আমারপ্রিয়দেশবাসী, নমস্কার! বন্ধুরা, আজকের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে আমি দেশের এমন একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের কথা বলব, সমগ্র দেশবাসীর হৃদয়ে যাঁর জন্য শ্রদ্ধা ও সম্মানের আসন পাতা। সারা ভারতে বোধহয় এমন একজনকেও পাওয়া যাবে না, যিনি তাঁকে সশ্রদ্ধ স্মরণ করেন না বা সম্মান জানান না। তিনি আমাদের সবার বয়োজ্যেষ্ঠা এবং দেশের বিভিন্ন ঘটনাবলীর সাক্ষী। আমরা তাঁকে ‘দিদি’ বলে সম্বোধন করি — ‘লতা দিদি’। এই ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি নব্বই বছর পূর্ণ করলেন। বিদেশ যাত্রার প্রাক্কালে দিদির সঙ্গে আমার ফোনে কথা বলার সৌভাগ্য হয়েছিল। এই কথোপকথন ঠিক তেমনই ছিল যেমনভাবে একজন ছোট ভাই অত্যন্ত আদরের সঙ্গে নিজের বড় বোনের সঙ্গে কথা বলেন। আমি সাধারণতঃ এই ধরনের ব্যক্তিগত কথাবার্তার কথা কখনও বলি না, কিন্তু আজ আমি চাই যে আপনারাও লতাদিদির কথা শুনুন, সেই বার্তালাপ শুনুন। শুনুন কীভাবে বয়সের এই পর্যায়েও লতাদিদি দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত বিষয় সম্বন্ধে উৎসুক, সজাগ এবং জীবনের সন্তুষ্টিও কীভাবে ভারতের অগ্রগতির সঙ্গে, পরিবর্তনশীল ভারত এবং নতুন নতুন উচ্চতর সীমা স্পর্শকারী ভারতের সঙ্গে জড়িত।
মোদীজী : লতাদিদি, প্রণাম। আমি নরেন্দ্র মোদী কথা বলছি।
লতাজী : প্রণাম।
মোদীজী : আমি এই জন্য ফোন করেছিলাম কারণ এবার আপনার জন্মদিনে —
(লতাজী — হ্যাঁ হ্যাঁ)
মোদীজী : — আমি আকাশপথে যাত্রায় ব্যস্ত থাকব।
(লতাজী — আচ্ছা)
মোদীজী : তাই আমার মনে হল যাবার আগেই…
(লতাজী — হ্যাঁ হ্যাঁ)
মোদীজী : আপনাকে শুভ জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা অগ্রিম জানিয়ে রাখি। আপনি সুস্থ থাকুন, আপনার আশীর্বাদ আমাদের সকলের ওপর বর্ষিত হোক, ব্যাস্ এই প্রার্থনাটুকু জানাতে ও আপনাকে প্রণাম জানাতেই আমি আমেরিকা যাত্রার আগে আপনাকে ফোন করছি।
লতাজী : আপনার ফোন আসবে, এটা শুনেই আমি অত্যন্ত আপ্লুত হয়েছিলাম। আপনি গিয়ে কবে ফেরৎ আসবেন?
মোদীজী : আমি ফিরব ২৮ তারিখ অনেক রাতে, আর ২৯-এর সকাল হলেও তো আপনার জন্মদিন পার হয়ে যাবে।
লতাজী: আচ্ছা, আচ্ছা। জন্মদিন আর কি পালন করব… এই পরিবারের সবার মধ্যেই থাকি…
(মোদীজী — দিদি দেখুন, আমার তো…)
লতাজী : আপনার আশীর্বাদ থাকলেই…
মোদীজী : …আরে — আমরা তো আপনার আশীর্বাদ চাই, আপনি আমাদের বয়োজ্যেষ্ঠা….
