প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১২ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় কর্ণাটকের হুব্বলিতে ২৬তম জাতীয় যুব উৎসবের উদ্বোধন করবেন। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে তাঁর আদর্শ, শিক্ষা ও অবদানকে স্বীকৃতি দিতে জাতীয় যুব দিবসে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
জাতীয় যুব উৎসবে প্রতি বছর আমাদের যুবক-যুবতীরা জাতীয় স্তরে তাঁদের প্রতিভার প্রদর্শন করেন। দেশ গড়ার কাজে তাঁদের প্রতিভাকে কাজে লাগানোই এই উৎসবের অন্যতম লক্ষ্য। ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ ভাবনায় দেশের প্রতিটি অঞ্চলের সংস্কৃতিকে একটি অভিন্ন মঞ্চে উপস্থাপিত করা হয়। এ বছর ১২-১৬ জানুয়ারি কর্ণাটকের হুব্বালি – ধারওয়াড়ে এই অনুষ্ঠানগুলির আয়োজন করা হবে। এবারের যুব উৎসবের মূল ভাবনা ‘বিকশিত যুব – বিকশিত ভারত’।
উৎসবে যুব সম্মেলন ছাড়াও ৫টি বিষয় নিয়ে পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের আয়োজন করা হয়েছে। জি-২০ এবং ওয়াই-২০ সম্মেলনের অঙ্গ হিসাবে সংশ্লিষ্ট অধিবেশনগুলিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রের কাজ, শিল্প ও উদ্ভাবন, জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্য, শান্তি এবং সকলের ভবিষ্যৎ - এই পাঁচটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। সম্মেলনে ৬০ জনেরও বেশি বিশেষজ্ঞ অংশগ্রহণ করবেন। এখানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক এবং প্রতিযোগিতা ছাড়াও অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। পল্লিগীতি ও নৃত্যের উপর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিযোগিতা ছাড়াও অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ‘যোগাথন’। এই আয়োজনে যোগাভ্যাসে উৎসাহী ১০ লক্ষ মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। জাতীয় স্তরে অংশগ্রহণকারীরা উৎসবে ৮টি দেশীয় ক্রীড়া এবং মার্শাল আর্ট প্রদর্শন করবেন। এছাড়াও, উৎসবের অন্যান্য আকর্ষণীয় কর্মসূচিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হ’ল: খাদ্যোৎসব, যুব শিল্পীদের শিবির, অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস, সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী এবং বিমান বাহিনী সম্পর্কে জানতে বিশেষ শিবির।