
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গুজরাটের বেচারাজিতে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী শ্রী প্রহ্লাদজী প্যাটেলের ১১৫ তম জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠান উপলক্ষে ভাষণ দেন এবং তাঁর একটি জীবনী প্রকাশ করেন। এই উপলক্ষে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল উপস্থিত ছিলেন।
বেচারাজির পবিত্র ভূমি তথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সমাজ সংস্কারক শ্রী প্রহ্লাদজী প্যাটেলের প্রতি প্রধানমন্ত্রী বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। মহান এই স্বাধীনতা সংগ্রামী শ্রী প্রহ্লাদজী প্যাটেলের সমাজ সেবায় উদারতা ও নিঃস্বার্থ ত্যাগের কথাও শ্রী মোদী উল্লেখ করেন। মহাত্মা গান্ধীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রহ্লাদজী প্যাটেল স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দেন এবং দীর্ঘ দিন সবরমতি ও ইয়ারাওয়াড়াতে কারারুদ্ধ ছিলেন।
শ্রী প্রহ্লাদজী প্যাটেলের 'দেশই সর্বাগ্রে'-এই চেতনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রহ্লাদজী প্যাটেলের পিতা যখন মারা যান, তখন তিনি কারাবন্দী ছিলেন। দুঃসহনীয় এই বেদনা সত্বেও শ্রী প্রহ্লাদজী প্যাটেল বাবার শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য ঔপনিবেশিক শাসকেরা ক্ষমা প্রার্থনার যে শর্ত রেখেছিলেন, তা প্রত্যাখ্যান করেন। শ্রী প্রহ্লাদজী প্যাটেল বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করেছিলেন, যাঁরা গোপনে কাজ করেছেন। স্বাধীনতার পর স্বশাসিত রাজ্যগুলির একত্রিতকরণে সর্দার প্যাটেলকে সাহায্য করার জন্য তিনি যে ভূমিকা পালন করেছিলেন, সেকথাও প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী পরিতাপ প্রকাশ করে বলেন, এমন অনেক মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন যাঁদের কথা ইতিহাসের পাতায় স্থান পায়নি। শ্রী প্রহ্লাদজী প্যাটেলের পত্নী কাশীবা-কেও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানান। শ্রী মোদী জোর দিয়ে বলেন, নবীন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে স্বাধীনতা সংগ্রামী সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জীবন ও কর্মের কথা লিপিবদ্ধ করা অত্যন্ত জরুরী।
প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিভিন্ন অজানা বিষয় নিয়ে গবেষণা ও তা প্রকাশ করার জন্য সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। শ্রী মোদী বলেন, "নতুন ভারত গঠনে আমাদের শ্রী প্রহ্লাদজী প্যাটেলের মত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণে রাখতে হবে"।