প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগমী ১০ আগস্ট বেলা ১২:৩০ মিনিটে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশের মাহোবায় এলপিজি গ্যাস সংযোগ হস্তান্তরের মাধ্যমে উজ্জ্বলা ২.০ (প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা - পিএমইউওয়াই) –এর সূচনা করবেন। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মিলিত হবেন এবং জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
উজ্জ্বলা ১.০ থেকে উজ্জ্বলা ২.০ পর্যন্ত যাত্রা পথ -
২০১৬ সালে উজ্জ্বলা ১.০ চালু করার সময় দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী পরিবারের ৫ কোটি মহিলা সদস্যকে এলপিজি গ্যাস সংযোগ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরবর্তী সময় তপশিলি জাতি/ উপজাতি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, অন্ত্যোদ্বয় অন্ন যোজনা, সর্বাধিক অনগ্রসর শ্রেণী, চা বাগান, বনাঞ্চল এবং দ্বীপপুঞ্জে বসবাসকারী – এই ৭টি শ্রেণীর মহিলা সুবিধাভোগীদের এর আওতায় অন্তর্ভক্ত করার জন্য প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৮ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়। এছাড়াও ৮ কোটি এলপিজি গ্যাস সংযোগ লক্ষ্যমাত্রাও নেওয়া হয়। তবে, নির্ধারিত সময়ের ৭ মাস আগেই ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়।
২০২১-২২ অর্থ বর্ষের কেন্দ্রীয় বাজাটে পিএমইউওয়াই প্রকল্পের আওতায় অতিরিক্ত ১ কোটি এলপিজি গ্যাস সংযোগের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। যারা পিএমইউওয়াই –এর প্রথম পর্যায়ের আওতায় অন্তর্ভুক্ত হননি, সেই নিম্ন আয়ের পরিবারগুলিকে কোনোরকম আমানত জমা রাখা ছাড়াই এলপিজি গ্যাস সংযোগ প্রদানের লক্ষ্য নিয়েই উজ্জ্বলা ২.০ –এর অধীনে এই ১ কোটি অতিরিক্ত পিএমইউওয়াই সংযোগ দেওয়া হবে।
কোনোরকম আমানত জমা ছাড়াই এলপিজি গ্যাস সংযোগের পাশাপাশি উজ্জ্বলা ২.০ –এর আওতায় সুবিধাভোগীদের প্রথম দফায় গ্যাস রিফিল এবং হট প্লেট বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। এছাড়াও এর আওতায় নাম নথিভুক্তিকরণ প্রক্রিয়াতে ন্যূনতম কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে। উজ্জ্বলা ২.০ –তে পরিযায়ীদের রেশন কার্ড বা ঠিকানার প্রমানপত্র জমা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন হবে না। ‘পারিবারিক ঘোষণা’ এবং ‘ঠিকানার প্রমাণ’ উভয়ের জন্য একটি স্ব-ঘোষণা বা সেল্ফ ডিক্লেয়ারেশন দিলেই হবে। উজ্জ্বলা ২.০ –তে সর্বজনীন এলপিজি গ্যাস সংযোগের সুবিধা দানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গি সফলভাবে বাস্তবায়িত হবে।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীও উপস্থিত থাকবেন।