আমাদের জন্য নদী শুধু এক জড় বস্তুই নয়, আমাদের জন্য নদী এক জীবন্ত একক: প্রধানমন্ত্রী
আজকাল এক বিশেষ ই-অকশন, ই-নীলাম চলছে। এই ইলেকট্রনিক নীলাম সেই সব উপহারের যা বিভিন্ন সময়ে মানুষজন আমাকে দিয়েছেন। এই নীলাম থেকে যে অর্থ আসবে তা ‘নমামি গঙ্গে’ মিশনের জন্যই সমর্পিত হয়: প্রধানমন্ত্রী
ছোট ছোট প্রয়াস বিরাট বড় বড় পরিবর্তন নিয়ে আসে: প্রধানমন্ত্রী মোদী
মহাত্মা গান্ধী স্বচ্ছতাকে জন-আন্দোলনের রূপ দিয়েছিলেন: প্রধানমন্ত্রী মোদী
শৌচাগার নির্মাণ যেমন দরিদ্রদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে, তেমনি অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা (দুর্নীতি দূরীকরণ) দরিদ্রদের অধিকার নিশ্চিত করে, তাদের জীবনকে সহজ করে তোলে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী মোদী ২রা অক্টোবর বাপুর জন্মজয়ন্তীতে দেশবাসীকে খাদি পণ্য কেনার আহ্বান জানান
মন কি বাত: সিয়াচেন হিমবাহে দিব্যাঙ্গদের গড়া বিশ্ব রেকর্ড-এর কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
প্রধানমন্ত্রী মোদী পন্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তিনি আজও সবার জন্য প্রেরণাদায়ক

আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। আপনারা জানেন যে এক জরুরী কর্মসূচীতে আমাকে আমেরিকা যেতে হচ্ছে, তাই আমি ভাবলাম যে ভালো হবে, যদি আমি আমেরিকা যাওয়ার আগেই ‘মন কি বাত’ রেকর্ড করে যাই। সেপ্টেম্বরের যে দিন ‘মন কি বাত’ নির্ধারিত, সেই তারিখেই আর একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন রয়েছে। এমনিতে তো আমরা অনেক দিবস মনে রাখি, নানারকম দিবস পালনও করি আর আমাদের বাড়িতে তরুণ পুত্র-কন্যা থাকলে তাদের জিজ্ঞাসা করলে গোটা বছরে কোন দিবস কখন আছে তার সম্পূর্ণ তালিকা শুনিয়ে দেবে। কিন্তু এমন আর একটা দিবস আছে যা আমাদের মনে রাখা উচিত আর এই দিবস এমনই যা ভারতের পরম্পরার সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ। সুদূর অতীত থেকে যে পরম্পরার সঙ্গে জুড়ে আছি আমরা তার সঙ্গেই যুক্ত করবে আমাদের। এটা হল ‘ওয়ার্ল্ড রিভার ডে’ অর্থাৎ ‘বিশ্ব নদী দিবস’। আমাদের এখানে বলা হয় –

‘পিবন্তি নদ্যঃ, স্বয়-মেভ নাভ্যঃ’

অর্থাৎ নদী নিজের জল নিজে পান করে না, বরং পরোপকারের জন্য দেয়। আমাদের জন্য নদী শুধু এক জড় বস্তুই নয়, আমাদের জন্য নদী এক জীবন্ত একক, আর তাই তো, সেইজন্যই তো আমরা, নদীকে ‘মা’ বলে ডাকি। আমাদের কত পরব, কত উৎসব, কত উচ্ছ্বাস, এই সবই আমাদের এই সব মায়েদের কোলে পালিত হয়।
আপনারা সবাই জানেন – মাঘ মাস এলে আমাদের দেশের বহু মানুষ পুরো এক মাস মা গঙ্গা বা অন্য কোনও নদীর তীরে কল্পবাস করেন। এখন তো এটা আর পরম্পরা নেই কিন্তু আগেকার দিনে তো রীতি ছিল যে বাড়িতে স্নান করলেও নদীকে স্মরণ করতাম। এই পরম্পরা আজ হয়ত লুপ্ত হয়ে গিয়েছে অথবা কোথাও সামান্য পরিমাণে টিঁকে রয়েছে কিন্তু একটা খুব বড় প্রথা ছিল যা সকালে স্নান করার সময়েই বিশাল ভারতের এক যাত্রা করিয়ে দিত, মানসিক যাত্রা! দেশের প্রত্যেকটি কোণার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রেরণা তৈরি হয়ে যেত। আর ওই যে ছিল, ভারতে স্নান করার সময় শ্লোক উচ্চারণের এক রীতি –
 
গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরী সরস্বতী।

নর্মদে সিন্ধু কাবেরী জলে অস্মিন্‌ সন্নিধি কুরু।।

আগে আমাদের বাড়িতে পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ এই শ্লোক বাচ্চাদের মুখস্থ করাতেন আর এতে আমাদের দেশে নদী নিয়ে আস্থা জন্ম নিত। বিশাল ভারতের এক মানচিত্র মনে আঁকা হয়ে  যেত। নদীর সঙ্গে এক বন্ধন তৈরি হত। যে নদীকে মায়ের রূপে দেখে, জেনে, জীবনধারণ করি আমরা সেই নদীর প্রতি এক আস্থার মনোভাব তৈরি হত। এ ছিল সংস্কার তৈরির এক প্রক্রিয়া।

বন্ধু, যখন আমরা আমাদের দেশে নদীর মহিমা নিয়ে কথা বলছি, তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যেকে একটা প্রশ্ন তুলবেন আর প্রশ্ন তোলার অধিকারও আছে, আর এর জবাব দেওয়া আমাদের দায়িত্বও বটে। যে কেউ প্রশ্ন করবেন যে ভাই, আপনি নদীর এত প্রশস্তি করছেন, নদীকে ‘মা’ বলছেন, তাহলে নদী এত দূষিত হয়ে যাচ্ছে কেন? আমাদের শাস্ত্রে তো নদীকে সামান্য দূষিত করাও অন্যায় বলা হয়। আর আমাদের পরম্পরাও এমন, আপনারা তো জানেনই যে আমাদের হিন্দুস্থানের যে পশ্চিম ভাগ, বিশেষ করে গুজরাত আর রাজস্থান, সেখানে জলের খুব অভাব রয়েছে। অনেক বার আকাল দেখা দেয়। এখন এই কারণেই এখানকার সমাজ জীবনে এক নতুন পরম্পরা তৈরি হয়েছে। যেমন গুজরাতে বর্ষা শুরু হলেই জল-জীলনী একাদশী পালন করা হয়। অর্থাৎ আজকের যুগে আমরা যেটাকে বলি ‘ক্যাচ দ্য রেইন’ সেটাই করা হয় যে জলের এক-একটা বিন্দু জড়ো করা, জল-জীলনী। এইভাবে বর্ষার পরে বিহার আর পূর্বাঞ্চলে ছটের মহাপরব পালিত হয়। আমি আশা করি যে ছটের কথা মনে রেখে নদীর পাড়ে, ঘাটে পরিষ্কার করা আর মেরামতি করার কাজ শুরু করা হয়েছে। আমরা নদীকে পরিষ্কার করা আর দূষণমুক্ত রাখার কাজ সবার প্রচেষ্টা আর সবার সহযোগিতায় করতেই পারি। ‘নমামি গঙ্গে মিশন’ও আজ এগিয়ে চলেছে আর তাই এখানে সব মানুষের প্রচেষ্টা, এক রকমের জনজাগরণ, জন-আন্দোলন, তার অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। 

বন্ধু, যখন নদীর কথা হচ্ছে, মা গঙ্গার কথা হচ্ছে তখন আরও একটা কথার প্রতি আপনাদের মনযোগ আকর্ষণের ইচ্ছে হচ্ছে। আলোচনা যখন ‘নমামি গঙ্গের’ নিয়ে হচ্ছে তখন নিশ্চয়ই একটা বিষয়ে আপনাদের নজর পড়েছে আর আমাদের তরুণতরুনীদের নজর তো অবশ্যই পড়েছে। আজকাল এক বিশেষ ই-অকশন, ই-নীলাম চলছে। এই ইলেকট্রনিক নীলাম সেই সব উপহারের যা বিভিন্ন সময়ে মানুষজন আমাকে দিয়েছেন। এই নীলাম থেকে যে অর্থ আসবে তা ‘নমামি গঙ্গে’ মিশনের জন্যই সমর্পিত হয়। আত্মীয়তার যে ভাবনা থেকে আপনারা আমাকে উপহার দেন, এই অভিযান সেই ভাবনাকে আরও শক্তিশালী করে।

বন্ধুরা,  সারা দেশ জুড়ে নদীদের পুনর্জীবিত করার জন্য, পরিষ্কার জলের জন্য সরকার ও সমাজসেবী সংগঠনগুলি নিরন্তর কিছু না কিছু করে চলেছে। আজ থেকে নয়, অনেক দশক আগে থেকেই এই কাজ চলছে। কিছু মানুষ তো এমন কাজের জন্য নিজেকে সমর্পিত করে দিয়েছেন, এবং এই পরম্পরা, এই প্রয়াস, এই আস্থাই আমাদের নদীদের বাঁচিয়ে রেখেছে। ভারতবর্ষের যেকোনো প্রান্ত থেকেই যখন এমন খবর আমার কানে আসে, তখন আমার মনে সেই কৃতী ব্যক্তির প্রতি প্রভূত শ্রদ্ধা জন্মায়, আর ইচ্ছে করে সে কথা আপনাদের বলি। আমি তামিলনাড়ুর ভেল্লোর এবং তিরুভান্নামালাই জেলার একটি উদাহরণ দিতে চাই। সেখানে নাগানধী নামে এক নদী বয়ে গেছে।  এই নাগা নদী বহু বছর আগে শুকিয়ে গিয়েছিল। তার ফলে সেখানকার জলস্তরও অনেক নিচে নেমে যায়। কিন্তু সেখানকার মহিলারা দৃঢ় সংকল্প নিলেন যে তাদের নদীকে তারা পুনর্জীবিত করবেন। তারপর তারা মানুষদের একত্রিত করলেন, সকলে কাজ ভাগ করে নিয়ে খাল কাটলেন, চেক ড্যাম বানালেন, রিচার্জ কুয়ো বানালেন। বন্ধুরা, আপনারাও জেনে খুশি হবেন যে আজ সেই নদী জলে ভরে উঠেছে, আর যখন নদী জলে ভরে ওঠে তখন মনে এক পরম শান্তি পাওয়া যায় যা আমি নিজে প্রত্যক্ষ ভাবে অনুভব করেছি।

