মাইসোরে প্রধানমন্ত্রীর যোগ দিবসের অনুষ্ঠানের পাশাপাশি, দেশের ৭৫টি বিখ্যাত স্থানে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়
কোটি কোটি মানুষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন অসরকারি সংগঠন দেশ জুড়ে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে মহতী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে
‘এক সূর্য, এক বিশ্ব’ ভাবনায় প্রধানমন্ত্রী মাইসোরে যোগ সংক্রান্ত অনুষ্ঠানটি ‘গার্জিয়ান যোগ রিং’ শীর্ষক উদ্ভাবনী কর্মসূচির অঙ্গ
“যোগ শুধুমাত্র কোনও ব্যক্তিবিশেষের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির”
“যোগ আমাদের সমাজ, দেশ, বিশ্ব এবং ব্রহ্মাণ্ডে শান্তি নিয়ে এসেছে”
“যোগ দিবসের বিপুল গ্রহণযোগ্যতা ভারতের অমৃত ভাবনাকে গ্রহণ করার সামিল, যে ভাবনা দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে শক্তি যুগিয়েছিল”
“ভারতের ঐতিহাসিক স্থানগুলিতে যৌথভাবে যোগাভ্যাসের অভিজ্ঞতা দেশের অতীত, বৈচিত্র্য এবং বিস্তারকে এক সূত্রে গেঁথেছে”
“যোগাভ্যাস স্বাস্থ্য, সাম্য ও সহযোগিতার জন্য অনুপ্রেরণার উৎস”
“আজ যোগের অপরিসীম সম্ভাবনার কথা উপলব্ধি করার সময় এসেছে”
“যখন আমরা যোগের সঙ্গে জীবনযাপন করি, তখন যোগ দিবস আমাদের স্বাস্থ্য, আনন্দ ও শান্তির মাধ্যম হয়ে ওঠে”

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ অষ্টম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে মাইসুরুর মাইসোর প্যালেস গ্রাউন্ডে হাজার হাজার অংশগ্রহণকারীর সঙ্গে মহতী এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। কর্ণাটকের রাজ্যপাল শ্রী থাওয়ার চাঁদ গেহলট, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বাসবরাজ বোম্মাই এবং কেন্দ্রীয় জাহাজ ও জলপথ পরিবহণ মন্ত্রী শ্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাইসুরুর মতো ভারতের আধ্যাত্মিক কেন্দ্রে শত শত বছর ধরে যোগ-শক্তি লালিত হয়ে এসেছে। আজ বিশ্ব জুড়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে এই শক্তি পথ দেখাচ্ছে। যোগ আজ আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যম হয়ে উঠেছে। এখন সকলের মধ্যে বিশ্বাস সঞ্চারিত হয়েছে যে, মানবজাতির সুস্বাস্থ্য যোগাভ্যাসের মাধ্যমেই হওয়া সম্ভব। শ্রী মোদী বলেছেন, আজ যোগ ঘরের চার দেওয়ালের গণ্ডী থেকে বেরিয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আধ্যাত্মিকতার উপলব্ধির এটি বাস্তবচিত্র, যেখানে প্রাকৃতিক ও অংশীদারিত্বের মানব চেতনা এক হয়ে গেছে। গত দু’বছরে অভূতপূর্ব এক অতিমারী পরিস্থিতিতে যোগের গুরুত্ব আরও বেশি করে সকলে বুঝতে পেরেছেন। “যোগ বর্তমানে আন্তর্জাতিক এক উৎসবে পরিণত হয়েছে। যোগ শুধুমাত্র কোনও ব্যক্তিবিশেষের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির। তাই, এবারের আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের মূল ভাবনা হ’ল – মানবজাতির জন্য যোগাভ্যাস”। তিনি রাষ্ট্রসংঘ এবং সমস্ত দেশকে আন্তর্জাতিক স্তরে এই ভাবনাটি গ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

ভারতীয় মণীষীদের বক্তব্য উদ্ধৃত করে শ্রী মোদী বলেছেন, “যোগ আমাদের জীবনে শান্তি নিয়ে এসেছে। যোগের এই শান্তি শুধুমাত্র কোনও ব্যক্তিবিশেষের মধ্যে আবদ্ধ নয়, যোগ আমাদের সমাজ, দেশ, বিশ্ব এবং ব্রহ্মাণ্ডে শান্তি নিয়ে এসেছে”। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এই ব্রহ্মাণ্ড আমাদের নিজেদের শরীর ও আত্মা থেকে শুরু হয়েছে। এই ব্রহ্মাণ্ড আমাদের থেকে শুরু হয়েছে। আর যোগ আমাদের শরীরের সব বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশ যখন তার ৭৫তম স্বাধীনতা উপলক্ষে অমৃত মহোৎসব উদযাপন করছে, সেই সময় এই আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপিত হচ্ছে। যোগ দিবসে বিপুল গ্রহণযোগ্যতা ভারতের অমৃত ভাবনাকে গ্রহণ করার সামিল, যে ভাবনা দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে শক্তি যুগিয়েছিল। আর তাই দেশের ৭৫টি বিখ্যাত স্থানে যোগ সংক্রান্ত মহতী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ভারতের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলি যুক্ত হয়েছে। “ভারতের ঐতিহাসিক স্থানগুলিতে যৌথভাবে যোগাভ্যাসের অভিজ্ঞতা দেশের অতীত, বৈচিত্র্য এবং বিস্তারকে এক সূত্রে গেঁথেছে”। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ‘গার্জিয়ান যোগ রিং’ সম্পর্কে জানান, ৭৯টি দেশ ও রাষ্ট্রসংঘের বিভিন্ন সংগঠন একযোগে এই অনুষ্ঠান উদযাপন করছে। বিদেশে ভারতীয় দূতাবাসগুলিতে যোগের ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর ফলে, দেশকালের গণ্ডী ছাড়িয়ে যোগ সকলের কাছে পৌঁছেছে। সূর্য পূর্ব দিকে উদয় হওয়ার পর, তা ক্রমশ পশ্চিমমুখী হয়। এই ভাবনায় যোগ সংক্রান্ত মহতী অনুষ্ঠানগুলির সময় বিভিন্ন দেশে নির্ধারিত হয়েছে। ‘এক সূর্য, এক বিশ্ব’ ভাবনার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে পুরো পরিকল্পনাটি করা হয়। যোগাভ্যাস স্বাস্থ্য, সাম্য ও সহযোগিতার জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।

