প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২৫ আগস্ট রাত ৮টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন, ২০২২’-এর গ্র্যান্ড ফিনালেতে ভাষণ দেবেন।
মূলত যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্ভাবনী মানসিকতা গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগী হয়েছেন। তারই অঙ্গ হিসেবে ২০১৭ সাল থেকে ‘স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন’ (এসআইএইচ) আয়োজন করা হচ্ছে। এসআইএইচ-এর মাধ্যমে সমাজ, বিভিন্ন সংস্থা এবং সরকারের নানাবিধ সমস্যার সমাধানে ছাত্রছাত্রীদের যুক্ত করতে দেশজুড়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উদ্ভাবনী চিন্তাধারা, বিভিন্ন সমস্যার সমাধান এবং প্রচলিত পন্থা থেকে বেরিয়ে এসে অন্যভাবে ভাবনাচিন্তা করার সংস্কৃতি গড়ে তোলাই এর মূল উদ্দেশ্য।
প্রথম এসআইএইচ-এ প্রায় ৭,৫০০ জন অংশ নিয়েছিল। বর্তমান পর্বে অর্থাৎ, পঞ্চম সংস্করণে এই সংখ্যা প্রায় চারগুণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৯,৬০০। এর মধ্য দিয়ে এসআইএইচ-এর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা প্রতিফলিত। এ বছরের গ্র্যান্ড ফিনালেতে ৭৫টি আদর্শ কেন্দ্রে ১৫ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী এবং মেন্টর অংশগ্রহণ করবেন। চূড়ান্ত পর্বে ৫৩টি কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের ৪৭৬টি সমস্যা সমাধানে ২,৯০০টি স্কুল এবং ২,২০০টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা উদ্যোগী হবে। এর মধ্যে রয়েছে টেম্পল ইন্সক্রিপশন্স-এর অপটিক্যাল ক্যারেক্টারকে শনাক্তকরণের মধ্য দিয়ে দেবনগরী হরফে অনুবাদ, পচনশীল খাদ্যসামগ্রীর জন্য শীতল সরবরাহ শৃঙ্খলে ‘ইন্টারনেট অফ থিংস’-এর মাধ্যমে নজরদারি ব্যবস্থা, দুর্যোগ কবলিত অঞ্চলে হাই রেজোলিউশন ত্রিমাত্রিক মডেলের মাধ্যমে পরিকাঠামো এবং রাস্তার অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া ইত্যাদি।
বিদ্যালয় স্তরে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উদ্ভাবনী মানসিকতা গড়ে তোলা এবং বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে উৎসাহিত করতে এ বছর স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য দিশারী হিসেবে ‘স্মার্ট ইন্ডিয়া হ্যাকাথন – জুনিয়র’-এর সূচনা করা হয়েছে।