মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন,
 
সম্মানীয় প্রতিনিধিবৃন্দ,
 
আমাদের সংবাদ মাধ্যমের বন্ধুরা,
 
নমস্কার!
 
প্রথমেই আমি প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং তাঁর সঙ্গে আসা প্রতিনিধিদলের সদস্যদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাই।  
 
প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এটি হয়তো তাঁর প্রথম ভারত সফর, কিন্তু ভারতের পুরনো বন্ধু হিসাবে তিনি ভারতকে খুব ভালোভাব এ জানেন এবং চেনেন। বিগত কয়েক বছর ধরে ভারত ও বৃটেনের মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে প্রধানমন্ত্রী জনসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। 
 
যখন ভারত তার স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উদযাপন করছে, সেই সময় প্রধানমন্ত্রী জনসন-এর ভারত সফর একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। গতকাল সারা দেশ দেখেছে, আপনি সবরমতী আশ্রমে মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আপনার ভারত সফর শুরু করেছেন। 
 
বন্ধুগণ,
 
গত বছর দুটি দেশ সর্বাঙ্গীণ কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছে। আমাদের সম্পর্ককে এই দশকে একটি নির্দিষ্ট দিশায় এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা উচ্চাকাঙ্খী ‘রোডম্যাপ ২০৩০’ – এর সূচনা করেছি। আমাদের আজকের আলোচনায় আমরা এই রোডম্যাপের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছি এবং আগামী দিনে এর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছি। 
 
দুই দেশই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ‘ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট – এফটিএ’ নিয়ে কাজ করে চলেছে। এই বিষয়ে আলোচনায় ভালো অগ্রগতি হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ বছরের শেষেই এফটিএ সংক্রান্ত সমস্ত উদ্যোগ সম্পূর্ণ করবো। গত কয়েক মাসে ভারত সংযুক্ত আরব আমীরশাহী ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির কাজ শেষ করেছে। একইভাবে, আমরা বৃটেনের সঙ্গেও এফটিএ – এ বাস্তবায়িত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। 
 
আমরা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চাই। প্রতিরক্ষায় উৎপাদন, প্রযুক্তি এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমাদের আত্মনির্ভর ভারত অভিযানকে সাহায্য করতে আমরা বৃটেনকে স্বাগত জানাই। 
 
বন্ধুগণ,
 
আমরা আমাদের পরিকাঠামো আধুনিকীকরণের যে পরিকল্পনা করেছি এবং ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার পাইপলাইন সহ সর্বাত্মক সংস্কার নিয়ে আলোচনা করলাম। বৃটিশ কোম্পানিগুলির ভারতে বিনিয়োগ বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। গতকালই গুজরাটের হালোলে এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ আমরা দেখেছি। 
 
বৃটেনে ১৬ লক্ষ ভারতীয় বংশোদ্ভূত বসবাস করেন। তাঁরা সেদেশের সমাজ ও অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক অবদান রেখে চলেছেন। আমরা চাই, এই প্রাণবন্ত সেতুবন্ধন আরও শক্তিশালী হোক। প্রধানমন্ত্রী জনসন ব্যক্তিগতভাবে এ বিষয়ে অত্যন্ত সক্রিয়। এর জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানাই।
 
বন্ধুগণ,
 
গ্লাসগো’তে অনুষ্ঠিত কপ-২৬ এ যে সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছে, সেগুলি বাস্তবায়নের জন্য আমরা আমাদের অঙ্গীকার আবারও ব্যক্ত করেছি। আজ আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, জলবায়ু সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে এবং জ্বালানী ক্ষেত্রে দুটি দেশের মধ্যে অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করে তোলা হবে। ভারতের জাতীয় হাইড্রোজন মিশনে অংশগ্রহণের জন্য আমরা বৃটেনকে স্বাগত জানাই। আমাদের মধ্যে কৌশলগত প্রযুক্তি সংক্রান্ত আলোচনার পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যও আমি প্রস্তাব রাখছি। 
 
বন্ধুগণ,
 
আজ আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন সংক্রান্ত অংশীদারিত্ব বাস্তবায়নে আমাদের দুই দেশের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে, সেটি আগামীদিনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ বলে প্রমাণিত হবে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমাদের উন্নয়নমূলক অংশীদারিত্বকে এই উদ্যোগ আরও শক্তিশালী করে তুলবে। এই ব্যবস্থাপনায় ভারত ও বৃটেন ১০ কোটি মার্কিন ডলার অন্যান্য দেশকে সাহায্য করবে এবং তৃতীয় কোনও দেশে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ উদ্ভাবন ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। এভাবে স্থিতিশীল উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে সুবিধা হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে। এটি আমাদের নতুন শিল্পোদ্যোগ বা স্টার্টআপ এবং অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগকে নতুন নতুন বাজার খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। এর মধ্য দিয়ে ভারতীয় সংস্থাগুলির উদ্ভাবন আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে যাবে । 
 
বন্ধুগণ,
 
আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। ভারত - প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যাতে মুক্ত, সমন্বিত ও আইন অনুযায়ী সমস্ত কার্যকলাপ সম্পন্ন হয় – আমরা তার উপরও গুরুত্ব দিচ্ছি। ভারত – প্রশান্ত মহাসাগরীয় উদ্যোগে অংশগ্রহণের জন্য বৃটেনের সিদ্ধান্তকে ভারত স্বাগত জানায়। 
 
আমরা ইউক্রেন সমস্যার সমাধানের জন্য অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতি কার্যকর করা এবং কূটনৈতিক ব্যবস্থাপনায় আলাপ-আলোচনার উপর গুরুত্ব দিচ্ছি। সমস্ত রাষ্ট্রের ভৌগোলিক অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি।
 
আমরা আফগানিস্তানে একটি সর্বাঙ্গীন ও সর্বস্তরের প্রতিনিধিমূলক সরকার গঠনের পক্ষে। এই সরকার শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশ গড়ে তুলবে। আফগান ভূখন্ড থেকে যাতে অন্য কোনও দেশে জঙ্গী হামলার পরিকল্পনা না হয়, তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। 
 
সুধী, 
 
ভারত ও বৃটেনের মধ্যে সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে আপনি সর্বদাই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। এর জন্য আপনি প্রশংসার দাবিদার। আরও একবার আপনাকে ও আপনার সঙ্গে আসা প্রতিনিধিদলের সদস্যদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাই।
 
অনেক ধন্যবাদ!
 
প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছিলেন
Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 21 নভেম্বর 2024
November 21, 2024

PM Modi's International Accolades: A Reflection of India's Growing Influence on the World Stage