বিশ্বকর্মা জয়ন্তী উপলক্ষে আগামী ১৭ ই সেপ্টেম্বর ২০২৩, নতুন দিল্লির দ্বারকায় ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অ্যাণ্ড এক্সপো সেন্টারে বেলা ১১ টা নাগাদ প্রথাগত শিল্পী ও কারিগরদের জন্য “পিএম বিশ্বকর্মা” প্রকল্পের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী বরাবরই প্রথাগত শিল্পে নিয়োজিত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছেন। এই ভাবনার পিছনে শুধু যে শিল্পী ও কারিগরদের আর্থিকভাবে সহায়তা করার ইচ্ছা রয়েছে তাই নয়, আমাদের সুপ্রাচীন ও বৈচিত্র্যপূর্ণ ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখা এবং স্থানীয় পণ্য ও শিল্পের বিকাশ সাধনও এই উদ্যোগের অন্যতম চালিকাশক্তি।
“পিএম বিশ্বকর্মা” প্রকল্পের সম্পূর্ণ ব্যয়ভার বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার, এজন্য ১৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় বিশ্বকর্মারা কমন সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে বিনামূল্যে বায়োমেট্রিক ভিত্তিক পিএম বিশ্বকর্মা পোর্টালে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। পিএম বিশ্বকর্মা শংসাপত্র এবং পরিচিতিপত্রের মাধ্যমে বিশ্বকর্মাদের স্বীকৃতি দেওয়া হবে। তাঁদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রাথমিক ও পরবর্তীস্তরের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। সরঞ্জাম কেনার জন্য তাঁরা ১৫ হাজার টাকা করে পাবেন। কোনোরকম সমান্তরাল জামিন ছাড়াই ৫ শতাংশ ভর্তুকি সুদের হারে প্রথম কিস্তিতে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণের সুবিধা তাঁদের দেওয়া হবে। ডিজিটাল লেনদেনের জন্য উৎসাহ এবং বিপণন সংক্রান্ত সহায়তাও তাঁরা পাবেন।
এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল প্রথাগত শিল্পের ক্ষেত্রে গুরু-শিষ্য পরম্পরা এবং পরিবারভিত্তিক দক্ষতার অনুশীলনকে আরো শক্তিশালী করে তোলা। শিল্পী ও কারিগরদের তৈরি পণ্যের গুণমানের উন্নয়ন, পণ্য ও পরিষেবার ব্যাপ্তি বাড়ানো এবং দেশীয় ও বিশ্বজনীন মূল্য শৃঙ্খলের সঙ্গে সেগুলির সংযুক্তিকরণ এর প্রধান উদ্দেশ্য।
এই প্রকল্পটি দেশজুড়ে গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলে শিল্পী এবং কারিগরদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে। ১৮ টি প্রথাগত শিল্পকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। এগুলি হল
১) কাঠের কাজের শিল্পী
২) নৌকা প্রস্তুতকারক
৩) অস্ত্র প্রস্তুতকারক
৪) কামার
৫) হাতুড়ি ও ছোটোখাটো সরঞ্জাম নির্মাতা
৬) তালা নির্মাতা
৭) স্বর্ণকার
৮) মৃৎশিল্পী
৯) ভাস্কর, প্রস্তরশিল্পী
১০) জুতোর কারিগর
১১) রাজমিস্ত্রী
১২) ঝুড়ি/মাদুর/ঝাঁটা নির্মাতা
১৩) পুতুল ও খেলনা নির্মাতা(প্রথাগত)
১৪) কেশশিল্পী
১৫) মালাকর
১৬) রজক
১৭) দর্জি
এবং
১৮) মাছ ধরার জাল নির্মাতা