প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও বার্তার মাধ্যমে অযোধ্যায় লতা মঙ্গেশকর োওক উৎসর্গ অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক ভারতবাসীর আইডল হিসাবে পরিচিত লতা দিদির কন্ঠ দেশের মানুষকে মহাবিষ্ট করে। আজ তাঁর জন্মদিন। প্রধানমন্ত্রী নবরাত্রি উৎসবের তৃতীয় দিনে মা চন্দ্রঘন্টর পূজার্চনার কথাও উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনও ব্যক্তি যখন কঠোর সাধনা করেন, তখন তিনি মা চন্দ্রঘন্টর আশীর্বাদে ঐশ্বরিক কন্ঠের অধিকার অর্জন করেন। “লতাজী ছিলেন, মা সরস্বতীর আশীর্বাদধন্য। তিনি তাঁর কোকিল কন্ঠ দিয়ে সারা বিশ্বকে মোহাবিশ্ব করেছেন। লতাজী সাধনা করেছেন, আর আমরা পেয়েছি তার ফল”, বলেন প্রধানমন্ত্রী। শ্রী মোদী আরও বলেন, অযোধ্যায় লতা মঙ্গেশকর চওক – এ মা সরস্বতীর একটি বিশাল বীণা স্থাপন করা হয়েছে। এটি তাঁর সঙ্গীত সাধনার প্রতীক হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ঐ চওক – এ ৯২টি মার্বেলের তৈরি সাদা পদ্ম তৈরি করা হয়েছে। এটি লতাজীর জীবনের পরিচায়ক।
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর পক্ষ থেকে লতাজীকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর জন্য উত্তর প্রদেশ সরকার ও অযোধ্যা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। “আমি ভগবান শ্রীরামের আশীর্বাদ প্রার্থনা করি, যাতে আগামী প্রজন্মও লতা দিদির সুরের মাধুর্য অনুভব করে সঙ্গীত জগতে এগিয়ে যেতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী লতা দিদির জন্মদিনের সঙ্গে জড়িত বেশ কিছু স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, যখনই তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে, তাঁর মিষ্টি কন্ঠ দিয়ে তিনি আবিষ্ট করে রেখেছিলেন। “দিদি আমাকে বলতেন, মানুষ তাঁর বয়স দিয়ে নয়, কাজের মধ্য দিয়ে পরিচিত হন এবং দেশের জন্য কে কতটা করতে পারলেন, তা আমাদের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ”। শ্রী মোদী আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, অযোধ্যার এই লতা মঙ্গেশকর চওক এবং তাঁর সঙ্গে জড়িত নানান স্মৃতি দেশের প্রতি আমাদের কর্তব্য পালনে উদ্বুদ্ধ করবে।
অযোধ্যার রাম মন্দিরের ভূমি পূজার পর লতা মঙ্গেশকরের কাছ থেকে পাওয়া টেলিফোনে কথা বলার স্মৃতিচারণা করে প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তব রূপ নেওয়ায় লতা দিদি সন্তোষ প্রকাশ করেন। লতা দিদি ‘মন কি অযোধ্যা তব তক শুনি, যব তক রাম না আয়ে’ লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া এই গানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভগবান শ্রীরাম অযোধ্যার এই বিশাল মন্দিরে আবির্ভাব উপলক্ষে এই গানটি গেয়েছিলেন। কোটি কোটি দেশবাসীর হৃদয়ে রাম নাম গেঁথে দেওয়ার জন্য লতা দিদির ভূমিকা ছিল বিশেষ। রামচিরত মানস থেকে প্রধানমন্ত্রী উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, “রাম সে অধিক, রাম কর দফা’ – এর অর্থ ভগবানের আবির্ভাবের আগেই এখানে এসে হাজির হয়েছেন ভগবান রামের অনুগামীরা। অর্থাৎ, লতা মঙ্গেশকর চওক এই সুবিশাল মন্দির নির্মাণের আগেই এখানে নির্মাণ করা হয়েছে।
অযোধ্যার ঐতিহ্য পুনর্স্থাপন এই শহরের উন্নয়নে নতুন ভোর বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভগবান রাম হলেন, আমাদের নাগরিক জীবনের প্রতীক এবং আমাদের নীতিবোধ, মূল্যবোধ, কর্তব্য বোধ এবং সম্ভ্রমের প্রতীক। “অযোধ্যা থেকে রামেশ্বরম ভারতের প্রত্যেক প্রান্তেই রয়েছেন ভগবান শ্রীরাম”। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভগবান রামের আশীর্বাদে এই বিশাল মন্দির নির্মাণ দেখে সারা দেশ আনন্দিত”।
