প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ৮ ডিসেম্বর বিকেল ৪টে নাগাদ লালকেল্লার প্রথম ভারতীয় শিল্পকলা, স্থাপত্য ও নক্শার বিয়ান্নালে ২০২৩ – এর উদ্বোধন করবেন। তিনি লালকেল্লায় নক্শার জন্য আত্মনির্ভর ভারত কেন্দ্র এবং পড়ুয়াদের জন্য বিয়ান্নালে সম্মুন্নতিরও উদ্বোধন করবেন।
ভেনিস, সাওপাওলো, সিঙ্গাপুর, সিডনী এবং সার্জার মতো দেশেও আন্তর্জাতিক বিয়ান্নালে তৈরি করা প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ছিল। এই ইচ্ছের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বিভিন্ন সংগ্রহালয়গুলির সংস্কার, পুনঃস্থাপন, পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে দেশব্যাপী অভিযান শুরু হয়। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বাই, আহমেদাবাদ ও বারাণসী - ভারতের এই ৫টি শহরে সাংস্কৃতিক স্থানগুলির উন্নয়নের কথাও ঘোষণা করা হয়েছিল। ভারতীয় শিল্পকলা, স্থাপত্য ও নকশার এই বিয়ান্নালে (আইএএডিবি) দিল্লির সাংস্কৃতিক স্থানগুলির পরিচয় হিসেবে কাজ করবে।
নতুন দিল্লির লালকেল্লায় ৯ – ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই আইএএডিবি-র আয়োজন করা হচ্ছে। মে মাসে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সংগ্রহালয় এক্সপো ও আগস্ট মাসে আয়োজিত গ্রন্থাগার মহোৎসবের সময় যে মূল উদ্যোগগুলি গ্রহণ করা হয়েছিল, এবারেও সেদিকে নজর দেওয়া হয়েছে। আইএএডিবি, শিল্পী, চিত্রশিল্পী, সংগ্রাহক, শিল্পকলা বিশেষজ্ঞ এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত করবে। এর পাশাপাশি, সাংস্কৃতিক আদান—প্রদান বৃদ্ধিতেও সহকায়ক হবে। শিল্পকলা, স্থাপত্য ও নক্শার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কাজের সুযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি এই উদ্যোগ অর্থনীতির উন্নয়নেও সহায়ক হবে।
আইএএডিবি প্রতিদিন বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রদর্শিত হবে:
প্রথম দিন: প্রবেশ – রীতি: ভারতের প্রবেশপথ
দ্বিতীয় দিন: বাগ এ বাহার: ভারতের উদ্যানগুলি
তৃতীয় দিন: সম্প্রবাহ: বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গম
চতুর্থ দিন: স্থাপত্য: অ্যান্টিফ্রেজাইল অ্যালগরিদম: ভারতের মন্দিরসমূহ
পঞ্চাম দিন: বিস্ময়: সৃজনশীলতা: স্বাধীন ভারতের স্থাপত্যের বিস্ময়
ষষ্ঠ দিন: দেশজ ভারত নক্শা: স্বদেশী নক্শা
সপ্তম দিন: সমত্ব: নির্মাণকে আকৃতি প্রদান: স্থাপত্য শিল্পে মহিলাদের জয়গান
আইএএডিবি-তে উপরিল্লিখিত বিভিন্ন বিষয়ে প্যাভেলিয়ন থাকবে। সেখানে কর্মশালা, শিল্প বাজারের পাশাপাশি আলোচনাও হবে। ললিতকলা অ্যাকাডেমিতে পড়ুয়াদের জন্য বিয়ান্নালে তাদের কাজ তুলে ধরার সুযোগ তৈরি হবে। পাশাপাশি, তারা বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ মতামত জানতে পারবেন।
‘ভোকাল ফর লোকাল’ – এর জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর যে স্বপ্ন রয়েছে, তাকে বাস্তব রূপ দিতে লালকেল্লার এই নক্শার জন্য আত্মনির্ভর ভারত কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। এতে ভারতের বিশেষ শিল্পকলা প্রদর্শিত হবে। পাশাপাশি, কারিগর ও নক্শা যাঁরা তৈরি করেন তাঁদের মধ্যে সমন্বয় তৈরি হবে। সুসংহত সংস্কৃতি-নির্ভর অর্থনীতির পথ সুগম হবে। শিল্পীরা লাভবান হবেন। পাশাপাশি, নতুন নক্শা ও উদ্ভাবন তৈরি হবে।