প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২ অক্টোবর রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ সফর করবেন। সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে তিনি রাজস্থানের চিতোরগড়ে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার একগুচ্ছ উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। বিকেল ৩টে ৩০ মিনিটে শ্রী মোদী গোয়ালিয়র পৌঁছাবেন, সেখানে তিনি প্রায় ১৯ হাজার ২৬০ কোটি টাকার একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন।
ছত্তিশগড়ে প্রধানমন্ত্রী
গ্যাস ভিত্তিক অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী মেহসানা - ভাতিন্ডা - গুরদাসপুর গ্যাস পাইপলাইন জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এই প্রকল্প নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এই অনুষ্ঠানে তিনি আবু রোডে এইচপিসিএল-এর এলপিজি প্ল্যান্টটিও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এই কারখানা থেকে প্রতি বছর ৮৬ লক্ষ সিলিন্ডারে গ্যাস ভরা হবে। ফলস্বরূপ রান্নার গ্যাস নিয়ে বেশিদূর যেতে হবে না। প্রতি বছর গ্যাস সিলিন্ডারবহনকারী গাড়িগুলি ৭ লক্ষ ৫০ হাজার কিলোমিটার কম রাস্তা অতিক্রম করবে। এর ফলে বছরে ৫ লক্ষ টন কম কার্বন নিঃসরণ হবে। এই অনুষ্ঠানে শ্রী মোদী আজমেঢ়ে আইওসিএল-এর বটলিং প্ল্যান্টে অতিরিক্ত সঞ্চয় ব্যবস্থাপনাও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের (বর্তমানে যা ৫২ নম্বর জাতীয় সড়ক) দারাহ - ঝালাওয়াড় - তিনধর শাখার চারলেনের সম্প্রসারিত রাস্তাটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এই প্রকল্প নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা। এই সড়ক প্রকল্প কোটা এবং ঝালাওয়াড় জেলায় উৎপাদিত খনিজ পদার্থ পরিবহনে সহায়ক হবে। অনুষ্ঠানে তিনি সোয়াই মাধোপুরে দু-লেনের রেল ওভারব্রিজটিকে চারলেনে পরিণত করার প্রকল্পেরও শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে যানজট কমাবে।
প্রধানমন্ত্রী ওই অনুষ্ঠানে যে রেল প্রকল্পগুলি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন সেগুলি হল: চিতোরগড়-নীমাচ রেলপথের দ্বিতীয় লাইন এবং কোটা - চিতোরগড় রেলপথের বৈদ্যুতিকীকরণ। এই প্রকল্পগুলি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৬৫০ কোটি টাকার বেশি। এরফলে, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের রেল পরিকাঠামোর মানোন্নয়ন ঘটবে এবং রাজস্থানের ইতিহাসখ্যাত স্থান ও পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে।
স্বদেশ দর্শন প্রকল্পের আওতায় নাথদ্বারায় প্রধানমন্ত্রী পর্যটকদের সুবিধার্থে কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। সন্ত বল্লভাচার্যের প্রদর্শিত পুষ্টিমার্গের লক্ষ লক্ষ অনুসরণকারীর কাছে নাথদ্বারা একটি পবিত্র স্থান। এখানে তাই পর্যটকদের সুবিধা সম্বলিত অত্যাধুনিক ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রও রয়েছে। এই কেন্দ্রে শ্রীনাথজির জীবনের বিভিন্ন ঘটনা সম্বলিত তথ্য জানতে পারবেন পর্যটকরা। ওই অনুষ্ঠানে শ্রী মোদী কোটার ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনলোজির স্থায়ী ক্যাম্পাস জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন।
গোয়ালিয়রে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ১৯ হাজার ২৬০ কোটি টাকার একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী দিল্লি-ভদোদরা এক্সপ্রেসওয়ে জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন। এর ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। এই প্রকল্প নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা। ওই অনুষ্ঠানে তিনি ১,৮৮০ কোটি টাকার ৫টি সড়ক প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন।
প্রধানমন্ত্রী চান প্রত্যেক মানুষের যাতে নিজস্ব একটি বাড়ি থাকে। সেই স্বপ্ন পূরণের অঙ্গ হিসেবে তিনি পিএমএওয়াই গ্রামীণ প্রকল্পে ২ লক্ষ ২০ হাজার নবনির্মিত বাড়ির গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানের সূচনা করবেন। এই অনুষ্ঠানে তিনি ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পিএমএওয়াই - শহরাঞ্চল প্রকল্পের আওতায় নির্মিত বাড়িগুলিও সুবিধাভোগীদের হাতে তুলে দেবেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হল সকলের কাছে বিশুদ্ধ পানীয় জল যথাযথ পরিমাণে পৌঁছে দেওয়া। এই লক্ষ্য পূরণে জল জীবন মিশনের আওতায় কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন শ্রী মোদী। গোয়ালিয়র এবং শেওপুর জেলার ৭২০টি গ্রামে মানুষ এই প্রকল্পের ফলে উপকৃত হবেন। প্রকল্প নির্মাণে ব্যয় হবে ১,৫৩০ কোটি টাকা।
প্রধানমন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশনের আওতায় ৯টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মানোন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পগুলির জন্য ধার্য হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা।
শ্রী মোদী ইন্দোর আইআইটি-র পাঠদান সংক্রান্ত একটি ভবন জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন এবং ছাত্রাবাস সহ আরও কিছু ভবনের শিলান্যাস করবেন। এছাড়াও ইন্দোরে মাল্টিমডেল লজেস্টিক পার্কের শিলান্যাসও করবেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে যেসব প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করা হবে সেগুলি হলঃ উজ্জ্বয়িনীতে সুসংহত শিল্পনগরী, আইওসিএল-এর বটলিং প্ল্যান্ট, গোয়ালিয়রে অটলবিহারী বাজপেয়ী দিব্যাঙ্গ ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ইত্যাদি।