প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২৬ জুলাই প্রগতি ময়দানে ইন্টারন্যাশনাল এক্সজিবিশন- কাম-কনভেনশন সেন্টার (আইইসিসি) জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর ভাবনার বাস্তব রূপ দিতে বিভিন্ন বৈঠক, কনফারেন্স এবং প্রদর্শনীর জন্য এই কমপ্লেক্সে আন্তর্জাতিক মানের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। প্রগতি ময়দানের ভোল বদলে প্রায় ২৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন এই কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়েছে। ১২৩ একর এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠা এই কমপ্লেক্সটি বৈঠক, কনফারেন্স এবং প্রদর্শনীর জন্য দেশের সবচেয়ে বড় গন্তব্য হতে চলেছে । এমনকি আয়তনের নিরিখে এটি বিশ্বের প্রথম সারির প্রদর্শনী ও কনভেনশন সেন্টারগুলির মধ্যে জায়গা করে নিতে চলেছে।
নব নির্মিত আইইসিসি কমপ্লেক্সে কনভেনশন সেন্টার, প্রদর্শনী হল, অ্যাম্পিথিয়েটার সহ অত্যাধুনিক বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
প্রগতি ময়দানের একেবারে কেন্দ্রস্থলে কনভেনশন সেন্টারটি তৈরি করা হয়েছে। এখানে বড় আকারের আন্তর্জাতিক স্তরের প্রদর্শনী, বাণিজ্য মেলা, কনভেনশন, কনফারেন্স এবং অন্যান্য মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠান করা যাবে। এছাড়াও, রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বৈঠকের ঘর, লাউঞ্জ, অডিটোরিয়াম, অ্যাম্পিথিয়েটার এবং বিজনেস সেন্টার। এর দুটি প্রেক্ষাগৃহে মোট ৭ হাজার মানুষের বসার ব্যবস্থা রয়েছে, যা অস্ট্রেলিয়ার সিডনি অপেরা হাউসের চেয়েও বেশি। এর অনন্য সুন্দর অ্যাম্পিথিয়েটারে ৩ হাজার মানুষের বসার ব্যবস্থা রয়েছে।
শঙ্কুর আকৃতির কনভেনশন সেন্টারটির স্থাপত্যে ভারতের পরম্পরার সঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধন ঘটানো হয়েছে। এর দেওয়ালে ঠাঁই পেয়েছে ভারতের ঐতিহ্যবাহী শিল্প ও সংস্কৃতির ছবি। রয়েছে বিভিন্ন ধরনের চিত্র শিল্প এবং আদিবাসী শিল্পকর্ম।
৫জি ওয়াই-ফাই সুবিধা, বড় আকারের ভিডিও ওয়াল, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ব্যবস্থা, অত্যাধুনিক নজরদারি প্রযুক্তি সহ এখানে আধুনিক যোগাযোগের সব ধরনের পরিকাঠামো রয়েছে।
আইইসিসি কমপ্লেক্সে ৭টি প্রদর্শনী প্রেক্ষাগৃহ রয়েছে, যেখানে প্রদর্শনীর পাশাপাশি বাণিজ্য মেলা এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা সংক্রান্ত কাজকর্ম করা যাবে। এছাড়া, এই কমপ্লেক্সের মধ্যে রয়েছে লেক এবং ছোট ছোট জলাশয়, যা অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন।
দর্শকদের সুবিধার জন্য এখানে ৫,৫০০-র বেশি গাড়ি পার্কিং-এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সিগন্যাল-মুক্ত রাস্তা ধরে কোনোরকম বাধা-বিপত্তি ছাড়াই দর্শকরা অনায়াসেই তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যেতে পারবেন।
প্রগতি ময়দানের নতুন আইইসিসি কমপ্লেক্স বিশ্ব-বাণিজ্যের মানচিত্রে ভারতকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। সেইসঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটিয়ে ভারতের আর্থিক অগ্রগতি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশে এটি সহায়ক হবে্য আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে এটি একটি বড় পদক্ষেপ।