লতাজী : বয়সে তো অনেকেই বড় হন, কিন্তু নিজের কাজ দিয়ে যিনি বড় হন তাঁর আশীর্বাদ পাওয়াটাই খুব বড় পাওয়া।
মোদীজী : দিদি, আপনি বয়সেও বড় এবং নিজের কাজের মধ্য দিয়েও বড়। আপনি যে সিদ্ধিলাভ করেছেন তা সাধনা ও তপস্যার মাধ্যেমেই সম্ভব।
লতাজী : হ্যাঁ, কিন্তু আমি মনে করি, এসবই আমার মা-বাবার আশীর্বাদ এবং সকল শ্রোতাবন্ধুদের আশীর্বাদ। আমি নিজে কিছু নই।
মোদীজী : আপনার এই নম্রতাই আমাদের নতুন প্রজন্মের প্রত্যেকের কাছে সবচেয়ে বড় শিক্ষিনীয় বিষয়। আমাদের কাছে এক খুব বড় প্রেরণাস্রোত, এক দৃষ্টান্তস্বরূপ যে জীবনে সবকিছু প্রাপ্তির পরেও আপনি আপনার মাতা-পিতার সংস্কার এবং নম্রতাকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার প্রদান করেছেন।
লতাজী : হ্যাঁ…
মোদীজী : …আমি আরও খুশী হই যখন আপনি গর্ব করে বলেন যে আপনার মা ‘গুজরাটি’ ছিলেন…
(লতাজী — হ্যাঁ, ঠিকই।)
মোদীজী : …আমি যখনই আপনার কাছে গেছি…
(লতাজী — হ্যাঁ)
মোদীজী : আপনি আমাকে কোনো না কোনো গুজরাটি খাবার খাইয়েছেন।
লতাজী : ঠিক – ঠিক। আপনি কি, আপনি নিজেও সেটা জানেন না। আমি জানি যে আপনি আসার পর ভারতের ছবি কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে আর সেখানেই আমি সবচেয়ে আনন্দিত বোধ করি, খুব ভালো লাগে।
মোদীজী : ব্যাস্ দিদি, আপনার আশীস মাথায় থাক। সমগ্র দেশের ওপর আপনার আশীর্বাদের হাত থাক। আমার মত লোকেরা সবসময়েই কোনো না কোনো ভালো কাজে নিয়োজিত থাকুক, এই প্রেরণা আপনি সবসময় দিয়েছেন। আপনার পত্র আমি নিয়মিত পাই, আপনার পাঠানো কিছু না কিছু উপহারও নিয়মিত আসে আমার কাছে, আর এই যে অন্তরঙ্গতা, যা আসলে এক পারিবারিক সম্পর্ক, তা আমাকে বিশেষ ভাবে আনন্দ দেয়।
লতাজী : ঠিক, ঠিক। না, আমি আপনাকে আর বেশি কষ্ট দিতে চাই না। কারণ আমি দেখতে পাচ্ছি এবং জানিও আপনি কতটা কর্মব্যস্ত এবং আপনার কী পরিমাণ কাজ থাকে। কত কী চিন্তা-ভাবনা করতে হয়। যখন আপনি আপনার মায়ের পদধূলি নিয়ে এসেছিলেন, তা দেখে আমিও একজনকে পাঠিয়েছিলাম ওঁর কাছে, তাঁর আশীর্বাদ নিতে।
মোদীজী : হ্যাঁ, আমার মার সে সব ঘটনা মনে ছিল এবং আমাকেও উনি বলেছিলেন।
(লতাজী — ঠিক)
(মোদীজী — হ্যাঁ)
লতাজী : আর টেলিফোনের মাধ্যমে উনি আমাকে যখন আশীর্বাদ জানিয়েছিলেন, আমার খুব ভালো লেগেছিল।
মোদীজী : আমার মাও খুব খুশী হয়েছিলেন আপনার এই ভালোবাসা প্রত্যক্ষ করে।
(লতাজী — ঠিক ঠিক)
মোদীজী : …আর আমি আপনার কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ এই কারণে, যে আপনি সবসময় আমার ভালোর জন্য চিন্তা করেন। আরও একবার আপনার জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।
(লতাজী — হ্যাঁ)
মোদীজী : এইবার মুম্বই গিয়ে মনে হচ্ছিল সামনাসামনি সাক্ষাৎ করে আসি…
লতাজী : হ্যাঁ, হ্যাঁ, নিশ্চয়ই।
মোদীজী : … কিন্তু এত বেশী ব্যস্ততা ছিল যে আমি সময় করে উঠতে পারিনি।
(লতাজী — হ্যাঁ)
মোদীজী : কিন্তু খুব তাড়াতাড়িই আমি আসব।
লতাজি: আচ্ছা
মোদি জি: ঘরে এসে আপনার নিজেরহাতেবানানো কিছু গুজরাটি খাবার খাব।
লতাজি: হ্যাঁ, হ্যাঁ, অতি অবশ্যই! সে তো আমার সৌভাগ্য হবে।
মোদি জি: প্রণাম দিদি। আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা!
