“আধ্যাত্মিকতা বিস্তারের পাশাপাশি বিশ্বাসের কেন্দ্রগুলি সামাজিক চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করে”
“রামনবমী অযোধ্যা এবং সমগ্র দেশে মহা ধুমধামের সঙ্গে পালিত হচ্ছে”
জল সংরক্ষণ এবং প্রাকৃতিক চাষের উপর গুরুত্ব আরোপ
“অপুষ্টির যন্ত্রণা সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা দরকার”
“কোভিড সংক্রমণ খুবই বিভ্রান্তিকর এবং এর বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে”

রামনবমী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গুজরাটের জুনাগড়ের গাথিলায় উমিয়া মাতা মন্দিরের চতুর্দশ প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী পরুশোত্তম রুপালা। 
 
প্রধানমন্ত্রী মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবস এবং রামনবমী উপলক্ষ্যে উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানান। চৈত্র নবরাত্রির শুভ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আর্জি জানিয়েছেন যে ,মা সিদ্ধিদাত্রী ভক্তদের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করবে । গিরনার পূর্ণ ভূমিকে প্রণাম জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী সমাবেশের ভাষণে বলেন, তিনি রাজ্য ও দেশের উন্নতিতে যুক্ত থেকেছেন এবং সর্বদা তাদের সম্মিলিত শক্তি অনুভব করেছেন। তিনি আরও জানান, অযোধ্যা এবং সারা দেশে রামনবমী পালিত হচ্ছে। ২০০৮ সালে মন্দিরটি উৎসর্গ করার সুযোগ পেয়ে এবং বিগত কয়েক বছর ধরে মা উমিয়াকে প্রণাম জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। 
প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, আধ্যাত্মিক ও ঐশ্বরিক গুরুত্বের উল্লেখযোগ্য স্থান ছাড়াও গাথিলায় উমিয়া মাতার মন্দির সামাজিক চেতনা ও পর্যটনের স্থান হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, মা উমিয়ার কৃপায় ভক্তরা একাধিক মহৎ কাজ করেছেন। 
 
শ্রী মোদী উল্লেখ করেন, মা উমিয়ার ভক্ত হিসেবে মানুষের পক্ষে মাতৃভূমির কোনো ক্ষতি করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আমরা যেমন আমাদের মাকে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ খাওয়াই না, তেমনই আমাদের জমিতেও অপ্রয়োজনীয় রাসায়নিক সার ব্যবহার করা উচিত নয়। যেমন প্রতিটি জলের বিন্দুতে আরও ফসলের মতো জল সংরক্ষণ প্রকল্প, তেমনই ভূমি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেন তিনি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন জন আন্দোলনের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। শ্রী মোদী বলেন, আমরা জল সংরক্ষণের আন্দোলনে কখনই  শিথিলতা দেখাতে পারিনা। তিনি জানান, মাতৃভূমিকে রাসায়নিক পদার্থের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। তিনি প্রাকৃতিক চাষের প্রচারের প্রয়োজনীয়তার কথা পুনরায় তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি এবং কেশুভাই যেমন জলের জন্য কাজ করেছিলেন, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীও মাটির জন্য কাজ করছেন। 
 
মা উমিয়া ও অন্য দেব-দেবীর কৃপায় এবং সরকারের প্রচেষ্টায় লিঙ্গ অনুপাতের উন্নতি, বেটি বাঁচাও আন্দোলনের ফল ভালো হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, গুজরাটের বিপুল সংখ্যক মেয়ে অলিম্পিকে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনি শিশু ও মেয়েদের মধ্যে অপুষ্টির বিরুদ্ধে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের উপর জোর দেন। গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টির প্রতি বিশেষ যত্নশীল হওয়ার উপরেও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন, অপুষ্টির যন্ত্রণা সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা দরকার। মন্দির পরিষদের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে শিশুদের সুস্থতার বিষয়ে প্রতিযোগিতা আয়োজন করার আহ্বান জানান। তিনি দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য কোচিং ক্লাস পরিচালনা করার অনুরোধ করেন এবং বলেন যে, মন্দিরের স্থান ও হলঘরগুলি যোগ শিবির ও ক্লাসের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। 
প্রধানমন্ত্রী আজাদি কা অমৃত মহোৎসব এবং অমৃত কালের গুরুত্বের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি উপস্থিত সকলকে সমাজ, গ্রাম ও দেশ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এবিষয়ে সংকল্প গ্রহণের আর্জি জানান। প্রতিটি জেলায় ৭৫টি অমৃত সরোবর তৈরির দৃষ্টিভঙ্গির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। শ্রী মোদী বলেন, গুজরাটের মানুষ, যারা হাজার হাজার চেক ড্যাম তৈরি করেছিলেন, তাদের কাছে এটি কোনো বড় কাজ নয়, কিন্তু এর প্রভাব সুদূর প্রসারী। ২০২৩ সালের ১৫ই আগস্টের মধ্যে এই কাজ শেষ করার আবেদন জানান তিনি। এর জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার কথাও বলেন শ্রী মোদী। প্রধানমন্ত্রী জানান, সামাজিক চেতনার শক্তি দিয়ে এই কাজে গতি আনতে হবে। 
 
রামনবমী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন রামচন্দ্র জির কথা ভাবি, তখন আমাদের শবরী, কেওয়াত এবং নিষাদরাজের কথাও মনে পড়ে। বছরের পর বছর ধরে তারা মানুষের হৃদয়ে সম্মানের সঙ্গে স্থান দখল করে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি আমাদের শিক্ষা দেয় যে, কাউকে পিছিয়ে রাখা চলবে না।
 
মহামারী চলাকালীন একাধিক প্রয়াসের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, এই সংক্রমণ অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর এবং এর জন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, ভারত ১৮৫ কোটি টিকার ডোজ দিয়ে এক অভূতপূর্ব কীর্তি অর্জন করেছে। তিনি সামাজিক সচেতনতা ও স্বচ্ছতা এবং একবার ব্যবহার যোগ্য প্লাস্টিক হ্রাসের মতো প্রয়াস সহ অন্য আন্দোলনের প্রশংসাও জানান। তিনি বলেন, আধ্যাত্মিকতার বিস্তারের পাশাপাশি সামাজিক চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বাসের কেন্দ্রগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 
২০০৮ সালে তিনি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় মন্দিরের উদ্বোধন করেছিলেন। ২০০৮ সালে তাঁর দেওয়া পরামর্শের উপর ভিত্তি করে মন্দির পরিষদ বিভিন্ন সামাজিক ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিনামূল্যে ছানি অপারেশন এবং আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর রোগীদের জন্য বিনামূল্যে আয়ুর্বেদিক ওষুধ দেওয়ার কাজ শুরু করে।
 
উল্লেখ্য, উমিয়া মা কাদভা পাতিদারদের কুলদেবী হিসেবে পূজিত হন। 

সম্পূর্ণ ভাষণ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Private equity investments in Indian real estate sector increase by 10%

Media Coverage

Private equity investments in Indian real estate sector increase by 10%
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 24 ডিসেম্বর 2024
December 24, 2024

Citizens appreciate PM Modi’s Vision of Transforming India