প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী ৬-৭ ই জানুয়ারী জয়পুরের রাজস্থান ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে পুলিশের ডিজি/আইজিদের সর্বভারতীয় সম্মেলনে যোগ দেবেন।
এই সম্মেলেনে সাইবার অপরাধ, প্রযুক্তির প্রয়োগ, সন্ত্রাসের মোকাবিলা, বাম উগ্রপন্থা, কারাক্ষেত্রের সংস্কার সহ অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। নতুন ফৌজদারি আইন রূপায়ণের পথনির্দেশিকা, এই সম্মেলনের অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয়। এছাড়া কৃত্রিম মেধা, ডিপফেকের মতো নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগ সুরক্ষাক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করেছে, তা মোকাবিলার পন্থাপদ্ধতি নিয়েও সম্মেলনে কথা হবে। গৃহীত কর্মপরিকল্পনা এবং তার অগ্রগতির পর্যালোচনা করার সুযোগও এই সম্মেলন এনে দেয়। প্রতিবছর এসংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা পড়ে।
এই সম্মেলনে বিভিন্ন সুনির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে জেলা, রাজ্য ও জাতীয় স্তরের পুলিশ ও গোয়েন্দা আধিকারিকরা আলোচনা করেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে যেসব রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ভালো কাজ করেছে, তাদের দৃষ্টান্ত সবার সামনে তুলে ধরা হয়। অন্য রাজ্যগুলি এথেকে শিখতে পারে।
২০১৪ সাল থেকেই প্রধানমন্ত্রী এই সম্মেলনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। এক্ষেত্রে তাঁর উপস্থিতি পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রীদের মতো প্রতীকি নয়। তিনি নিজে সম্মেলনে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন, সবার বক্তব্য ধৈর্য্য ধরে শোনেন এবং ঘরোয়া খোলামেলা আলোচনায় উৎসাহ দেন, যাতে নতুন চিন্তাভাবনা উঠে আসতে পারে। এবারের সম্মেলনে প্রাতঃরাশ, মধ্যাহ্নভোজ ও নৈশভোজের সঙ্গে সুনির্দিষ্ট বিষয়ে আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা পুলিশের কাজকর্ম ও অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের খোলামেলা বক্তব্য ও সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর সামনে পেশ করার সুযোগ পাবেন।
২০১৪ সালে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল গুয়াহাটিতে ; ২০১৫ সালে কচ্ছের রানে ; ২০১৬ সালে হায়দ্রাবাদের জাতীয় পুলিশ আকাডেমিতে ; ২০১৭ সালে টেকানপুরের বিএসএফ আকাডেমিতে ; ২০১৮ সালে কেভাডিয়ায় ; ২০১৯ সালে পুনের আইআইএসিআর-এ ; ২০২১ সালে লক্ষৌ-এর পুলিশ সদর দফতরে এবং ২০২৩ সালে দিল্লির জাতীয় কৃষি বিজ্ঞান চত্বরে এর আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, ক্যাবিনেট সচিব ও পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা যোগ দেবেন।