প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১৩ নভেম্বর বিহার সফর করবেন। তিনি সকাল ১০.৪৫ মিনিটে দ্বারভাঙা যাবেন এবং ১২,১০০ কোটি টাকার একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন।
এই অঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী দ্বারভাঙা এইমস-এর শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় হবে ১,২৬০ কোটি টাকা। এখানে একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থাকবে যেখানে আয়ুষ ব্লক ছাড়াও মেডিকেল কলেজ, নার্সিং কলেজ, রাত্রিকালীন থাকার ব্যবস্থা করা হবে। বিহার সহ সংলগ্ন অঞ্চলের মানুষের কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে এই এইমস-এ বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যোগাযোগ ব্যবস্থার মানোন্নয়নের জন্য সরকার সড়ক ও রেল পরিষেবায় বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বিহারে ৫,০৭০ কোটি টাকার জাতীয় সড়ক সংশ্লিষ্ট একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। তিনি গলগলিয়া থেকে আড়ারিয়া পর্যন্ত চার লেনের ৩২৭-ই জাতীয় সড়কের উদ্বোধন করবেন। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের গলগলিয়া থেকে ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের একটি বিকল্প পথে যান চলাচল করবে। এছাড়াও ৩২২ এবং ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে দুটি উড়ালপুলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি জেহানাবাদ থেকে বিহারশরিফের মধ্যে ১১০ নম্বর জাতীয় সড়কে বন্ধুগঞ্জে একটি বড় সেতুর উদ্বোধন করবেন তিনি।
শ্রী মোদী যে ৮টি জাতীয় সড়ক প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন সেগুলি হল : রামনগর থেকে রোসেরার মধ্যে ২ লেনের একটি সড়ক, বিহার-পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত থেকে মনিহারি পর্যন্ত ১৩১-এ জাতীয় সড়ক, হাজিপুর থেকে বাছওয়াড়ার মধ্যে নতুন সড়ক, সারওয়ান থেকে চকাইয়ের মধ্যে আর একটি সড়ক। এছাড়াও ৩২৭-ই জাতীয় সড়কে রানিগঞ্জ বাইপাস, ৩৩৩-এ জাতীয় সড়কে কাটোরিয়া, লাখপুরা, বাঁকা এবং পাঞ্জওয়াড়া বাইপাস, ৮২ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং ৩৩ নম্বর জাতীয় সড়কের মধ্যে চার লেনের সড়ক প্রকল্প।
প্রধানমন্ত্রী ১,৭৪০ কোটি টাকার একগুচ্ছ রেল প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। তিনি ঔরঙ্গাবাদ জেলায় চিরালাপঠু থেকে বাঘা বিষুনপুরের মধ্যে শোননগর বাইপাস প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পে ব্যয় হবে ২২০ কোটি টাকা। এছাড়াও ঝঞ্ঝারপুর-লাউকাহা বাজারের মধ্যে রেল পথের গেজ পরিবর্তন এবং দ্বারভাঙ্গা বাইপাস রেললাইন জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন তিনি। এর ফলে এই অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার মানোন্নয়ন হবে।
প্রধানমন্ত্রী ঝঞ্ঝারপুর-লাউকাহা বাজারের মধ্যে মেমু রেল পরিষেবার সূচনা করবেন। ফলস্বরূপ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বাসিন্দাদের চাকরি, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার সুবিধা হবে। তিনি এই অনুষ্ঠানে দেশ জুড়ে ১৮টি রেল স্টেশনে জন-ওষধী কেন্দ্র জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন। এর ফলে রেল যাত্রীরা ব্যয়সাশ্রয়ী মূল্যে বিভিন্ন স্টেশনে ওষুধ কিনতে পারবেন। পাশাপাশি সকলের মধ্যে জেনেরিক ওষুধ ব্যবহারে প্রবণতা বাড়বে এবং স্বাস্থ্য খাতে খরচ কমবে।
প্রধানমন্ত্রী পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস সংক্রান্ত ৪০২০ কোটি টাকার বেশি একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। পাইপের মাধ্যমে ঘরে ঘরে প্রাকৃতিক গ্যাস পৌঁছে দেওয়া এবং শিল্প ও বাণিজ্যিক সংস্থাগুলিকে পরিবেশ বান্ধব জ্বালানী সরবরাহের জন্য তিনি সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের শিলান্যাস করবেন। ভারত পেট্রোলিয়াম এই প্রকল্পের মাধ্যমে দ্বারভাঙ্গা, মধুবনী, সুপৌল, সীতামাঢ়ী এবং শেওহর জেলায় গ্যাস সরবরাহ করবে। এছাড়াও ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেডের বারাউনী শোধনাগারে বিটুমিন উৎপাদনের একটি ইউনিটের শিলান্যাস করা হবে। এর ফলে দেশেই বিটুমিন উৎপাদিত হবে এবং বিদেশ থেকে আমদানি হ্রাস পাবে।