পাঞ্জাবের রাজ্যপাল শ্রী ভি পি সিং বদনোরজি, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংজি, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহযোগী শ্রী জি কিষাণ রেড্ডিজি, শ্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালজি, শ্রী সোম প্রকাশজি, সংসদে আমার সহযোগী শ্রী শ্বৈত মলিকজি, এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হওয়া সমস্ত মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীগণ, জনপ্রতিনিধিগণ, শহীদদের পরিবারের সদস্যরা, ভাই ও বোনেরা!
পাঞ্জাবের বীরভূমিকে, জালিয়ানওয়ালা বাগ-এর পবিত্র মাটিকে আমার অনেক অনেক প্রণাম। ভারতমাতার সেই সন্তানদেরও প্রণাম জানাই যাঁদের অন্তরে প্রজ্জ্বলিত স্বাধীনতার বহ্নিশিখাকে বুজিয়ে দেওয়ার জন্য ব্রিটিশ সরকার অমানবিকতার সমস্ত সীমা পার করে গিয়েছিল। সেই নিরীহ বালক-বালিকারা, বোন ও ভাইয়েরা, যাঁদের অতৃপ্ত স্বপ্ন আজও জালিয়ানওয়ালা বাগ-এর দেওয়ালে সৃষ্টি হওয়া গুলীর ক্ষতর মধ্যে দেখা যায়, দেখা যায় সেই শহীদি কুঁয়ো, যেখানে অসংখ্য মা ও বোনেদের মমতাকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, তাঁদের জীবন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল, তাঁদের স্বপ্নগুলিকে কুচলে দেওয়া হয়েছিল, - তাঁদের সবাইকে আজ আমরা স্মরণ করছি।
ভাই ও বোনেরা,
জালিয়ানওয়ালা বাগ সেই স্থান যেটি সর্দার উধম সিং, সর্দার ভগৎ সিং-এর মতো অসংখ্য বিপ্লবী, আত্মবলিদানকারী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের দেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মবলিদানের সাহস জুগিয়েছে। ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিলের সেই ১০ মিনিট, সেই নির্মম সত্য আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের চিরন্তন গাথায় পরিণত হয়েছে। এর ফলে, আজ আমরা স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছি। এমন সময়ে স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে জালিয়ানওয়ালা বাগ স্মারককে দেশের সামনে আধুনিক রূপে প্রস্তুত করা আমাদের সকলের জন্য অনেক বড় প্রেরণার উৎস হয়ে উঠতে চলেছে। অনেকবার এই জালিয়ানওয়ালা বাগ-এর পবিত্র মাটিতে আসার সৌভাগ্য আমার হয়েছে, অনেকবার এখানকার পবিত্র মাটিতে কপালে ঠেকাতে পেরেছি। আজ যে পুনর্নিমাণের কাজ হয়েছে তা সেই আত্মবলিদানের অমরগাথাকে আরও জীবন্ত করে তুলেছে। এখানে যে ভিন্ন ভিন্ন গ্যালারি নির্মাণ করা হয়েছে, যে দেওয়ালগুলিতে শহীদদের চিত্র খোদিত করা হয়েছে, যেমন শহীদ উধম সিংজির মূর্তি – এসব কিছু আমাদের সেই কালখণ্ডে নিয়ে যায়।
জালিয়ানওয়ালা বাগ নরসংহারের আগে এই মাঠে প্রতি বছর পবিত্র বৈশাখীর মেলা বসত। এদিনে গুরু গোবিন্দ সিংজি “শরবত দা ভালা”-র ভাবনা নিয়ে খালসা পন্থ স্থাপন করেছিলেন। স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে জালিয়ানওয়ালা বাগ-এর এই নতুন স্বরূপ দেশবাসীকে এই পবিত্র স্থানের ইতিহাস সম্পর্কে, এর অতীত সম্পর্কে অনেক কিছু জানার জন্য প্রেরণা জোগাবে। এই স্থানটি নতুন প্রজন্মকে সবসময় মনে করাবে যে আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের যাত্রাপথ কেমন ছিল, এতদূর পৌঁছতে আমাদের পূর্বজরা কী কী করেছেন, কত ত্যাগ, কত আত্মবলিদান, কত অসংখ্য সংঘর্ষ! দেশের প্রতি আমাদের কর্তব্য কী হওয়া উচিৎ, কিভাবে আমাদের নিজেদের প্রতিটি কাজে দেশকে সর্বোপরি রাখা উচিৎ, এই প্রেরণায়ও নতুন প্রাণশক্তি সঞ্চার করবে এই পুনর্নির্মিত স্মারক ও কমপ্লেক্স।
বন্ধুগণ,
প্রত্যেক রাষ্ট্রের দায়িত্ব হল তার নিজের ইতিহাসকে সংরক্ষণ করা। ইতিহাসের সমস্ত ঘটনা আমাদের শিক্ষা দেয় এবং এগিয়ে যাওয়ার দিশাও দেখায়। জালিয়ানওয়ালা বাগ-এর মতো আরেকটি বিভীষিকা আমরা ভারত বিভাগের সময়েও দেখেছি। পাঞ্জাবের পরিশ্রমী এবং প্রাণবন্ত মানুষেরা বিভাজনের অনেক বড় শিকার। বিভাজনের সময় যা কিছু হয়েছে তার পীড়া আজও ভারতের প্রত্যেক কোণায় কোণায়, আর বিশেষ করে, পাঞ্জাবের পরিবারগুলিতে আমরা অনুভব করি। যে কোনও দেশের জন্য তার অতীতের এমন বিভীষিকাময় মুহূর্তগুলিকে ছোট করে দেখা ঠিক নয়। সেজন্য ভারত প্রত্যেক বছর ১৪ আগস্ট দিনটিকে ‘বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস’ রূপে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই দিনটি পালনের মাধ্যমে তাঁদের ইতিহাস সম্পর্কে অবহিত হয়, তাঁরা যাতে বুঝতে পারে কত বড় মূল্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তাঁরা সেই যন্ত্রণা, ভুক্তভোগীদের সেই কষ্টকে বুঝতে পারবে যা বিভাজনের সময় কোটি কোটি ভারতবাসী সহন করেছে।
বন্ধুগণ,
গুরুবাণী আমাদের শেখায় –
“সুখু হোভৈ সেভ কমাণীআ”
অর্থাৎ, সুখ অন্যদের সেবা থেকেই আসে। আমরা তখনই সুখী হই, যখন আমরা নিজেদের পাশাপাশি আপনজনদের পীড়াও অনুভব করি। সেজন্য আজ সারা পৃথিবীতে কোথাও কোনও ভারতীয় যখন সঙ্কটে পড়েন, তখন ভারত সম্পূর্ণ সামর্থ্য দিয়ে তাঁকে সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত থাকে। করোনাকাল হোক কিংবা আফগানিস্তানের বর্তমান সঙ্কট, বিশ্ব এটা নিরন্তর অনুভব করেছে। ‘অপারেশন দেবী শক্তি’র মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে শত শত বন্ধুদের ভারতে আনা হচ্ছে। সমস্যা অনেক রয়েছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু আমাদের ওপর গুরুর কৃপা বজায় থেকেছে। আমরা জনগণের পাশাপাশি পবিত্র গুরু গ্রন্থসাহিবের ‘স্বরূপ’কেও মাথায় রেখে ভারতে নিয়ে এসেছি।
বন্ধুগণ,
বিগত বছরগুলিতে দেশ তার এই ধরনের দায়িত্ব পালনের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। মানবতার যে শিক্ষা আমাদের গুরুরা দিয়ে গেছেন, তাকে সামনে রেখে দেশ এমন পরিস্থিতির শিকার আমাদের নাগরিকদের জন্য নতুন আইনও প্রণয়ন করেছে।
বন্ধুগণ,
আজ যে ধরনের আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেই প্রেক্ষিতে আমরা এটা অনুধাবন করতে পারি যে ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর প্রকৃত অর্থ কী হতে পারে। এই ঘটনাগুলি আমাদের মনে করায় যে একটি দেশরূপে প্রতিটি স্তরে আত্মনির্ভরতা এবং আত্মবিশ্বাস কেন প্রয়োজনীয়, কতটা প্রয়োজনীয়। সেজন্য আজ যখন আমরা স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ পালন করছি তখন আমরা যেন আমাদের দেশের বুনিয়াদকে মজবুত করার প্রয়োজন অনুভব করি আর তা নিয়ে গর্ব করি। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব আজ এই সঙ্কল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছে। অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে আজ গ্রামে গ্রামে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করা হচ্ছে, তাঁদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানানো হচ্ছে। দেশের যেখানেই স্বাধীনতা সংগ্রামের কোনও গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় কিম্বা পর্যায় রয়েছে একটি সমর্পিত ভাবনা নিয়ে তাকে সকলের সামনে তুলে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। দেশের রাষ্ট্রনায়কদের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলিকে আজ সংরক্ষিত করার পাশাপাশি সেগুলিকে নতুন মাত্রা প্রদান করা হচ্ছে। জালিয়ানওয়ালা বাগ-এর মতো করেই স্বাধীনতা আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত অন্যান্য জাতীয় স্মারকগুলিকেও পুনর্নিমাণ করা হচ্ছে, আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। এলাহাবাদ মিউজিয়ামে ১৮৫৭ থেকে শুরু করে ১৯৪৭ পর্যন্ত প্রত্যেক বিদ্রোহকে প্রদর্শিত করে দেশের প্রথম ‘ইন্টার্যাক্টিভ গ্যালারি’গড়ে উঠছে। অতি শীঘ্রই এর নির্মাণ সম্পূর্ণ হবে। স্বাধীনতা সংগ্রামী চন্দ্রশেখর আজাদের স্মৃতির উদ্দেশে সমর্পিত এই ‘আজাদ গ্যালারি’তে সশস্ত্র বিপ্লবের সঙ্গে যুক্ত তৎকালীন দলিল-দস্তাবেজ ও আরও কিছু জিনিসের ডিজিটাল রূপ দেওয়া হচ্ছে যা সেখানে গেলে দেখা যাবে। সেরকম কলকাতাতে ‘বিপ্লবী ভারত গ্যালারি’তে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্নকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আকর্ষণীয় করে তোলা হচ্ছে। এর আগে আমাদের সরকার আজাদ হিন্দ ফৌজের অবদানকেও ইতিহাসের পেছনের দিকের পাতা থেকে বের করে এনে সামনে আনার চেষ্টা করেছে। আন্দামানে যেখানে নেতাজী প্রথমবার ত্রিবর্ণ রঞ্জিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন, সেই স্থানটিকেও নতুন পরিচয় প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি, আন্দামানের দ্বীপগুলির নামও স্বাধীনতা সংগ্রামের সম্মানে সমর্পণ করা হয়েছে।
ভাই ও বোনেরা,
স্বাধীনতা সংগ্রামের মহাযজ্ঞে আমাদের দেশের আদিবাসী সমাজের অনেক বড় অবদান রয়েছে। বিভিন্ন জনজাতির মানুষের এই ত্যাগ ও আত্মবলিদানের অমরগাথা আজও আমাদের প্রেরণা জোগায়। ইতিহাসের বইগুলিতে তাঁদেরকে ততটা স্থান দেওয়া হয়নি যতটা তাঁদের পাওয়া উচিৎ ছিল, যতটা তাঁদের অধিকার ছিল। দেশের নয়টি রাজ্য এই সময় আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদান এবং তাঁদের সংঘর্ষের নমুনা প্রদর্শনকারী মিউজিয়ামগুলি গড়ে তোলার কাজ চলছে।
বন্ধুগণ,
দেশের এই আকাঙ্ক্ষাও ছিল যে আমাদের সর্বোচ্চ আত্মবলিদানকারী সৈনিকদের জন্য জাতীয় স্মারক তৈরি হওয়া উচিৎ। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল আজকের নবীন প্রজন্মের মনে দেশরক্ষা এবং দেশের জন্য সবকিছু উৎসর্গ করার ভাবনা জাগিয়ে তুলছে। দেশকে সুরক্ষিত রাখার জন্য পাঞ্জাব সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আমাদের যে বীর সৈনিকরা শহীদ হয়েছিলেন, আজ তাঁরা উচিৎ স্থান এবং সম্মান পেয়েছেন। এরকম আমাদের যত পুলিশ-জওয়ান রয়েছেন, আর আমাদের আধা – সামরিক বাহিনীর আত্মবলিদানকারী সৈনিকদের জন্যও স্বাধীনতার এত দশক পর্যন্ত দেশে কোনও জাতীয় স্মারক ছিল না। আজ পুলিশ এবং অর্ধ-সৈনিক দলের বীর যোদ্ধাদের স্মৃতির উদ্দেশে সমর্পিত জাতীয় স্মারকও দেশের নতুন প্রজন্মকে প্রেরণা জোগাচ্ছে।