আপনাদের মধ্যে অনেকেই নিশ্চয়ই জানেন, যে সবরমতীর তীরে মহাত্মা গান্ধী সবরমতী আশ্রম স্থাপন করেছিলেন, তা বিগত কিছু দশক ধরে শুকিয়ে গিয়েছিল। বছরে ছয় থেকে আট মাস জল চোখেই পড়তো না। কিন্তু নর্মদা নদী এবং সবরমতী নদীকে যুক্ত করা হয়েছে। আর আজ যদি আপনি আমেদাবাদ যান, তাহলে সবরমতী নদীর জল আপনার মনকে প্রফুল্ল করবে। এমনই বহু কাজ হয়ে চলেছে। তামিলনাড়ুতে আমাদের এই বোনেরা যেমন কাজ করছেন, দেশের আলাদা আলাদা প্রান্তেও তেমনই কাজ হচ্ছে। আমি তো জানি, আমাদের বহু ধার্মিক পরম্পরার সঙ্গে যুক্ত সাধু সন্ত, গুরুজনেরা নিজেদের আধ্যাত্মিক যাত্রার পাশাপাশি জলের জন্য, নদীর জন্য অনেক কিছু করছেন, বহু নদীর ধারে গাছ লাগানোর অভিযান চালাচ্ছেন। বহু নদীতে প্রবাহিত নোংরা জল আটকানোর কাজ হচ্ছে।

বন্ধুরা, "ওয়ার্ল্ড রিভার ডে" যখন আজ উদযাপিত হচ্ছে, তখন এই কাজে সমর্পিত সকলকে আমি শ্রদ্ধা জানাই, অভিনন্দন জানাই । কিন্তু প্রতিটি নদীর তীরে বসবাসকারী মানুষদের কাছে, দেশবাসীর কাছে আমি অনুরোধ করে বলব, ভারতের প্রতিটি প্রান্তে বছরে একবার তো নদী উৎসব পালন করাই উচিত।

আমার প্রিয় দেশবাসী, ছোট কথা বা ছোট বিষয়কে ছোট করে দেখার মত ভুল কখনোই করা উচিত নয়। ছোট ছোট প্রয়াস থেকে কখনো কখনো তো বিরাট বড় বড় পরিবর্তনও আসে। যদি মহাত্মা গান্ধীর জীবনের প্রতি আমরা দৃষ্টি দিই তাহলে আমরা প্রতি মুহূর্তে উপলব্ধি করব যে, ওঁর জীবনে ছোট ছোট কথার কি বিরাট গুরুত্ব ছিল! আর ছোট ছোট কথা দিয়ে বড় বড় সংকল্পকে উনি কিভাবে রূপ দিয়েছিলেন। আমাদের আজকের তরুণ প্রজন্মের এটা অবশ্যই জানা উচিত যে স্বচ্ছতা অভিযান কিভাবে স্বাধীনতা আন্দোলনকে নিরন্তর উদ্দীপনা যুগিয়েছিল। মহাত্মা গান্ধীই স্বচ্ছতাকে জন-আন্দোলনের রূপ দিয়েছিলেন। মহাত্মা গান্ধী স্বচ্ছতাকে স্বাধীনতার স্বপ্নের সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন। আজ এত দশক পরে স্বচ্ছতা আন্দোলন আবারও একবার দেশকে নতুন ভারতের স্বপ্নের সঙ্গে যুক্ত করার কাজ করেছে এবং আমাদের অভ্যাস পরিবর্তনের অভিযানেও পরিণত হচ্ছে। আমাদের এটা ভুললে চলবে না যে স্বচ্ছতা শুধুমাত্র একটি কর্মসূচি নয়, স্বচ্ছতা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলা সংস্কার থেকে নিবৃত্ত হওয়ার এক দায়িত্ব। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে স্বচ্ছতা অভিযান চালাতে হবে, তবেই সমগ্র সমাজ জীবনে স্বচ্ছতার অভ্যাস তৈরি হওয়া সম্ভব। তাই এটি দু এক বছর বা দু একটি সরকারের বিষয় নয়, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আমাদের স্বচ্ছতা সম্বন্ধে সজাগ থেকে, ক্লান্তিহীনভাবে, সশ্রদ্ধ হয়ে অবিরাম এই স্বচ্ছতা অভিযান চালিয়ে যেতে হবে,  আর আমি তো আগেও বলেছি যে এই স্বচ্ছতা - এটি পূজ্য বাপুকে এই দেশের পক্ষ থেকে এক বিরাট শ্রদ্ধাঞ্জলি। আর এই শ্রদ্ধাঞ্জলি আমাদের প্রতিবার দিয়ে যেতে হবে, নিরন্তর দিয়ে যেতে হবে।

