প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২৮শে আগস্ট সন্ধ্যে ৬টা ২৫ মিনিটে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জালিয়ানওয়ালাবাগ স্মারকের পুনর্নিমিত প্রাঙ্গনটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করবেন।
তিনি স্মারক সংগ্রহশালার গ্যালারিগুলিও উদ্বোধন করবেন। কেন্দ্রীয় সরকার, স্মারক প্রাঙ্গনটির উন্নতিকল্পে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে।
গৃহীত উদ্যোগ সমূহ –
অব্যবহৃত পড়ে থাকা বাড়িগুলিকে কাজে লাগিয়ে সংগ্রহশালার চারটি গ্যালারি তৈরি করা হয়েছে।
অডিও ভিজ্যুয়াল প্রযুক্তির প্রয়োগ, বিভিন্ন ধরণের প্রজেকশন, ত্রিমাত্রিক উপস্থাপনা এবং শিল্প স্থাপত্যের মাধ্যমে গ্যালারিগুলি তদানীন্তন পাঞ্জাবে ঐতিহাসিক ঘটনাসমূহ তুলে ধরবে।
১৯১৯ সালের ১৩ই এপ্রিল জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকান্ডটি আলো ও ধ্বনির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে। প্রাঙ্গনে একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্প শুরু করা হয়েছে।
পাঞ্জাবের স্থানীয় স্থাপত্যের সঙ্গে সাজুয্য রেখে ঐতিহ্যবাহী ভবনগুলিতে সংস্কারের কাজ করা হয়েছে। শহিদী পাঁচিল পুনর্নিমিত হয়েছে। এর কাঠামো আরো শক্তিশালী করা হয়েছে।
বাগের মধ্যবর্তী স্থানে অনির্বাণ শিখাটির মেরামতি করা হয়েছে। জলাশয়টিকে পদ্ম পুকুরে পরিণত করা হয়েছে। বাগের রাস্তাগুলি আরো চওড়া করা হয়েছে।
পুনর্নিমিত স্মারকে বেশ কিছু নতুন ও আধুনিক ব্যবস্থা কার্যকর করা হচ্ছে। যথাযথ দিক নির্দেশনার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার পথ দেখানো হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিকে আলোকিত করার পাশাপাশি বাগানজুড়ে শব্দচিত্রের এক অনুপম আস্বাদন দর্শকরা পাবেন। এছাড়াও বৃটিশদের গুলিতে আহতদের উদ্ধার করার জায়গা, অমর জ্যোতি এবং পতাকা উত্তোলনের জায়গাটিকে নতুন করে গড়ে তোলা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী, কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী, পাঞ্জাব ও হরিয়ানার রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী, উত্তরাখন্ড ও হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, পাঞ্জাবের লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদরা, জালিয়ানওয়ালাবাগ জাতীয় স্মারক সৌধ ট্রাস্টের সদস্যরা সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।