“প্রকৃতির জন্য বিজ্ঞানের ব্যবহার এবং আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে প্রযুক্তির সংমিশ্রণ হল গতিশীল ভারতের আত্মা”
“বিশ্ব আজ আমাদের স্টার্ট-আপগুলিকে তার ভবিষ্যত হিসেবে দেখছে। আমাদের শিল্প এবং আমাদের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ বিশ্বের বিকাশের ক্ষেত্রে আশার আলো হয়ে উঠছে”
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শ্রী গণপতি সচ্চিদানন্দ স্বামী জির ৮০ তম জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী গণপতি সচ্চিদানন্দ স্বামী জি এবং তাঁর অনুগামীদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি সাধু ও বিশিষ্ট অতিথিদের ‘হনুমত দ্বার’ উৎসর্গের উল্লেখ করেন।
ধর্মগ্রন্থের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধুরা যে মানবকল্যাণের জন্যই আবির্ভূত হন এবং তাঁদের জীবন যে সামাজিক উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকে, শ্রী গণপতি সচ্চিদানন্দ স্বামী জির জীবন তাঁর জীবন্ত উদাহরণ। দত্ত পীঠমে আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি আধুনিকতার সহাবস্থানে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে তিনি হনুমান মন্দিরে থ্রিডি ম্যাপিং, আধুনিক লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো এবং বার্ড পার্কের উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেদ চর্চার একটি মহান কেন্দ্র হওয়ার পাশাপাশি দত্ত পীঠম স্বাস্থ্যের প্রয়োজনে সঙ্গীতের ব্যবহারের ক্ষেত্রে কার্যকর উদ্ভাবনের উদ্যোগ নিচ্ছে। “প্রকৃতির জন্য বিজ্ঞানের এই ব্যবহার, আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে প্রযুক্তির এই সংমিশ্রণই গতিশীল ভারতের আত্মা। আমি খুশি যে, স্বামীজির মতো সাধকদের প্রচেষ্টায় দেশের যুবকরা তাদের ঐতিহ্যের শক্তির সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে এবং তা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে”।
আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের মধ্যে এই শুভ অনুষ্ঠান পড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধকরা সবসময় নিজের থেকে বিশ্ব জগৎকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন। “’সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রয়াস’ মন্ত্রের সঙ্গে, দেশ আজ সম্মিলিত অঙ্গীকারের ডাক দিচ্ছে। দেশ আজ তার ঐতিহ্য রক্ষা করছে এবং তার প্রসার ঘটাচ্ছে। আবার একই সঙ্গে উদ্ভাবন ও আধুনিকতাকেও উৎসাহ যোগাচ্ছে।” “প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ যোগের পাশাপাশি যুবকরাও ভারতের পরিচয় হয়ে উঠেছে। বিশ্ব আজ আমাদের স্টার্ট-আপগুলিকে নিজেদের ভবিষ্যত হিসেবে দেখছে। আমাদের শিল্প এবং আমাদের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ বিশ্বের বিকাশের ক্ষেত্রে আশার আলো হয়ে উঠছে। আমাদের এর যোগ্য হয়ে উঠতে হবে। আমি চাই আমাদের আধ্যাত্মিক কেন্দ্রগুলি এই লক্ষ্যে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠুক।”
প্রকৃতি সংরক্ষণ ও পাখিদের সেবায় দত্ত পীঠমের কাজের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাদের জল ও নদী সংরক্ষণেও কাজ করার অনুরোধ জানান। প্রতি জেলায় ৭৫টি অমৃত সরোবর খননের যে অভিযান চলছে, দত্ত পীঠমকে তাতে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী। স্বচ্ছ ভারত মিশনে দত্ত পীঠমের অবদানের প্রশংসা করেন তিনি।