লতাজি: আপনাকেও অনেক অনেক প্রণাম।
আমার প্রিয় দেশবাসী, নবরাত্রির সঙ্গে সঙ্গে আজ থেকে উৎসবের আবহ আরও একবার নতুন উৎসাহ উদ্দীপনা এবং সংকল্পে ভরে উঠবে। উৎসবের মরসুম বলে কথা!আগামী বেশ কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত দেশ জুড়ে এই উৎসব উদ্যাপনের খুশি ও ঔজ্জ্বল্য বজায় থাকবে। আমরা সবাই নবরাত্রি মহোৎসব, গরবা, দুর্গাপূজা,দশেরা, দীপাবলী, ভাইফোঁটা, ছট পূজা ইত্যাদি অসংখ্য উৎসব পালন করব। আপনাদের সবাইকে আগামী উৎসবের দিনগুলির জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা। উৎসবে পরিবারের সকলে একসঙ্গে কাটাবেন। ঘর খুশিতে ভরে উঠবে। কিন্তু আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন আমাদের চারপাশে এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা উৎসবের এই আনন্দ থেকে বঞ্চিত। আর একেই বলে “প্রদীপের তলায় অন্ধকার”। হয়ত এই প্রবাদ শুধু কথার কথা নয়, এটি আমাদের জন্য একটি নির্দেশ, একটি দর্শন, একটি প্রেরণা। ভাবুন তো, একদিকে কিছু ঘর আলোয় আলোকময় হয়ে থাকে; অন্যদিকে তারই সামনে, আশেপাশে কিছু মানুষের ঘরে অন্ধকার বিরাজ করে। কিছু ঘরে মিষ্টি নষ্ট হয়ে যায়, আবার কিছু ঘরে বাচ্চারা মিষ্টির জন্য আকুল হয়ে থাকে। কোথাও আলমারিতে পোষাক রাখার জায়গা থাকে না, কোথাও আবার লজ্জা নিবারণের জন্যই কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। কি? একে আপনি “প্রদীপের তলায় অন্ধকার” বলবেন না? এটাই তো “প্রদীপের তলায় অন্ধকার”! উৎসবে প্রকৃত আনন্দ তখনই আসবে যখন এই অন্ধকার দূর হয়ে আলো দেখা যাবে। আসুন, আমরা সেখানেও খুশি ছড়িয়ে দিই যেখানে অভাব আছে। আর এটা আমাদের স্বভাবও হোক। আমাদের ঘরে মিষ্টি, পোশাক, উপহারের যখন ‘ডেলিভারি–ইন’ হয়, তখন এক মুহূর্তের জন্য ‘ডেলিভারি আউট’-এর কথাও না হয় একটু ভাবি! অন্ততপক্ষে বাড়ির অতিরিক্ত বা অব্যবহৃত জিনিসকে ‘ডেলিভারি-আউট’ করা যেতেই পারে। অনেক শহরে বেশ কিছু এনজিও–র তরুণ বন্ধুদের স্টার্টআপগুলি এই কাজ করছে। তারা লোকেদের ঘর থেকে পোশাক, মিষ্টি, খাবার সবকিছু একত্রিত করেন, তারপর দুঃস্থ-অভাবীদের খুঁজে বার করে জিনিসগুলি নীরবে তাদের কাছে পৌঁছে দেন। এবার উৎসবের এই মরসুমে সম্পূর্ণ সচেতনতা এবং সংকল্পের সঙ্গে প্রদীপের তলার সেই অন্ধকার আমরা কি ঘুচাতে পারি?উৎসবের সময় দরিদ্র পরিবারগুলির মুখে ফোটা হাসি আপনার খুশিকে দ্বিগুণ করে দেবে। আপনার মুখ আরো ঝলমল করবে। আপনার প্রদীপ আরও দেদীপ্যমান হবে। আপনার দীপাবলি আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, দীপাবলিতে সৌভাগ্য আর সমৃদ্ধির রূপ ধরে প্রতিটি ঘরে লক্ষ্মীর আগমন হয়। চিরাচরিত প্রথায় লক্ষ্মীকে স্বাগত জানানো হয়। এবছর আমরা কি একটু নতুন ভাবেলক্ষ্মীর অভ্যর্থনাকরতে পারি? আমাদের সংস্কৃতিতে মেয়েদের লক্ষ্মী