বন্ধুরা, সবাই জানে যে আমি স্বচ্ছতা সম্পর্কে বলার কোন সুযোগ ছাড়ি না। হয়তো সেই জন্যই আমাদের 'মন কি বাত' এর একজন শ্রোতা শ্রীমান রমেশ প্যাটেল জি লিখেছেন - আমাদের বাপুর কাছ থেকে শিক্ষা লাভ করে এবারের স্বাধীনতার "অমৃত মহোৎসবে" আর্থিক স্বচ্ছতার সংকল্পও নেওয়া উচিত। শৌচাগার নির্মাণ যেমন দরিদ্রদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে, তেমনি অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা দরিদ্রদের অধিকার নিশ্চিত করে, তাদের জীবনকে সহজ করে তোলে। আপনারা জেনে থাকবেন দেশে 'জন ধন' অ্যাকাউন্টের যে প্রয়াস শুরু হয়েছিল, তার ফলে আজ দরিদ্ররা তাঁদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি তাঁদের অধিকারের টাকা পাচ্ছেন, সেই জন্য দুর্নীতির মতো বাধা ও অনেকাংশ কম হয়েছে। এটা সত্য যে অর্থনৈতিক স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি খুব সাহায্য করতে পারে। এটা আমাদের জন্য আনন্দের বিষয় যে আজ গ্রামাঞ্চলেও ফিন-টেক ইউপিআই-এর মাধ্যমে ডিজিটাল লেনদেন করার পথে সাধারণ মানুষও যোগ দিচ্ছেন, এর প্রচলন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি আপনাদের একটা পরিসংখ্যান দিই, যা জেনে আপনারা গর্বিত হবেন, গত আগস্ট মাসে ইউপিআই এর মাধ্যমে এক মাসে ৩৫৫ কোটি লেন্দেন করা হয়, অর্থাৎ একমাসেই প্রায়-প্রায় ৩৫০ কোটিরও বেশি লেনদেন, অর্থাৎ আমরা বলতে পারি যে গত আগস্ট মাসে, ৩৫০ কোটিরও বেশি বার ডিজিটাল লেনদেনের জন্য ইউপিআই ব্যবহার করা হয়েছে। আজ, ইউপিআই এর মাধ্যমে গড়ে ৬ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ডিজিটাল পেমেন্ট করা হচ্ছে। দেশের অর্থনীতি পরিচ্ছন্ন ও স্বচ্ছ হয়ে উঠছে, এবং আমরা জানি এখন ফিনটেকের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাচ্ছে।   

বন্ধুরা, বাপু যেমন পরিষ্কার -পরিচ্ছন্নতাকে স্বাধীনতার সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন, ঠিক তেমনিভাবে খাদিকে স্বাধীনতার পরিচয়ে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। আজ, স্বাধীনতার ৭৫তম বছরে, যখন আমরা স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উদযাপন করছি, তখন আমরা সন্তুষ্টি নিয়ে বলতে পারি যে স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ে খাদির যে গৌরব ছিল, আজ আমাদের তরুণ প্রজন্ম খাদির সেই গৌরব অক্ষুন্ন রেখেছেন। আজ খাদি ও তাঁতের উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এর চাহিদাও বেড়েছে। আপনিও জানেন  অনেকবার এমনও ঘটেছে যে দিল্লির খাদি শোরুম দিনে এক কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা করেছে। আমি আপনাকে আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ২রা অক্টোবর, পূজনীয় বাপুর জন্মবার্ষিকীতে, আসুন আমরা সবাই আবার নতুন রেকর্ড গড়ি। দীপাবলির উৎসব তো সামনেই রয়েছে, তাই আপনার শহরে যেখানে খাদি, তাঁত, হস্তশিল্পের জিনিস বিক্রি হয়, সেখান থেকে কেনাকাটা করে এই উৎসবের মরসুমে খাদি, হস্তশিল্প, কুটির শিল্পের এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হোন। আপনার  প্রতিটি কেনাকাটা ' ভ্যোকাল ফর ল্যোকাল' প্রচারাভিযানকে শক্তিশালী করে তুলুক, পুরনো সব রেকর্ড ভেঙে দিক। 

