“আমাদের সবার ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা, দায়িত্ব, কাজের ধারা রয়েছে। কিন্তু আমাদের আস্থা, অনুপ্রেরণা ও শক্তির উৎস একটাই – আমাদের সংবিধান”
“সংবিধানের ভাবনার সব থেকে শক্তিশালী অভিব্যক্তি হল সবকা সাথ – সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস – সবকা প্রয়াস। সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ সরকার উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করে না”
“নির্দিষ্ট সময়ের আগে ভারতই একমাত্র দেশ যে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে চলেছে। কিন্তু পরিবেশের দোহাই দিয়ে ভারতের ওপর নানা ধরণের চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এগুলি সবই ঔপনিবেশিক মানসিকতা”
প্রধানমন্ত্রী সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে সুপ্রীমকোর্ট আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছেন

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে সুপ্রীমকোর্ট আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছেন। অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধান বিচারপতি শ্রী এন ভি রামানা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী কিরেণ রিজিজু, সুপ্রীমকোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিরা, অ্যাটর্নি জেনারেল শ্রী কে কে বেণুগোপাল এবং সুপ্রীমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শ্রী বিকাশ সিং উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ সকালে তিনি আইন বিভাগ এবং শাসন বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে ছিলেন। আর এখন তিনি বিচার বিভাগের সদস্যদের সঙ্গে রয়েছেন। “আমাদের সবার ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা, দায়িত্ব, কাজের ধারা রয়েছে। কিন্তু আমাদের আস্থা, অনুপ্রেরণা ও শক্তির উৎস একই – আমাদের সংবিধান”।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের সংবিধান প্রণেতারা ভারতের হাজার হাজার বছরের পুরোনো ঐতিহ্যকে মনে রেখে , জনসাধারণের আশা, আকাঙ্খা এবং স্বাধীনতার জন্য যারা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন, তাঁদের স্বপ্নপূরণ করতে এই সংবিধান উপহার দিয়েছেন।  

শ্রী মোদী বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরেও পানীয় জল, শৌচাগার, বিদ্যুতের মতো মূল চাহিদাগুলি থেকে দেশের বড় অংশের মানুষ বঞ্চিত ছিলেন। তাঁদের জীবনযাত্রা সহজ করে তোলার মধ্য দিয়ে সংবিধানের প্রতি সব থেকে ভালো শ্রদ্ধা নিবেদন করা যায়। যাঁরা এতদিন এই সব সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলেন, তাদের জন্য এই পরিষেবা নিশ্চিত করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার জন্য প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।  

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিগত কয়েক মাস ধরে করোনার সময়কালে ৮০ কোটির বেশি লোককে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া হচ্ছে। পিএম গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনায় দরিদ্র মানুষেরা যাতে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য পান, তার জন্য সরকার ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার বেশি ব্যয় করেছে। এই প্রকল্পটির সময়সীমা আগামী বছর মার্চ মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। দরিদ্র মানুষ, মহিলা, তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিক, রাস্তার হকার, ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তি এবং অন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষদের চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে। এইভাবে দেশ গড়ার প্রক্রিয়ায় সংবিধানের প্রতি তাঁদের আস্থা আরো শক্তিশালী হচ্ছে।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের মূল ভাবনার শক্তিশালী অভিব্যক্তি হল সবকা সাথ – সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস – সবকা প্রয়াস। সরকার সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ। তাই উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য করা হচ্ছে না। আজ দরিদ্রতম মানুষটিও ক্ষমতাশালী নাগরিকের মতোই সম মানের পরিকাঠামোর ব্যবহারের সুযোগ পান, যা এক সময়ে কেবলমাত্র ক্ষমতাশালী মানুষের কুক্ষিগত ছিল। আজ দিল্লি ও মুম্বাইয়ের মতো মহানগরী উন্নয়নের জন্য যতটা গুরুত্ব পায়, লাদাখ, আন্দামান ও উত্তর পূর্বাঞ্চলও ঠিক ততটাই গুরুত্ব পেয়ে থাকে।

শ্রী মোদী জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষার সাম্প্রতিকতম ফলাফলের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশে ছেলেদের তুলনায় কন্যা সন্তানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য হাসপাতালে সন্তান প্রসবের প্রচুর সুবিধে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে মাতৃত্বকালীন মৃত্যুর হার এবং সদ্যোজাত শিশুদের মৃত্যুর হার কমছে।  

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আজ আপাতদৃষ্টিতে পৃথিবীর মধ্যে কোনো দেশের উপনিবেশ নেই। কিন্তু এর অর্থ এটা নয় যে, ঔপনিবেশিক মানসিকতা দূর হয়েছে। “অনেক তথ্য বিকৃত করার মধ্য দিয়ে আমরা এই মানসিকতা দেখতে পাই। উন্নয়নশীল দেশগুলির উন্নয়নের যাত্রায় বাধা সৃষ্টি করা এর সব থেকে বড় উদাহরণ। আজ উন্নত দেশগুলি যেভাবে তাদের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে, সেই পথ উন্নয়নশীল দেশগুলি অনুসরণ করলেই তা বাধাপ্রাপ্ত হয়।” প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী অভীষ্ট লক্ষ্যে সময়ের আগে সারা পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র ভারতই পৌঁছতে পেরেছে। কিন্তু পরিবেশের দোহাই দিয়ে আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এগুলি হল – ঔপনিবেশিক মানসিকতার ফল। তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই মানসিকতার জন্য আমাদের দেশের উন্নয়নেও বাধা সৃষ্টি করা হয়। কখনও বা মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে, আবার কখনও অন্য কোনো অজুহাত দিয়ে।” তিনি বলেন, এই ঔপনিবেশিক মানসিকতার ফলে স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় যে সংকল্প তৈরি হয়েছিল, সেটিও বাধাপ্রাপ্ত হয়। “আমাদের এগুলিকে দূর করতে হবে। আর একাজে আমাদের সব থেকে বড় শক্তি ও অনুপ্রেরণা হল আমাদের সংবিধান।”

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সংবিধানের গর্ভে শাসন এবং বিচার ব্যবস্থার জন্ম হয়েছে। তাই এরা যমজ সন্তান। সংবিধানের জন্যই এরা সৃষ্টি হয়েছে।  বৃহৎ পরিপ্রেক্ষিতে এরা একে অন্যের পরিপূরক। শ্রী মোদী বলেন, অমৃতকালে সংবিধানের মূল্যবোধে যৌথভাবে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে হবে। কারণ সাধারণ মানুষ তার প্রয়োজনের তুলনায় নানা সুযোগ সুবিধা কমই পাচ্ছেন। “ক্ষমতার পৃথকীকরণের দৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আমাদের যৌথভাবে পরিকল্পনা ও লক্ষমাত্রা অর্জনের জন্য কাজ করতে হবে। আর এভাবেই দেশ তার অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে।”

 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India’s organic food products export reaches $448 Mn, set to surpass last year’s figures

Media Coverage

India’s organic food products export reaches $448 Mn, set to surpass last year’s figures
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister lauds the passing of amendments proposed to Oilfields (Regulation and Development) Act 1948
December 03, 2024

The Prime Minister Shri Narendra Modi lauded the passing of amendments proposed to Oilfields (Regulation and Development) Act 1948 in Rajya Sabha today. He remarked that it was an important legislation which will boost energy security and also contribute to a prosperous India.

Responding to a post on X by Union Minister Shri Hardeep Singh Puri, Shri Modi wrote:

“This is an important legislation which will boost energy security and also contribute to a prosperous India.”