প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী ২৪ এপ্রিল জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবসে দুপুর ১২টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্বামীত্ব প্রকল্পের আওতায় ই-সম্পত্তি কার্ড বিতরণ প্রক্রিয়ার সূচনা করবেন। এই অনুষ্ঠানে ৪.০৯ লক্ষ সম্পত্তি মালিকদের ই-সম্পত্তি কার্ড দেওয়া হবে। একই সঙ্গে সারা দেশে স্বামীত্ব প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ণও শুরু হবে। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর উপস্থিত থাকবেন।
জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবসে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এবছরের জাতীয় পঞ্চায়েত পুরস্কার প্রদান করবেন। জাতীয় পঞ্চায়েত পুরস্কার ২০২১ যে বিভাগ গুলিতে দেওয়া হবে সেগুলি হল – দীনদয়াল উপাধ্যায় পঞ্চায়েত স্বশক্তিকরণ পুরস্কার (২০২৪টি পঞ্চায়েত), নানাজী দেশমুখ রাষ্ট্রীয় গৌরব গ্রামসভা পুরস্কার (৩০টি গ্রামপঞ্চায়েত), গ্রামপঞ্চায়েত উন্নয়ন পরিকল্পনা পুরস্কার (২৯টি গ্রামপঞ্চায়েত), শিশুবান্ধব গ্রামপঞ্চায়েত পুরস্কার (৩০টি গ্রামপঞ্চায়েত) এবং ই-পঞ্চায়েত পুরস্কার (১২টি রাজ্য)।
প্রধানমন্ত্রী বোতাম টিপে ৫ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পুরস্কারের অর্থ (অনুদান সহায়তা হিসেবে) প্রদান করবেন। এই অর্থ সরাসরি পঞ্চায়েতগুলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। এই প্রথবার এধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
স্বামীত্ব প্রকল্প সম্পর্কে –
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গত বছর ২৪ এপ্রিল আর্থ-সামাজিক ক্ষমতায়ণ এবং স্বনির্ভর গ্রামীণ ভারত গঠনের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্প হিসেবে গ্রামাঞ্চলে সমীক্ষার কাজ চালানো ও উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে মানচিত্র তৈরি করার লক্ষ্যে ‘স্বামীত্ব’ প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। মানচিত্র নির্মাণ এবং সমীক্ষার কাজে আধুনিক প্রযুক্তি সরঞ্জাম ব্যবহার করে এই প্রকল্পের সাহায্যে গ্রামীণ ভারতে রূপান্তর নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। গ্রামবাসীদের ঋণ গ্রহণ এবং অন্যান্য আর্থিক সুবিধা পাওয়ার জন্য নিজস্ব সম্পত্তির যথাযথ ব্যবহারের পথ সুগম করেছে এই প্রকল্প। ২০২১ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে প্রায় ৬.৬২ লক্ষ গ্রামকে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
২০২০-২১ অর্থবর্ষে পরীক্ষামূলক ভাবে এই প্রকল্প মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব এবং রাজস্থানের নির্বাচিত গ্রামগুলিতে কার্যকর করা হয়েছে।