বন্ধুরা, অমৃত মহোৎসবের এই সময়ে, দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের অব্যক্ত কাহিনী জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দিতে একটি প্রচারাভিযানও চলছে। এর জন্য উদীয়মান লেখক, দেশের ও বিশ্বের তরুণদের আহ্বান জানানো হয়েছিল। এখন পর্যন্ত ১৩ হাজারেরও  বেশি মানুষ নিবন্ধিকরন করেছেন, তাও আবার ১৪টি ভিন্ন ভাষায়। এবং এটাও আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে ২০ টিরও বেশি দেশের প্রবাসী ভারতীয় এই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আরও একটি আকর্ষণীয় তথ্য রয়েছে, প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি উদীয়মান লেখক স্বাধীনতা যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত কাহিনীর খোঁজ করছেন। যাঁরা অজানা নায়ক নায়িকা, যাঁরা অজ্ঞাতনামা, যাদের নাম ইতিহাসের পাতায় দেখা যায় না, সেই অজানা নায়ক নায়িকাদের বিষয়ে কিছু লেখার উদ্যোগ নিয়েছেন নতুন উদীয়মান লেখক, অর্থাৎ দেশের তরুণ তরুণীরা সেইসব স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ইতিহাস, তাদের জীবন ও বিভিন্ন ঘটনাকে দেশের সামনে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যাঁদের সম্বন্ধে গত ৭৫ বছরেও আলোচনা হয়নি। সকল শ্রোতার কাছে আমার অনুরোধ, শিক্ষা জগতের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আমার অনুরোধ আপনারাও এই তরুণ তরুনীদের অনুপ্রাণিত করুন। আপনিও এগিয়ে আসুন এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস যারা স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে ইতিহাস লিখছেন তারাও ইতিহাস তৈরি করবেন।   

আমার প্রিয় দেশবাসী, সিয়াচেন হিমবাহ সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। এখানে ঠান্ডা এত ভয়ঙ্কর যে সাধারণ মানুষের পক্ষে সেখানে বসবাস করা দুঃসাধ্য। দূর দূর পর্যন্ত শুধুই বরফ আর গাছপালার তো কোনো চিহ্নই নেই। এখানে তাপমাত্রা হিমাংকের নীচে ৬০ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে। কিছুদিন আগে সিয়াচেন এর এই দুর্গম এলাকায় ৮ জন ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের একটি দল এমন বিস্ময়কর কাজ করে দেখিয়েছে যা প্রতিটি দেশবাসীর গর্বের বিষয়। এই দল সিয়াচেন হিমবাহের ১৫ হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতায় অবস্থিত 'কুমার পোস্টে' পতাকা উত্তোলন করে বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।  শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও আমাদের এই দিব্যাঙ্গ বন্ধুরা যে কৃতিত্বের ছাপ রেখেছেন তা পুরো দেশের জন্য প্রেরণাদায়ক আর যখন আপনিও এই টিমের সদস্যদের সম্বন্ধে জানতে পারবেন আপনারাও আমারই মত সাহস আর উদ্যমে পরিপূর্ণ হয়ে উঠবেন। এই সাহসী ভিন্নভাবে সক্ষম বন্ধুদের নাম হল মহেশ নেহরা, উত্তরাখণ্ডের অক্ষত রাওয়াত, মহারাষ্ট্রের পুষ্পক গবাণ্ডে, হরিয়ানার অজয় কুমার,  লাদাখের লোবসং চস্পেল, তামিলনাড়ুর মেজর দ্বারকেশ, জম্মু-কাশ্মীরের ইরফান আহমেদ মির আর হিমাচল প্রদেশের চোঞ্জিন এঙ্গমো। সিয়াচেন হিমবাহকে জয় করার এই অভিযান ভারতীয় সেনার বিশেষ দলের অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের জন্য সফল হয়েছে। আমি এই ঐতিহাসিক ও অভূতপূর্ব সাফল্যর জন্য এই দলের প্রশংসা করছি। এটি আমাদের দেশবাসীকে "ক্যান ডু কালচার", "ক্যান ডু ডিটারমিনেশন", "ক্যান ডু অ্যাটিটিউড" এর সঙ্গে প্রত্যেক বাধার সম্মুখীন হওয়ার ভাবনার প্রেরণা যোগায়।       

