ এবং সারং বন্দুক, আকাশ অস্ত্র ব্যবস্থা, লজিস্টিকস ড্রোন, রোবোটিক মিউলস, উন্নত হালকা হেলিকপ্টার এবং একাধিক মানববিহীন আকাশযান। ভারতীয় স্থল বাহিনী প্রদর্শন করবে উন্নত স্থল যুদ্ধের মহড়া এবং আকাশ পথে টহলদারির ক্ষমতা।
ভারতীয় নৌ বাহিনী প্রদর্শন করবে জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, স্বয়ংক্রিয় মালবাহী আকাশযান এবং আকাশ পথে লক্ষ্যভেদ করার ব্যবস্থা। তুলে ধরা হবে সমুদ্রে ভারতের সক্ষমতা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা। ভারতীয় বিমানবাহিনী দেশে তৈরি হালকা যুদ্ধ বিমান তেজস, হালকা সর্ব কাজে ব্যবহারযোগ্য হেলিকপ্টার ও উন্নত হালকা হেলিকপ্টার।
দেশজ প্রযুক্তির মাধ্যমে বর্তমানে অথবা ভবিষ্যতে যে কোনো সমস্যার মোকাবিলায় ভারতের প্রস্তুতি তুলে ধরতে ‘ভারত শক্তি’ আলোকপাত করবে দৃঢ়তা, উদ্ভাবন এবং আন্তর্জাতিক স্তরে সমকক্ষ ভারতের নিজের তৈরি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উপর।
আমেদাবাদে প্রধানমন্ত্রী
রেল পরিকাঠামো এবং যোগাযোগে গতি আনতে প্রধানমন্ত্রী আমেদাবাদে ডিএফসি-র অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টারে যাবেন এবং ৮৫ হাজার কোটি টাকার বেশি মূল্যের একাধিক রেল প্রকল্প উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ১০টি নতুন বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধন করবেন, চারটি বন্দে ভারত ট্রেনের যাত্রাপথ বৃদ্ধির সূচনা করবেন, আসানসোল এবং হাটিয়া ও তিরুপতি ও কোল্লাম স্টেশনের মধ্যে দুটি যাত্রিবাহী ট্রেনের সূচনা করবেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডোরে মালবাহী গাড়ির যাত্রার সূচনাও করবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী ৫০টি রেল স্টেশনে প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জনৌষধি কেন্দ্র জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। প্রধানমন্ত্রী ৫১টি গতিশক্তি মাল্টিমোডাল মাল ওঠানোনামানোর কেন্দ্র জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ৮০টি শাখায় ১ হাজার ৪৫ রেল কিলোমিটার পথের অটোমেটিক সিগনালিং-এর সূচনা করবেন। ২ হাজার ৬৪৬টি স্টেশনে ডিজিটাল কন্ট্রোলিং জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। ৩৫টি রেলকোচ রেস্তোঁরা ছাড়াও ১ হাজার ৫০০টির বেশি এক স্টেশন এক পণ্য স্টলের উদ্বোধন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ৯৭৫টি জায়গার সৌর বিদ্যুৎচালিত স্টেশন/ভবন জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এছাড়াও উদ্বোধনের তালিকায় আছে নতুন বৈদ্যুতিক শাখা, রেললাইনের ডাবলিং, রেলের মাল রাখার জায়গার উন্নয়ন, ওয়ার্কশপ, লোকোশেড ইত্যাদি।
সবরমতিতে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত কোছরাব আশ্রমের উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী গান্ধী আশ্রম মেমোরিয়ালের মাস্টার প্ল্যানের সূচনা করবেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিয়ত মহাত্মা গান্ধীর আদর্শকে তুলে ধরতে সচেষ্ট। সেইসঙ্গে তিনি বিভিন্ন পন্থা নিয়েছেন মহাত্মাজির আদর্শকে তুলে ধরতে এবং তাকে মানুষের কাছে নিয়ে যেতে। গান্ধী আশ্রম মেমোরিয়াল প্রকল্প মহাত্মা গান্ধীর বাণী এবং দর্শনকে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাজে তুলে ধরতে সাহায্য করবে। মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী বর্তমানে আশ্রমের ৫ একর জায়গাটি বাড়িয়ে ৫৫ একর করা হবে। ৩৬টি ভবনের সংস্কার করা হবে। গান্ধীর বাসস্থান ‘হৃদয় কুঞ্জ’ সহ ২০টি বাড়ি সংরক্ষণ করা হবে।
নতুন প্রশাসনিক ভবন তৈরি হবে। দর্শকদের সুবিধার জন্য ওরিয়েন্টেশন সেন্টার ছাড়াও চরকায় সুতো কাটা, হাতে কাগজ তৈরি, সুতো বোনা, চর্ম শিল্প হাতে কলমে দেখানো হবে দর্শকদের। ভবনটিতে গান্ধীজির জীবন এবং আশ্রমের ইতিহাস নিয়ে প্রদর্শনী থাকবে।
মাস্টার প্ল্যানে একটি লাইব্রেরি এবং আরকাইভ গড়ে তোলার পরিকল্পনা আছে। আশ্রমের গ্রন্থাগার এবং আরকাইভ যাতে গবেষকরা ব্যবহার করতে পারেন, তার জন্য ব্যবস্থা করা হবে। বিভিন্ন ভাষায় দর্শকদের সঙ্গে বার্তালাপের ব্যবস্থা করা হবে, যাতে দর্শকরা সাংস্কৃতিক এবং বৌদ্ধিকভাবে সমৃদ্ধ হন।
মেমোরিয়ালটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। লালন করবে গান্ধীজির ভাবনাকে। তুলে ধরবে গান্ধীজির মূল্যবোধকে।