শ্রী মোদী বলেছেন, যোগ আজ আমাদের জীবনের অঙ্গ নয়, যোগাভ্যাস জীবনশৈলীর অঙ্গ হয়ে উঠেছে। কোনও নির্দিষ্ট সময় ও স্থানের গণ্ডীতে যোগ আর আবদ্ধ নেই। “আমরা কতটা সমস্যার মধ্যে রয়েছি, সেটা কোনও বিষয় নয়, আমাদের মনের চাপ কমাতে মাত্র কয়েক মিনিটের ধ্যানই যথেষ্ট। এর মাধ্যমে আমাদের কর্মক্ষমতা বাড়ে। তাই, যোগকে কোনও বাড়তি কাজ হিসাবে বিবেচনা করা উচিৎ নয়। আমাদের যোগ সম্পর্কে জানতে হবে এবং যোগের সঙ্গে বাঁচতে হবে। জীবনে যোগকে গ্রহণ করতে হবে। যখন আমরা যোগের সঙ্গে জীবনযাপন করি, তখন যোগ দিবস আমাদের স্বাস্থ্য, আনন্দ ও শান্তির মাধ্যম হয়ে ওঠে”। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আজ যোগের অপরিসীম সম্ভাবনার কথা উপলব্ধি করার সময় এসেছে। আমাদের যুবসম্প্রদায় যোগের বিষয়ে নতুন নতুন ধারনা নিয়ে আসছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আয়ুষ মন্ত্রকের স্টার্টআপ যোগ চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেন। শ্রী মোদী যোগের প্রসার ও বিকাশে অনবদ্য অবদান রাখার জন্য ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কার বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান।

আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের সঙ্গে এ বছর অষ্টম যোগ দিবস উদযাপন হয়েছে। মাইসোরে প্রধানমন্ত্রীর যোগ সংক্রান্ত মহতী অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি, ৭৫ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেশের ৭৫টি বিখ্যাত স্থানে এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিভিন্ন শিক্ষা, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও কর্পোরেট সংস্থা এবং সুশীল সমাজের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান যোগ প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। দেশের কোটি কোটি মানুষ এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

মাইসুরুতে প্রধানমন্ত্রীর যোগ সংক্রান্ত মহতী অনুষ্ঠান ‘গার্জিয়ান যোগ রিং’ কর্মসূচির অঙ্গ। এই কর্মসূচিতে ৭৯টি দেশ ও রাষ্ট্রসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পৃথিবীর নানা দেশে ভারতীয় দূতাবাসগুলির সঙ্গে সামিল হয়েছে। দেশের সীমা অতিক্রম করে যোগের এই শক্তি অনুভূত হচ্ছে।

২০১৫ সাল থেকে বিশ্ব জুড়ে প্রতি বছর ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসাবে উদযাপিত হয়। এ বছরের যোগ দিবসের মূল ভাবনা ‘মানবজাতির জন্য যোগ’। কোভিড মহামারীর সময় যোগ কিভাবে মানবজাতিকে রক্ষা করেছে – এই ভাবনার মধ্য দিয়ে তা প্রতিফলিত হয়েছে।

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Snacks, Laughter And More, PM Modi's Candid Moments With Indian Workers In Kuwait

Media Coverage

Snacks, Laughter And More, PM Modi's Candid Moments With Indian Workers In Kuwait
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM to attend Christmas Celebrations hosted by the Catholic Bishops' Conference of India
December 22, 2024
PM to interact with prominent leaders from the Christian community including Cardinals and Bishops
First such instance that a Prime Minister will attend such a programme at the Headquarters of the Catholic Church in India

Prime Minister Shri Narendra Modi will attend the Christmas Celebrations hosted by the Catholic Bishops' Conference of India (CBCI) at the CBCI Centre premises, New Delhi at 6:30 PM on 23rd December.

Prime Minister will interact with key leaders from the Christian community, including Cardinals, Bishops and prominent lay leaders of the Church.

This is the first time a Prime Minister will attend such a programme at the Headquarters of the Catholic Church in India.

Catholic Bishops' Conference of India (CBCI) was established in 1944 and is the body which works closest with all the Catholics across India.