প্রধানমন্ত্রী লতা মঙ্গেশকর চওক – এ যে উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, তার জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, লতা মঙ্গেশকরের গানের সুর আমাদের অবিরাম ভগবান রামের কথা স্মরণ করায়।
“শ্রীরামচন্দ্র কৃপালু ভজ মন, হরণ ভব ভায়া দারুনাম’ বা ‘পায়ো জি ম্যায়নে রাম রতন ধন পায়ো’ কিংবা বাপুজীর পছন্দের ‘বৈষ্ণব জন’ অথবা ‘তুম আশা বিসওয়াস হামারে রাম’ – লতা মঙ্গেশকরের কন্ঠে গাওয়া এইসব গানগুলিই দেশের মানুষের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। “লতাজীর গানের মধ্য দিয়ে জনগণ ভগবান রামকে উপলব্ধি করেছেন”।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, লতা দিদির কন্ঠে যখন ‘বন্দে মাতরম্’ আহ্বান শোনা যায়, তখন আমাদের সামনে ভেসে ওঠেন ভারতমাতা। “লতা দিদি সর্বদাই তাঁর নাগরিক দায়িত্ব পালনের প্রতি বিশেষ নজর রাখতেন। একইভাবে, এই চওক-টিও অযোধ্যাবাসীকে এবং যাঁরা অযোধ্যায় আসবেন তাঁদের সকলকে কর্তব্যবোধ সম্পর্কে সচেতন করে তুলবে। লতা দিদির নামে এই চক – এর নামকরণ হওয়ায় এটি প্রমাণিত হয় যে, কলা ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত মানুষের হৃদয়ে লতা দিদির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এটি আমাদের দায়িত্ব যে, “ভারতের কলা ও সংস্কৃতিকে বিশ্বের প্রত্যেক প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া”, মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় সংস্কৃতিকে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার গুরুত্বের উপর জোর দেন। তিনি বলেন, “লতা দিদির কোকিল কন্ঠ আগামী বহু বছর ধরে এই দেশের প্রতিটি অংশের মানুষকে একাত্ম করে রাখবে।
लता जी, मां सरस्वती की एक ऐसी ही साधिका थीं, जिन्होंने पूरे विश्व को अपने दिव्य स्वरों से अभिभूत कर दिया: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) September 28, 2022
लता दीदी के साथ जुड़ी मेरी कितनी ही यादें हैं, कितनी ही भावुक और स्नेहिल स्मृतियाँ हैं।
— PMO India (@PMOIndia) September 28, 2022
जब भी मेरी उनसे बात होती, उनकी वाणी की युग-परिचित मिठास हर बार मुझे मंत्र-मुग्ध कर देती थी: PM @narendramodi
मुझे याद है, जब अयोध्या में राम मंदिर निर्माण के लिए भूमिपूजन संपन्न हुआ था, तो मेरे पास लता दीदी का फोन आया था।
— PMO India (@PMOIndia) September 28, 2022
वो बहुत खुश थीं, आनंद में थी। उन्हें विश्वास नहीं हो रहा था कि आखिरकार राम मंदिर का निर्माण शुरू हो रहा है: PM @narendramodi
अयोध्या के भव्य मंदिर में श्रीराम आने वाले हैं।
— PMO India (@PMOIndia) September 28, 2022
और उससे पहले करोड़ों लोगों में राम नाम की प्राण प्रतिष्ठा करने वाली लता दीदी का नाम, अयोध्या शहर के साथ हमेशा के लिए स्थापित हो गया है: PM @narendramodi
प्रभु राम तो हमारी सभ्यता के प्रतीक पुरुष हैं।
— PMO India (@PMOIndia) September 28, 2022
राम हमारी नैतिकता के, हमारे मूल्यों, हमारी मर्यादा, हमारे कर्तव्य के जीवंत आदर्श हैं।
अयोध्या से लेकर रामेश्वरम तक, राम भारत के कण-कण में समाये हुये हैं: PM @narendramodi
भारत की हजारों वर्ष पुरानी विरासत पर गर्व करते हुए, भारत की संस्कृति को नई पीढ़ी तक पहुंचाना, ये भी हमारा दायित्व है: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) September 28, 2022