প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০ অক্টোবর, ২০২৩-এ সকাল ১১-১৫ মিনিট নাগাদ সাহিবাবাদ র্যাপিডএক্স স্টেশনে দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মীরাট আরআরটিএস করিডরের সূচনা করবেন। সাহিবাবাদ ও দুহাই ডিপোর মধ্যে সংযোগকারী আঞ্চলিক দ্রুত পরিবহণ ব্যবস্থা (আরআরটিএস) র্যাপিডএক্স ট্রেনেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা ১২টা নাগাদ আরআরটিএস-এর সূচনা উপলক্ষে সাহিবাবাদে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন তিনি। বেঙ্গালুরু মেট্রোর ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের দুটি শাখাও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মীরাট আরআরটিএস করিডর
১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মীরাট আরআরটিএস করিডর সাহিবাবাদের সঙ্গে দুহাই ডিপোকে যুক্ত করবে। গাজিয়াবাদ, গুলদার এবং দুহাই - তিনটি স্টেশনকে এই ট্রেন ছুঁয়ে যাবে। ২০১৯ সালের ৮ মার্চ দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মীরাট করিডরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিতে বিশ্বমানের পরিবহণ পরিকাঠামোর মাধ্যমে দেশজুড়ে আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে, যা 'আঞ্চলিক দ্রুত পরিবহণ ব্যবস্থা' প্রকল্পের মাধ্যমে রূপায়িত করা হচ্ছে। আরআরটিএস হল একটি নতুন রেল পরিবহণ ব্যবস্থা, যেখানে যাত্রীদের সেমি-হাইস্পিড ট্রেনের পরিষেবা প্রদান করা হবে। ট্রেনগুলির গতি হবে ঘন্টায় ১৮০ কিলোমিটার এবং প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর সেগুলি চলাচল করবে। যাত্রীদের চাপ বাড়লে প্রতি ৫ মিনিট অন্তর পরিষেবা দেওয়া হবে।
দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মীরাট আরআরটিএস প্রকল্পে ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ খরচ করা হয়েছে। এই ট্রেনে এক ঘন্টারও কম সময়ে দিল্লি থেকে মীরাট পৌঁছনো সম্ভব হবে। গাজিয়াবাদ, মুরাদনগর এবং মোদীনগরের মধ্য দিয়ে এই ট্রেন অতিক্রম করবে।
আরআরটিএস হল দেশের অত্যাধুনিক পরিবহণ ব্যবস্থা, যা গুণগত দিক থেকে বিশ্বমানের। দেশে নিরাপদ, বিশ্বস্ত এবং আধুনিক পরিবহণ ব্যবস্থা হল আরআরটিএস। আরআরটিএস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে রেল স্টেশন, মেট্রো স্টেশন, বাস পরিষেবা সহ পরিবহণের সমস্ত ব্যবস্থাকে যুক্ত করা হবে। এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অর্থনীতিও চাঙ্গা হবে। সেইসঙ্গে, কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ মিলবে। কমবে যানবাহনের ভিড় ও বায়ুদূষণ।
বেঙ্গালুরু মেট্রো
বাইয়াপ্পনাহাল্লি ও কৃষ্ণরাজপুর এবং কেঞ্জেরি ও চাল্লাঘাট্টা - এই দুটি মেট্রো শাখা জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন প্রধানমন্ত্রী। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষা না করেই ২০২৩-এর ৯ অক্টোবর এই দুটি শাখা যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল।