দেশে সভা, সম্মেলন এবং প্রদর্শনী আয়োজনের ক্ষেত্রে বিশ্বমানের পরিকাঠামো গড়ে তোলায় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের বাস্তবায়নে গতি আনবে দ্বারকায় ভারত আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও প্রদর্শন কেন্দ্র ‘যশভূমি’।
প্রকল্পটি রূপায়িত হয়েছে মোট ৮.৯ লক্ষ বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে। নির্মাণ এলাকা ১.৮ লক্ষ বর্গ মিটার। যশভূমি বিশ্বের বৃহত্তম সম্মেলন ও প্রদর্শন কেন্দ্রগুলির মধ্যে জায়গা করে নেবে।
মূল সম্মেলন কেন্দ্রটি আড়ে-বহরে ৭৩ হাজার বর্গ মিটার। সেখানে থাকছে মূল প্রেক্ষাগৃহ, বিশাল বিনোদন কক্ষ সহ মোট ১৫ টি কক্ষ। মোট আসন সংখ্যা ১১ হাজার। দেশে সংবাদ মাধ্যমের জন্য বৃহত্তম এলইডি প্রদর্শন ব্যবস্থাপনা থাকছে এখানে।
মূল প্রেক্ষাগৃহে আসন সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার। সেখানকার গোটা প্রক্রিয়াটির মধ্যে রয়েছে উদ্ভাবনের ছোঁয়া এবং তা স্বয়ংক্রিয়। প্রেক্ষাগৃহের মেঝেটি প্রয়োজন মতো সমতল কিম্বা গ্যালারির আকারে রূপান্তরিত করে নেওয়া যেতে পারে। এখানকার কাঠের মেঝে এবং অ্যাকাউস্টিক্স অতিথিদের বিশ্বমানের অনুষ্ঠানের স্বাদ এনে দেবে।
বিনোদন কক্ষ বা গ্র্যান্ড বলরুমের ছাদ সুসজ্জিত। এই বলরুমে প্রায় ২ হাজার ৫০০ অতিথির জায়গা হবে। এরই সঙ্গে থাকছে একটি খোলা পরিসর-যেখানে ৫০০ জন বসতে পারেন। ৮ টি তলে ছড়িয়ে রয়েছে ১৩ টি কক্ষ।
যশভূমিতে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম প্রদর্শনী কক্ষও থাকছে। ১.৭ লক্ষ বর্গ মিটার জুড়ে তৈরি হওয়া এই পরিসরে প্রদর্শনী কিম্বা বাণিজ্য মেলার আয়োজন হতে পারে। এরসঙ্গে থাকছে একটি সুসজ্জিত পরিসর, যেখানে রয়েছে সংবাদ মাধ্যমের জন্য কক্ষ, ভিভিআইপি লাউঞ্জ, অভ্যর্থনা কেন্দ্র, টিকিট কাউন্টার ইত্যাদি।
গোটা এলাকাটি সাজিয়ে তোলা হয়েছে ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। পাশাপাশি জোর দেওয়া হয়েছে পরিবেশ রক্ষার ওপরেও। থাকছে আধুনিক বর্জ্য জল প্রক্রিয়াকরণ ও বৃষ্টির জল ধরে রাখার ব্যবস্থা। ছাদে থাকছে সোলার প্যানেল। এই চত্বর সিআইআই-এর ইন্ডিয়ান গ্রীণ বিল্ডিং কাউন্সিলের গ্রীণ সিটিজ প্ল্যাটিনাম শংসাপত্র পেয়েছে।
যশভূমি দ্বারকা সেক্টর ২৫-এর নতুন মেট্রো স্টেশনের মাধ্যমে দিল্লি এয়ারপোর্ট মেট্রো এক্সপ্রেস লাইনের সঙ্গে সংযুক্ত থাকছে।
এই রেলপথে দিল্লি মেট্রোর গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ৯০ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ১২০ কিলোমিটার করা হবে। নতুন দিল্লি থেকে যশভূমিতে পৌঁছতে লাগবে প্রায় ২১ মিনিট।