বন্ধুরা, আজ দেশে ভিন্নভাবে সক্ষমদের কল্যাণের জন্য বহু উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে একটি উদ্যোগ ওয়ান টিচার, ওয়ান কল এর সম্বন্ধে জানার সুযোগ আমি পাই। বরেলিতে  এই অভিনব প্রচেষ্টা ভিন্নভাবে সক্ষম শিশুদের নতুন পথ দেখাচ্ছে। এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডভুউরা গঙ্গাপুর-এর একটি স্কুলের প্রিন্সিপাল দীপমালা পান্ডেজি। করোনাকালে এই অভিযানের দরুন কেবলমাত্র বহুসংখ্যক শিশুদের বিদ্যালয়ে ভর্তিই সম্ভব হয়নি এমনকি এর ফলে প্রায় ৩৫০ এর বেশি শিক্ষক সেবাব্রতের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছেন। এই শিক্ষক গ্রামে গ্রামে গিয়ে ভিন্নভাবে সক্ষম শিশুদের ডেকে আনেন, খুঁজে বের করেন আর তাদের কোনো না কোনো স্কুলে ভর্তি সুনিশ্চিত করান। দিব্যাঙ্গজনদের জন্য দীপমালাজি আর ওনার সহ শিক্ষকদের এই মহান উদ্যোগের জন্য আমি তাঁদের ভুয়সী প্রশংসা করছি। শিক্ষা ক্ষেত্রে এরকম প্রত্যেক উদ্যোগ আমাদের দেশের ভবিষ্যতকে সুসজ্জিত করে তুলবে।     

আমার প্রিয় দেশবাসী, আজ আমাদের জীবনের অবস্থা এমনই যে একদিনে করোনা শব্দটি কয়েকশোবার ধ্বনিত হয়, বিগত ১০০ বছরে আসা সব থেকে বড় বিশ্বব্যাপী মহামারী কোভিড নাইনটিন প্রত্যেক দেশবাসীকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। স্বাস্থ্যপরিষেবা ও সুস্থতা নিয়ে আজ প্রশ্ন  আর সচেতনতাও বেশি। আমাদের দেশে পারম্পরিক রূপে এরকম প্রাকৃতিক সম্পদ  প্রচুর মাত্রায় পাওয়া যায় যা ওয়েলনেস অর্থাৎ স্বাস্থ্যের জন্য অনেক কার্যকরী। ওড়িশার কালাহান্ডির নান্দওল এর অধিবাসী পাতায়েত সাহুজী এই ক্ষেত্রে বহুদিন ধরে একটি অভিনব কাজ করে চলেছেন। উনি দেড় একর জমির উপর  ভেষজ গাছ লাগিয়েছেন, শুধু তাই নয় সাহুজি এই ভেষজ গাছের তথ্য নথীভুক্তির  কাজও করেছেন। আমায় রাঁচির সতীশ জী এরকমই আরো একটি তথ্য পত্র মারফত জানিয়েছেন। সতীশজী ঝাড়খন্ডে অ্যালোভেরা গ্রামের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। রাঁচির পাশে দেবরি গ্রামের মহিলারা মঞ্জু কাচ্ছপজীর নেতৃত্বে বিরসা কৃষি বিদ্যালয় থেকে এলোভেরা চাষের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এরপরে ওঁরা অ্যালোভেরা চাষ শুরু করেন। এই চাষ থেকে শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে লাভ হয়েছে তাই নয় এমনকি ওই মহিলাদের আয়ও বেড়ে গেছে। কোভিড মহামারীর সময় ওঁদের ভালো আয় হয়েছে। এর একটি বড় কারণ ছিল যে স্যানিটাইজার বানানোর কোম্পানিগুলো সরাসরি ওনাদের কাছ থেকে অ্যালোভেরা কিনছিল। আজ এই কাজের সঙ্গে প্রায় ৪০ জন মহিলার দল যুক্ত। আরো অনেক একর জমিতে অ্যালোভেরার চাষ হয়। ওড়িশার পাতায়েত সাহুজী হোক বা দেওয়ারির মহিলাদের এই দল,  এরা চাষবাস কে যেভাবে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত করেছেন তা দৃষ্টান্তমূলক।     

বন্ধুরা, আসন্ন দোসরা অক্টোবর লাল বাহাদুর শাস্ত্রীজিরও জন্মজয়ন্তী। তাঁর স্মৃতিতে এই দিনটি আমাদের কৃষিক্ষেত্রে নতুন নতুন প্রয়োগ করার অনুপ্রেরণা দেয়। ভেষজ গাছের ক্ষেত্রে স্টার্ট আপ-কে উৎসাহ দিতে মেডি হাব টিবিআই নামক একটি ইনকিউবেটর, গুজরাটের আনন্দে কাজ করছে। ঔষধি ও সুগন্ধি গাছের সঙ্গে সম্পৃক্ত এই ইনকিউবেটর খুব কম সময়ে ১৫ জন উদ্যোক্তাদের ব্যবসার ভাবনাকে সাহায্য করেছে।  এই ইনকিউবেটর-এর সাহায্যেই সুধা চেব্রলুজী নিজের স্টার্ট আপ শুরু করেছেন। তাঁর কোম্পানিতে মহিলাদের প্রাধান্য দেয়া হয় এবং তাঁদের ওপরই উদ্ভাবনী ভেষজ  ফর্মুলেশন-এর দায়িত্ব দেওয়া আছে। আর একজন উদ্যোক্তা, শুভাশ্রীজীও এই ঔষধি ও সুগন্ধি গাছের ইনকিউবেটর থেকে সুফল পেয়েছেন। শুভাশ্রীজীর কোম্পানি হার্বাল রুম আর কার ফ্রেশনার ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা একটি ভেষজ ছাদ বাগান বানিয়েছেন যেখানে চারশোরও বেশি ঔষধি গুল্ম আছে।   

