প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্ব জল দিবস উপলক্ষ্যে ২২শে মার্চ “জলশক্তি অভিযান : বৃষ্টির জল ধরুন” কর্মসূচীর সূচনা করবেন। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মন্ত্রকের কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারী আধিকারিক, জেলাশাসক, জেলার ডেপুটি কমিশনার এবং সব গ্রামের প্রধানদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন। “বৃষ্টির জল ধরুন, যেখানে বৃষ্টি পড়বে, যখন বৃষ্টি পড়বে” ভাবনায় দেশজুড়ে গ্রামাঞ্চল ও শহরে এই কর্মসূচী শুরু হবে। ২২শে মার্চ থেকে ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত প্রাক মৌসুমী ও মৌসুমী এই দুটি পর্বে কর্মসূচী বাস্তবায়িত হবে।
তৃণমূল স্তরে জনসাধারণের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে জল সংরক্ষণের এই অভিযান জন-আন্দোলনের রূপ নেবে। বৃষ্টির জল সিঞ্চনের জন্য বিভিন্ন আবহাওয়ায় মাটির নিচে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর মধ্য দিয়ে বৃষ্টির জল যথাযথভাবে সংরক্ষিত হবে।
এই অনুষ্ঠানের পর প্রতিটি জেলায় সব গ্রাম পঞ্চায়েতে জল ও জল সংরক্ষণ নিয়ে গ্রাম সভা অনুষ্ঠিত হবে। গ্রাম সভাগুলিতে জল সংরক্ষণের জন্য জল সপ্তাহ উদযাপিত হবে। তবে যে সব রাজ্যে নির্বাচন হচ্ছে সেইসব রাজ্যকে এই কর্মসূচির বাইরে রাখা হবে।
কেন বেতয়া লিঙ্ক প্রকল্পের চুক্তি
যেসব অঞ্চলে বাড়তি জল রয়েছে সেখান থেকে খরা প্রবণ অঞ্চলে অতিরিক্ত জল পাঠানোর জন্য নদীগুলির মধ্যে আন্তঃ-সংযোগের যে স্বপ্ন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী দেখেছিলেন এই চুক্তির ফলে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হবে। আন্তঃরাজ্য সহযোগিতার ক্ষেত্রে এই প্রকল্প বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। দৌধন জলাধার এবং কেন ও বেতয়া নদীর মধ্যে খাল কাটার মাধ্যমে এই প্রকল্পে কেন নদী থেকে জল বেতয়া নদীতে পাঠানো হবে। এছাড়াও এই প্রকল্পে নিম্ন ওর প্রকল্প, কোঠা ব্যারেজ, বীণা কমপ্লেক্স মাল্টিপারপাস প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ১০ লক্ষ ৬২ হাজার হেক্টর জমিকে সেচের জলসেচের আওতায় আনা যাবে। এছাড়াও ৬২ লক্ষ মানুষের জন্য পানীয় জল সরবরাহ করা যাবে ও ১০৩ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।
মধ্যপ্রদেশের পান্না, টিকমগড়, ছাতারপুর, সাগর, দাতিয়া, দামো, বিদিশা, শিবপুরী এবং রাইসেন এবং উত্তরপ্রদেশের বান্দা, মাহাবো, ঝাঁসি এবং ললিতপুর জেলা সহ জল সঙ্কটে দীর্ণ বুন্দেলখন্ড এই প্রকল্প থেকে প্রভূত উপকৃত হবে। জল সংকট যাতে দেশের উন্নয়নে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে না পারে সেটি নিশ্চিত করতে নদীগুলিকে যুক্ত করা হবে।