মিশরের রাষ্ট্রপতি আব্দেল ফতেহ আল-সিসি আল-ইত্তিহাদিয়া প্রাসাদে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানান।
মিশরের রাষ্ট্রপতি গত জানুয়ারি মাসে সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হয়ে ভারতে এসেছিলেন। দুই নেতা সেই সফরের স্মৃতিচারণ করে এর জেরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যে গতির সঞ্চার হয়েছে, তাকে স্বাগত জানান। মিশরের মন্ত্রিসভায় সম্প্রতি যে ‘ইন্ডিয়া ইউনিট’ গঠন করা হয়েছে, তা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার দিক-নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে উভয় নেতা সহমত হয়েছেন।
দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বকে আরও নিবিড় করার পন্থা-পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, তথ্য প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, কৃষি, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি এবং নাগরিকদের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি নিয়ে মতবিনিময় হয়।
জি-২০ মঞ্চে সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়েও প্রধানমন্ত্রী মোদী ও রাষ্ট্রপতি সিসি আলোচনা করেছেন। খাদ্য ও জ্বালানী সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দক্ষিণের দেশগুলির সমন্বিত কন্ঠস্বর আলোচনায় গুরুত্ব পায়। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে নতুন দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি সিসি-কে স্বাগত জানাবার জন্য তিনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ উন্নীত করার লক্ষ্যে দুই নেতা একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। কৃষি, প্রত্নতত্ত্ব ও পুরাকীর্তি এবং প্রতিযোগিতামূলক আইন সংক্রান্ত তিনটি সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়।
মিশরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা ম্যাডবাউলি এবং তাঁর মন্ত্রিসভার বেশ কিছু সদস্য চুক্তি স্বাক্ষরের সময়ে উপস্থিত ছিলেন। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিদেশ মন্ত্রী ডঃ এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শ্রী অজিত দোভাল ও অন্য পদস্থ আধিকারিকরা।