বন্ধুরা, বাচ্চাদের মধ্যে ঔষধি ও ভেষজ গাছের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর জন্য আয়ুষ মন্ত্রণালয় একটি মজাদার উদ্যোগ নিয়েছে এবং তার পুরো দায়িত্বভার সামলাচ্ছেন আমাদের অধ্যাপক আয়ুষ্মানজী।  আপনি হয়তো ভাবছেন যে, এই অধ্যাপক আয়ুষ্মান কে? আসলে অধ্যাপক আয়ুষ্মান একটি কমিক বই-এর নাম। এই বইয়ে বিভিন্ন কার্টুন চরিত্রদের মাধ্যমে ছোট ছোট গল্প তৈরী করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অ্যালভেরা, তুলসী, আমলকি, গুলঞ্চ, নিম, অশ্বগন্ধা ও ব্ৰাহ্মীর মতো স্বাস্থ্যকর ঔষধি গাছের উপকারিতা বর্ণনাও করা হয়েছে। 

বন্ধুরা, বর্তমান পরিস্থিতিতে যেভাবে ঔষধি গাছ ও ভেষজ দ্রব্যের প্রতি বিশ্বের মানুষের আগ্রহ বাড়ছে, তাতে ভারতের কাছে অনেক সম্ভাবনার দিক খুলে গেছে। সম্প্রতি আয়ুর্বেদিক ও ভেষজ দ্রব্যের রপ্তানিতে অনেকটা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।  আমি বিজ্ঞানী, গবেষক এবং স্টার্ট আপ-এর ক্ষেত্রে সঙ্গে যুক্ত লোকেদের এইসব দ্রব্যের দিকে দৃষ্টিপাত করতে অনুরোধ করছি, যা মানুষের সুস্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ায় এবং আমাদের কৃষক ও যুবসম্প্রদায়ের আয়ের পথকে প্রশস্ত করতে সাহায্য করে। 

বন্ধুরা, প্রথাগত কৃষিকাজ থেকে একটু এগিয়ে, কৃষিক্ষেত্রে নতুন নতুন প্রয়োগ, নতুন বিকল্প, নিরন্তর স্বনিযুক্তির নতুন পথ খুলে দিচ্ছে। পুলওয়ামা অঞ্চলের দুই ভাইয়ের গল্প এমনি একটি উদাহরণ। জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামায় বিলাল আহমেদ শেখ ও মুনির আহমেদ শেখ যেভাবে নিজেদের জন্য নতুন পথ সৃষ্টি করেছেন তা নতুন ভারতের জন্য একটি নজির।  ৩৯ বছর বয়সী বিলাল আহমেদ উচ্চ শিক্ষিত, অনেক ডিগ্রী আছে ওঁর। উচ্চ শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করে আজ তিনি কৃষিক্ষেত্রে নিজের স্টার্ট আপ খুলেছেন।  বিলালজী  নিজের বাড়িতেই ভার্মি কম্পোস্টিং-এর একটি ইউনিট তৈরী করেছেন।  এই ইউনিট থেকে তৈরী হওয়া জৈব সার দিয়ে তিনি শুধুমাত্র চাষে, লাভের মুখ দেখেছেন তা নয়, বহু মানুষের উপার্জনের পথও খুলে দিয়েছে। প্রতি বছর এই দুই ভাইয়ের ইউনিট থেকে কৃষকদের প্রায় তিন হাজার কুইন্টাল ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন হয়।  আজ ওঁদের এই ভার্মি কম্পোস্টিং ইউনিটে ১৫জন কাজ করছেন।  ওঁদের এই ইউনিটকে দেখতে প্রচুর লোক যাচ্ছেন যার একটা বড় অংশ হলো যুবক যুবতীরা, যারা কৃষিক্ষেত্রে কিছু করতে চাইছেন।  পুলওয়ামার এই শেখ ভাইরা ‘জব সিকার’ হওয়ার থেকে ‘জব ক্রিয়েটর’ হওয়ার সংকল্প নিয়েছেন এবং আজ তাঁরা জম্মু কাশ্মীরেই শুধু নয়, গোটা দেশের মানুষকে নতুন পথ দেখাচ্ছেন।   