বন্ধুগণ,
পাঞ্জাবে তো সম্ভবত এরকম কোনও গ্রাম, এরকম কোনও গলি নেই যেখানে সূর্য এবং সুরবীরদের বীরত্বের গাথা নেই। গুরুদের প্রদর্শিত পথে এগিয়ে গিয়ে পাঞ্জাবের ছেলে-মেয়েরা ভারতমাতার দিকে বাঁকা নজরে তাকানো শত্রুদের সামনে পাথরের মতো দাঁড়িয়ে পড়েন। আমাদের এই ঐতিহ্য আর সমুদ্র থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সকল ক্ষেত্রে উন্নতির চেষ্টা নিরন্তর চালানো হচ্ছে। বিগত সাত বছরের মধ্যেই গুরুনানক দেবজির ৫৫০তম জন্মোৎসব থেকে শুরু করে গুরু গোবিন্দ সিংজির ৩৫০তম জন্মোৎসব, কিংবা গুরু তেগ বাহাদুরজির ৪০০তম জন্মোৎসব – এই সমস্ত উৎসব উদযাপনের সৌভাগ্য আমাদের হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার চেষ্টা করেছে যাতে শুধু দেশে নয়, গোটা বিশ্বে এই পবিত্র উৎসবগুলির মাধ্যমে আমাদের গুরুদের শিক্ষা ছড়িয়ে পড়ে। তাঁদের এই সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ক্রমাগত কাজ চলছে। সুলতানপুর লোধিকে হেরিটেজ টাউন হিসেবে গড়ে তোলার কাজ থেকে শুরু করে কর্তারপুর করিডর নির্মাণ – এসব কিছুই এই প্রচেষ্টার অংশ। পাঞ্জাবের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিমান যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং সারা দেশে আমাদের গুরুদের স্মৃতি বিজড়িত যত স্থান রয়েছে সেগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির প্রচেষ্টাকে মজবুত করা হয়েছে। ‘স্বদেশ দর্শন যোজনা’র অন্তর্গত আনন্দপুর সাহিব-ফতেহগড় সাহিব-ফিরোজপুর-অমৃতসর-খটকড়-কলাঁ-কলানৌর-পাতিয়ালা হেরিটজ সার্কিটকে বিকশিত করা হচ্ছে। চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে আমাদের এই সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও প্রেরণা জোগাতে থাকে আর পর্যটন ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হয়।
বন্ধুগণ,
স্বাধীনতার এই অমৃতকাল গোটা দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অমৃতকালে আমাদের ঐতিহ্য এবং উন্নয়নকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে হবে। এক্ষেত্রে পাঞ্জাবের মাটি আমাদের সর্বদাই প্রেরণা জুগিয়ে যাবে। আজ এটা অত্যন্ত জরুরি যে পাঞ্জাব যেন প্রতিটি স্তরে উন্নতি করে, আমাদের দেশ যেন সমস্ত দিশায়
উন্নতি করে তা সুনিশ্চিত করতে আমাদের সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস অউর সবকা প্রয়াস’-এর ভাবনা নিয়ে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, যে জালিয়ানওয়ালা বাগ-এর এই মাটি আমাদের এই সঙ্কল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করতে সর্বদাই প্রাণশক্তি যুগিয়ে যাবে আর দেশ নিজের লক্ষ্যগুলিকে দ্রুত পূরণ করবে। এই প্রত্যাশা রেখে আরেকবার এই আধুনিক স্মারকের জন্য দেশবাসীকে অনেক অনেক শুভকামনা। অনেক অনেক ধন্যবাদ!