বলে গণ্য করা হয়, কারণ মেয়েরা সৌভাগ্য আর সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। এবছর আমরা নিজেদের সমাজে, গ্রামে, শহরে কি মেয়েদের সম্মান জানানোর সার্বজনীন কর্মসূচি রাখতে পারি? আমাদের মধ্যে এমন বহু মেয়ে আছে যারা নিজেদের পরিশ্রম, নিষ্ঠা এবং প্রতিভার সাহায্যে পরিবার, সমাজ এবং দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে। এই দীপাবলীতে ভারতের এইসব লক্ষ্মীদের সম্মান জানানোর কর্মসূচি কিআমরা রাখতে পারি? আমাদের চারপাশে অনেক কন্যা, অনেক বধূ এমন আছেন, যাঁরা অসাধারণ কাজ করছেন। কেউ গরীব বাচ্চাদের পড়ানোর কাজ করছেন, কেউ স্বচ্ছতা ও স্বাস্থ্য সম্বন্ধে সচেতনতা তৈরি করছেন, কেউ ডাক্তার–ইঞ্জিনিয়ার হয়ে সমাজের সেবা করছেন, আবারকেউ উকিল হয়ে কাউকে ন্যায়বিচারপাওয়ানোর চেষ্টা করছেন। আমাদের সমাজ এই মেয়েদের স্বীকৃতি ও সম্মান দিকএবং তাদের নিয়ে গর্ব করুক। এদের সম্মান জানানোর কর্মসূচি দেশজুড়ে হোক। আরও একটা কাজ করতে পারেন, এই মেয়েদের কৃতিত্বের বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে যত বেশি সম্ভব শেয়ার করুন আর ‘হ্যাশট্যাগbharatkilaxmi’ ব্যবহার করুন। যেমন আমরা সবাই মিলে ‘সেলফি উইথ ডটার’ নামে এক বিরাট অভিযান চালিয়েছিলাম, যা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছিল। অনুরূপভাবে এবার এই ‘Bharat Ki Laxmi’অভিযান আমাদের চালাতে হবে। ভারতের লক্ষ্মীরা অনুপ্রাণিত হওয়ার অর্থ দেশ ও দেশবাসীর সমৃদ্ধির পথ প্রশস্ত হওয়া।
আমার প্রিয় দেশবাসী, ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে আমি আগেও বলেছি, এর একটা মস্ত লাভ হল যে পরিচিত-অপরিচিত বহু মানুষের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কথা বলার সৌভাগ্য আমার হয়। কয়েকদিন আগে সুদূর অরুণাচল প্রদেশ থেকে এক বিদ্যার্থী অলীনা তায়ং আমাকে খুব আকর্ষণীয় একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। সেই চিঠিতে কি লেখা আছে তা আমি আপনাদের সামনে পেশ করছি—
শ্রদ্ধেয় প্রধানমন্ত্রীজী, আমার নাম অলীনা তায়ং। আমি রোইং, অরুণাচল প্রদেশেথাকি। এবার যখন আমার পরীক্ষার ফল বেরোলো তখন কেউ কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করল, তুমি ‘একজাম ওয়ারিয়রস’ বইটি পড়েছ? আমি বললাম,“না, এই বইটি তো আমি পড়িনি!” কিন্তু ফিরে গিয়ে আমি এই বইটি কিনি এবং দু-তিনবার পড়ে নিই। পড়ে আমার খুবই ভালো লাগে, আমার মনে হল বইটি পরীক্ষার আগে পড়লে আমার অনেক উপকার হত। এই বইটির অনেক বিষয় আমার খুব ভালো লেগেছে, তবে আমি এটাও লক্ষ্য করলাম যে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তো এই বইটিতে অনেক পরামর্শ আছে, কিন্তু অভিভাবক আর শিক্ষকদের জন্য এই বইটিতে তেমন কিছু নেই। আমি চাই যদি আপনি বইটির নতুন সংস্করণের বিষয়ে কিছু ভাবেন, তাহলে তাতে অভিভাবক ও শিক্ষকদের জন্য কিছু পরামর্শ ও কিছু বিষয় অবশ্যই রাখবেন।
