প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১৬ই ডিসেম্বর বেলা ১১টায় গুজরাটের আনন্দ-এ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ওপর আয়োজিত জাতীয় সম্মেলনের সমাপ্তি অধিবেশনে কৃষকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন। সম্মেলনে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজের ওপর আলোচনা হচ্ছে। প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করলে কৃষকরা কিভাবে উপকৃত হবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তাঁদের কাছে তুলে ধরা হবে।
কৃষককল্যাণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কৃষিকাজে যাতে উৎপাদন বৃদ্ধি পায় যার ফলে কৃষকরা সবথেকে বেশি লাভবান হতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। কৃষিকাজে সংস্কারের জন্য এবং কৃষকদের আয় বৃদ্ধিতে কেন্দ্র একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে। কৃষিকাজে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, ব্যয় কমানো, উৎপাদিত ফসল বাজারে পাঠানো এবং কৃষকরা যাতে ভালো দাম পান তা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
‘জিরো বাজেট’-এ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করলে কৃষকদের বিভিন্ন সামগ্রী কেনার ওপর নির্ভরশীলতা কমবে। প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চাষবাসের ফলে কৃষিকাজে ব্যয় হ্রাস হবে, এর ফলে মাটির স্বাস্থ্যের মানোন্নয়ন হবে। দেশীয় প্রজাতির গরু, তার গোবর এবং মুত্র এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এগুলির সাহায্যে মাটিতে বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদানের যোগান দেওয়া সম্ভব। এছাড়াও সারা বছর ধরে মাটিকে খড়, বিচালি দিয়ে ঢেকে রাখা অথবা সবুজ ঘাস দিয়ে মুড়িয়ে রাখার মতো চিরায়ত পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করলে কম জলেও ফলন আগের মতোই হবে।
এই কৌশলগুলি সম্পর্কে দেশজুড়ে কৃষকদের অবহিত করতে গুজরাট সরকার কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ওপর এই জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করেছে। সম্মেলনে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ১৪-১৬ই ডিসেম্বর, তিনদিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সম্মেলনে পাঁচ হাজারের বেশি কৃষক অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়াও, আইসিএআর এবং কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের মতো কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন রাজ্যের এগ্রিকালচারাল টেকনলজি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি থেকে কৃষকরা সরাসরি সম্মেলনে যোগ দিতে পারবেন।