প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২৯ ফেব্রুয়ারি চিত্রকুটে বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়ের শিলান্যাস করবেন।
এই এক্সপ্রেসওয়ে ২০১৮র ফেব্রুয়ারিতে ভারত সরকার ঘোষিত উত্তরপ্রদেশ প্রতিরক্ষা শিল্প করিডরে সম্পূরক হিসেবে কাজ করবে।
উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সরকার চিত্রকূট, বান্দা, হামিরপুর এবং জালাউন জেলার মধ্যে দিয়ে এই সড়কটি তৈরি করছে। আগ্রা-লক্ষ্মৌ এক্সপ্রেসওয়ে এবং যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে এই এক্সপ্রেসওয়েটি দিল্লীর সঙ্গে বুন্দেলখন্ড অঞ্চলকে যুক্ত করবে। বুন্দেলখন্ড অঞ্চলের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ২৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটি।
এই সড়কটি তৈরি হলে চিত্রকূট, বান্দা, মাহোবা, হামিরপুর, জালাউন এবং এটাওয়া জেলার উপকার হবে।
ভারতের জাহাজ, সাবমেরিন, লড়াকু বিমান, হেলিকপ্টার, সেন্সার ও অন্যান্য সমরাস্ত্রের বিপুল প্রয়োজন আছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ২৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের এসব সামগ্রী দরকার হবে।
এই প্রয়োজন মেটানোর জন্য সরকার ২০১৮র ২১ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্ণৌতে বিনিয়োগকারী সম্মেলনে উত্তরপ্রদেশে প্রতিরক্ষা শিল্প করিডর গড়ে তোলার ঘোষনা করে।
প্রতিরক্ষা সামগ্রী তৈরির জন্য লক্ষ্ণৌ, ঝাঁসি, চিত্রকূট, আলিগড় ও কানপুরে ৬টি কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এরমধ্যে বুন্দেলখন্ড অঞ্চলে ঝাঁসি এবং চিত্রকূটে দুটি কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। বস্তুত, সবচেয়ে বড় কেন্দ্রটি গড়ে উঠবে ঝাঁসিতে।
এই এক্সপ্রেস নির্মাণের জন্য ঝাঁসি এবং চিত্রকূটে অকৃষি জমি কেনা হয়েছে। এরফলে এই অঞ্চলের গরিব চাষিরা উপকৃত হয়েছেন।
কৃষি উৎপাদক সংস্হার সূচনা
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি চিত্রকূটে এক অনুষ্ঠানে সারা দেশে ১০ হাজারটি কৃষি উৎপাদক সংস্হারও সূচনা করবেন।
দেশে প্রায় ৮৬ শতাংশ চাষি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক। তাদের জোতের পরিমাণ ১.১ হেক্টরের চেয়ে কম। এসব চাষি প্রযুক্তি, উন্নত মানের বীচ, সার, কীটনাশক এবং প্রয়োজনীয় টাকাকড়ি যোগাড় করতে হিমসিম খান। তাদের ফসল বিক্রি করতেও পড়তে হয় চ্যালেঞ্জের মুখে।
কৃষি উৎপাদক সংস্হা এসব ছোট, প্রান্তিক এবং ভূমিহীন চাষিদের একত্রিত করতে সাহায্য করবে। সংস্হার সদস্যরা একযোগে কাজ করে প্রযুক্তি, কৃষি উপকরণ, টাকাকড়ি এবং বাজারের সুযোগ পাবেন। এরফলে বাড়বে তাদের আয়।
চাষিদের আয় দ্বিগুণ করা সংক্রান্ত এক রিপোর্টে ২০২২ সালের মধ্যে চাষিদের আয় দ্বিগুণ করার জন্য ৭ হাজারটি কৃষি উৎপাদক সংস্হা গড়ে তোলার সুপারিশ করলেও, কেন্দ্রীয় সরকার আগামী ৫ বছরে ১০ হাজারটি নতুন সংস্হা গড়ার কথা ঘোষণা করেছে। এবারের বাজেটে, সরকার ‘এক জেলা এক ফসল’ এই কর্মকৌশল মারফত হর্টিকালচারের তালুক গঠনের পরিকল্পনাও করেছে। এরফলে ফল-ফুলে বিপণন এবং রপ্তানীতে সুবিধা হবে। চাষিরা দুটো বাড়তি পয়সা পাবেন।