প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় এইচপিসিএ স্টেডিয়ামে আগামী ১৬ ও ১৭ জুন মুখ্যসচিবদের প্রথম জাতীয় সম্মেলনে পৌরোহিত্য করবেন। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
মুখ্যসচিবদের জাতীয় সম্মেলন ১৫-১৭ জুন অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় সরকার, সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিরা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। ২০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি তিন দিন ধরে রাজ্যগুলির অংশীদারিত্বে দেশের দ্রুত ও স্থিতিশীল আর্থিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করবেন। টিম ইন্ডিয়ার ধারনায় সকলে মিলে একযোগে কাজ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। দেশের স্থিতিশীল উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা, সহজ জীবনযাত্রা ও কৃষি ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতা অর্জনের জন্য সম্মেলনে আলোচনা করা হবে। এছাড়াও, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের পর্যালোচনা ও বাস্তবায়ন এবং মানুষের আশা-আকাঙ্খা পূরণে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সম্মেলনে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
গত ছ’মাস ধরে ১০০-রও বেশি আলোচনার পর সম্মেলনের আলোচ্যসূচী নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্মেলনে তিনটি বিষয়ের উপর বিস্তারিত আলোচনা হবে। এগুলি হ’ল - এনইপি-র বাস্তবায়ন, শহরাঞ্চলের প্রশাসন এবং কৃষি কাজে বৈচিত্র্য আনা ও কৃষি পণ্যে আত্মনির্ভরতা অর্জন। জাতীয় শিক্ষা নীতির মাধ্যমে বিদ্যালয় শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষার উন্নতিসাধন নিয়ে সম্মেলনে আলোচনা করা হবে। এছাড়াও, বিভিন্ন রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সবচেয়ে ভালো উদ্যোগগুলি নিয়ে মতবিনিময়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সম্মেলনে উচ্চাকাঙ্খী জেলাগুলির কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করা হবে। এখানে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলি কতটা লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছে এবং তথ্য-ভিত্তিক প্রশাসন ও তৃণমূল স্তরের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সাফল্যের বিষয়ে নির্দিষ্ট জেলাগুলির তরুণ জেলাশাসকদের প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করা হবে।
এছাড়াও, আরও চারটি অতিরিক্ত বিষয় নিয়েও সম্মেলনে আলোচনা হবে। এগুলি হ’ল - ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব: ২০৪৭ সালের জন্য পরিকল্পনা’ বিষয়ের উপর বিশেষ একটি অধিবেশনের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও, সহজে ব্যবসা-বাণিজ্য করা, বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া ও প্রান্তিক মানুষ যাতে সুবিধাগুলি পান, তা নিশ্চিত করা, পিএম গতি শক্তির মধ্য দিয়ে দেশের পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং ক্ষমতা বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলি নিয়ে মতবিনিময় করা হবে। এছাড়াও, আইজিওটি – মিশন কর্মযোগী বাস্তবায়ন নিয়েও অংশগ্রহণকারীরা আলোচনা করবেন।
সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলি নিয়ে নীতি আয়োগের পরিচালন পর্ষদের বৈঠকে আলোচনার পর তা বাস্তবায়নের জন্য চূড়ান্ত পরিকল্পনা করা হবে। পরিচালন পর্ষদের বৈঠকে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রশাসকরা উপস্থিত থাকবেন। এর ফলে, সর্বোচ্চ স্তরে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে চূড়ান্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।