প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১২ জুলাই দেওঘর ও পাটনা সফর করবেন। দেওঘরে বেলা ১-১৫ মিনিট নাগাদ ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি মূল্যের বিভিন্ন উন্নয়নী প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন তিনি। এরপর ২-৪০ মিনিটে দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম বাবা বৈদ্যনাথ মন্দিরে দর্শন ও পূজা করবেন। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী পাটনায় বিহার বিধানসভার শতবর্ষ উদযাপনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন।
দেওঘরে প্রধানমন্ত্রী
পরিকাঠামো উন্নয়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বাড়াতে এবং এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা আরও সহজ করতে প্রধানমন্ত্রী দেওঘরে ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি মূল্যের বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পগুলি এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে।
সারা দেশের তীর্থযাত্রীরা যাতে সরাসরি বাবা বৈদ্যনাথ ধামের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী দেওঘর বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন। প্রায় ৪০০ কোটি টাকা খরচ করে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। বার্ষিক ৫ লক্ষ যাত্রী ধারনের ক্ষমতা রয়েছে এই বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনের।
এইমস দেওঘর এই অঞ্চলের স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী এইমস দেওঘরে অপারেশন থিয়েটার ও রোগী ভর্তি বিভাগ চালু করবেন। এর ফলে এই হাসপাতালটি আরও উন্নত হবে। দেশের সব অংশে স্বাস্থ্য পরিষেবার সুবিধা ও মানোন্নয়নের জন্য যে লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন, তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
সারা দেশের ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে তীর্থযাত্রীদের জন্য সুবিধা দিতে বিশ্বমানের পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই বিষয়ে দেওঘর বৈদ্যনাথ ধাম উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে পর্যটন মন্ত্রকের ‘প্রসাদ’ প্রকল্পের আওতায়। এরও সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০০০-এর বেশি তীর্থযাত্রী থাকতে পারবেন এমন দুটি বড় হল তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও, বাবা বৈদ্যনাথ ধামের তীর্থযাত্রীরা যাতে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন না হন, সেই লক্ষ্যে ও পর্যটন মানচিত্রে এর গুরুত্ব বাড়াতে নানান আধুনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি বিভিন্ন সড়ক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এছাড়াও, চালু করবেন বেশ কয়টি সড়ক। এর মধ্যে রয়েছে – ২ নম্বর জাতীয় সড়কের বারওয়াদা থেকে গোরহার পর্যন্ত ছয় লেনের রাস্তা, পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী ৩২ নম্বর জাতীয় সড়কের রায়গঞ্জ-চাস সড়কের প্রশস্তিকরণ। এছাড়াও, ৮০ নম্বর জাতীয় সড়কের মির্জাচৌকি-ফারাক্কা পর্যন্ত চারলেনের রাস্তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। এই প্রকল্পগুলি এই অঞ্চলের মানুষের যাতায়াত সহজ করবে ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করবে।
প্রধানমন্ত্রী এই অঞ্চলে ৩ হাজার কোটি টাকার ‘শক্তি পরিকাঠামো প্রকল্প’-এর সূচনা ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। গেইল-এর জগদীশপুর-হলদিয়া-বোকারো-ধামরা পাইপলাইনের আওতায় বোকারো-আঙ্গুল প্রকল্প উদ্বোধন করবেন তিনি। এছাড়া, হাজারিবাগ-এর বারহি-তে এইচপিসিএল-এর নতুন এলপিজি বটলিং কারখানার এবং বোকারোতে বিপিসিএল-এর এলপিজি বটলিং কারখানার উদ্বোধন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী দুটি রেল প্রকল্পও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এর মধ্যে রয়েছে – গোদ্দা-হাঁসডিহা লাইনের বৈদ্যুতিকরণ এবং গারহাওয়া-মাহুরিয়া ডবল লাইন প্রকল্প। এর ফলে দুমকা থেকে আসানসোল পর্যন্ত ট্রেন চলাচল আরও সহজ হবে। শ্রী মোদী আরও তিনটি রেল প্রকল্পেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এর মধ্যে রাঁচি রেল স্টেশনের পুনর্নির্মাণ ও আধুনিকীকরণ ব্যবস্থাও রয়েছে।
পাটনায় প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বিহার বিধানসভার শতবর্ষ উদযাপনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন। বিহার বিধানসভার শতবর্ষ স্মারক ‘শতাব্দী স্মৃতি স্তম্ভ’-এর উদ্বোধনও করবেন।
প্রধানমন্ত্রী বিধানসভা সংগ্রহশালার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এখানে থাকবে বেশ কিছু গ্যালারি ও ২৫০ জনের ক্ষমতাসম্পন্ন সম্মেলন কক্ষ। প্রধানমন্ত্রী বিধানসভার অথিথি ভবনেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।