আমার প্রিয় দেশবাসী, ২৫ সেপ্টেম্বর দেশের মহান সন্তান পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্ম জয়ন্তী। দীনদয়ালজী বিগত শতাব্দীর সবচেয়ে বড় বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে একজন ছিলেন। ওঁর অর্থনৈতিক ভাবনা, সমাজকে শক্তিশালী করতে ওঁর বিভিন্ন নীতি, ওঁর  দেখানো অন্তদ্বয়ের মার্গ, আজ যতটা প্রাসঙ্গিক, ততটাই প্রেরণাদায়ক। তিন বছর আগে ২৫ সেপ্টেম্বর ওঁর জন্ম জয়ন্তীতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হেলথ অ্যাসুয়ারেন্স স্কিম - আয়ুষ্মান ভারত যোজনা শুরু করা  হয়েছিল। আজ দেশের দুই থেকে সওয়া দুই কোটির বেশী গরিব মানুষ, আয়ুষ্মান যোজনার জন্য হাসপাতালে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা পেয়েছে। দরিদ্র মানুষের জন্য এত বড় মাপের যোজনা, দীনদয়ালজীর অন্তোদ্যয় দর্শনকেই সমর্পিত। আজকের তরুণরা যদি তার আদর্শ ও ম্যূল্যবোধকে নিজেদের জীবনে মেনে চলেন তবে তারাও লাভবান হবেন। একবার লখনউতে দীনদয়ালজী বলেছিলেন- "কত ভাল ভাল বিষয় আছে, গুণ আছে যা আমরা সমাজ থেকেই পাই।  সামাজিক ঋণ শোধ করা আমাদের কর্তব্য, আমাদের বিচারধারা এরকম হওয়া উচিৎ ।" 

দীনদয়ালজী আমাদের এই শিক্ষা দিয়েছেন যে আমরা দেশ থেকে, সমাজ থেকে এত কিছু পাই, তা সে যে কোন জিনিস হোক। অতএব, আমরা দেশের প্রতি এই ঋণ কি করে শোধ করব সেই বিষয়ে ভাবা উচিৎ।  এটা আজকের যুব সম্প্রদায়ের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। 

বন্ধুরা, দীনদয়ালজীর জীবন থেকে আমরা কখনও হার না মানার শিক্ষাও পাই। ভিন্ন রাজনৈতিক দৃষ্টি ও আদর্শ সত্ত্বেও ভারতের উন্নতির জন্য তিনি স্বদেশী মডেলের সংস্করণ  থেকে কখনও সরে আসেন নি। আজ অনেক তরুণ তরুনী গড়পড়তা রাস্তায় না হেঁটে, স্বতন্ত্র ভাবে এগিয়ে যেতে চান, নিজেদের মত করে কাজ করতে চান। তারা দীনদয়ালজীর  জীবন থেকে অনেক কিছু শিখতে পারেন।  এইজন্য যুবদের আমার অনুরোধ তারা ওঁর  সর্ম্পকে অবশ্যই জানুক।   

আমার প্রিয় দেশবাসী, আমরা আজকে অনেক রকম বিষয়ে চর্চা করলাম। আমরা আলোচনাও করলাম, সামনেই সময়টা নানা উৎসবের।  গোটা দেশ মর্যাদা পুরুষত্তোম শ্রীরামের অসত্যের উপর জয়ের উৎসব পালন করতে চলেছে। কিন্তু এই উৎসবের মধ্যে আমাদের অন্য এক লড়াইয়ের বিষয়েও মনে রাখতে হবে - সেটা হলো দেশের করোনার বিরুদ্ধে লড়াই। টিম ইন্ডিয়া এই লড়াইতে প্রতিদিন নতুন রেকর্ড তৈরি করছে। টিকাকরণে দেশ এমন অনেক রেকর্ড করেছে যার চর্চা সমগ্র বিশ্বে হচ্ছে। এই লড়াইতে ভারতবাসীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমাদের টিকা তো নিতেই হবে, কিন্তু এই বিষয়ও খেয়াল রাখতে হবে যে কেউ যাতে এই নিরাপত্তা চক্র থেকে বাদ না যায়। আপনার আশপাশে যে এখনো টিকা নেয়নি তাকেও টিকাকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। টিকা নেওয়ার পরেও প্রয়োজনীয় বিধি পালন করতে হবে। আমি আশা করি এই লড়াইতেও আরও একবার টিম ইন্ডিয়া নিজের বিজয় পতাকা উত্তোলন করবে। আমরা পরের বার অন্য কোন বিষয়ে ‘মন কি বাত’ করব। আপনাদের সকলকে, প্রত্যেক দেশবাসীকে, উৎসবের অনেক অনেক শুভকামনা। ধন্যবাদ।

 

 

 

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi visits the Indian Arrival Monument
November 21, 2024

Prime Minister visited the Indian Arrival monument at Monument Gardens in Georgetown today. He was accompanied by PM of Guyana Brig (Retd) Mark Phillips. An ensemble of Tassa Drums welcomed Prime Minister as he paid floral tribute at the Arrival Monument. Paying homage at the monument, Prime Minister recalled the struggle and sacrifices of Indian diaspora and their pivotal contribution to preserving and promoting Indian culture and tradition in Guyana. He planted a Bel Patra sapling at the monument.

The monument is a replica of the first ship which arrived in Guyana in 1838 bringing indentured migrants from India. It was gifted by India to the people of Guyana in 1991.