জলবায়ু উপযোগী প্রযুক্তি গ্রহণ করার জন্য মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২৮শে সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশেষ বৈশিষ্ট সম্পন্ন ৩৫ রকমের শস্য জাতিকে উৎসর্গ করবেন। দেশের সব আইসিএআর প্রতিষ্ঠান, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রগুলি এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে। প্রধানমন্ত্রী রায়গড়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োটিক স্ট্রেস টলারেন্সের নবনির্মিত ক্যাম্পাসটিও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন।
এই উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে গ্রীণ ক্যাম্পাস পুরস্কার বিতরণ করবেন। এছাড়াও যে কৃষকরা কৃষিকাজের সময় উদ্ভাবনীমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন, তিনি তাঁদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন এবং অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন।
কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী ও ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
বিশেষ বৈশিষ্ট সম্পন্ন নানা ধরণের শস্য :
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ (আইসিএআর) জলবায়ু পরিবর্তনে বিরূপ প্রভাব এবং অপুষ্টি জনিত সমস্যার সমাধানের জন্য বিশেষ বৈশিষ্ট সম্পন্ন শস্য বীজ তৈরি করেছে। এধরণের ৩৫ রকমের শস্য এবছর তৈরি করা হয়েছে, যেগুলি প্রতিকূল আবহাওয়ায় বেঁচে থাকে এবং অত্যন্ত পুষ্টিকর শস্য উৎপাদন করে। এবছর এধরণের উদ্ভাবিত শস্যের মধ্যে মটর কলাই এবং জীবাণু মুক্ত অড়হর ডাল, সোয়াবিন, রোগ প্রতিরোধী ধান এবং বিশেষ জৈবগুণ সম্পন্ন গম, মুক্তা বাজরা, ভুট্টা, জোয়ার, বিভিন্ন ধরণের সিম রয়েছে।
এই সব বিশেষ বৈশিষ্ট সম্পন্ন শস্যগুলি অপুষ্টির ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতিকে মোকাবিল করতে পারবে। কারণ মানুষের এবং প্রাণীদের অপুষ্টিজনিত সমস্যা দূরীকরণে এই ধরণের বিশেষ বৈশিষ্ট সম্পন্ন শস্যগুলি সাহায্য করে। নতুন প্রজাতির শস্যগুলির মধ্যে রয়েছে : পুসা ডাবল জিরো মাস্টার ৩৩, ২ শতাংশের বেশি ইউরিসিক অ্য়াসিড এবং ৩০ পিপিএম গ্লুকো জিনোলেট যুক্ত বিশেষ ধরণের সরিষা, পুষ্টিকর উপাদান সমৃদ্ধ কুনিতৎ ট্রাইপোসিন এবং লিপোজিজেনাস যুক্ত সোয়াবিন। অন্যান্য বিশেষ গুণ সম্পন্ন শস্যের মধ্যে সোয়াবিন, জোয়ার এবং বেবিকর্ণ রয়েছে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োটিক স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট :
রায়পুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োটিক স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট বায়োটিক স্ট্রেসের উপর গবেষণা করে। এছাড়াও এই প্রতিষ্ঠান মানব সম্পদ উন্নয়ন এবং বিভিন্ন নীতি প্রণয়নে সাহায্য করে। ২০২০ – ২১ শিক্ষাবর্ষে এখানে স্নাতকোত্তর পাঠক্রম শুরু হয়েছে।
গ্রীণ ক্যাম্পাস পুরস্কার :
রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আরো পরিবেশবান্ধব ও পরিচ্ছন্ন হবার প্রতিযোগিতায় সফল প্রতিষ্ঠানগুলিকে গ্রীণ ক্যাম্পাস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। স্বচ্ছ ভারত মিশন, সম্পদের অপচয় বন্ধ করা এবং ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পাঠক্রম তৈরিতে সাহায্য করার স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।