তাহলে দেখুন, আমার তরুণ বন্ধুদেরও এই ভরসা আছে যে দেশের প্রধান সেবককে কোনও কাজের কথা বললে তা হবেই হবে। আমার ছোট্ট বিদ্যার্থী বন্ধু, প্রথমেই চিঠি লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। ‘একজাম ওয়ারিয়রস’ দু–তিনবার পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আর পড়ার সময় তাতে কি খামতি আছে, সেটাও আমাকে বলার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। তার সঙ্গে আমার এই ছোট্ট বন্ধু আমাকে একটা কাজও দিয়েছে। কিছু করার আদেশ দিয়েছে। আমি অবশ্যই আপনার আদেশ পালন করব। যদি আমি নতুন সংস্করণের জন্য সময় বার করতে পারি, তাহলে আপনার কথা মত অবশ্যই তাতে অভিভাবক এবং শিক্ষকদের জন্য কিছু কথা লেখার চেষ্টা করব। কিন্তু আমি আপনাদের সবার কাছে একটা আবেদন রাখবো। আপনারা কি আমাকে সাহায্য করতে পারেন? প্রতিদিনের জীবনে আপনাদের অভিজ্ঞতা কি? দেশের সব ছাত্র-ছাত্রীদের, শিক্ষকদের, অভিভাবকদের প্রতি আমার অনুরোধ —আপনারা ‘স্ট্রেস ফ্রি একজাম’ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আপনাদের অভিজ্ঞতা আমাকে জানান, আপনাদের পরামর্শ দিন। আমি অবশ্যই সেগুলি বিবেচনা করে দেখব। তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করব এবং সেগুলির মধ্যে যে কটি আমার উপযুক্ত মনে হবে তা আমি নিজের ভাষায়, নিজের পদ্ধতিতে অবশ্যই লেখার চেষ্টা করব। এও হতে পারে, যদি আপনাদের পরামর্শ যথেষ্ট সংখ্যায় আসে, তাহলে আমার নতুন সংস্করণের বিষয়টাও নিশ্চিত হয়ে যাবে।তাই আমি অপেক্ষা করব আপনাদের মতামতের জন্য। আমাদের ছোট্ট বিদ্যার্থী বন্ধু অরুণাচলেরঅলীনা তায়ং–কে আবারও ধন্যবাদ জানাই।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনারা খবরের কাগজের মাধ্যমে, টিভির মাধ্যমে দেশের প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ত কর্মসূচির বিষয়ে জানেন, ব্যস্ততা নিয়ে চর্চাও করেন। কিন্তু আপনারা তো জানেন যে আমিও আপনাদের মতই একজন সাধারণ মানুষ। আর সাধারণ মানুষ বলেই একটি সাধারণ জীবনে যে যে বিষয়ের প্রভাব থাকে তেমন প্রভাব আমার জীবনে, আমার মনেও হয়। কারণ আমিও তো আপনাদেরই একজন! দেখুন, এবছর ইউএস ওপেনে ট্রফি জেতা নিয়ে যতটা চর্চা হয়েছে ততটাই চর্চা হয়েছে রানার আপ দানিল মেদভেদেভ–এর বক্তৃতা নিয়েও। সোশ্যাল মিডিয়াতে সেটি যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে। আমিও সেই বক্তৃতাটি শুনেছি এবং ম্যাচও দেখেছি। ২৩বছর বয়সী দানিল মেদভেদেভ–এর সারল্য এবং পরিণত বোধ প্রত্যেককেই প্রভাবিত করার মত।আমি তো অবশ্যই প্রভাবিত হয়েছি। সেই বক্তৃতার অল্প কিছুক্ষণ আগেই তিনি ১৯ বার গ্র্যান্ডস্ল্যাম বিজয়ী এবং টেনিসের লেজেন্ড রাফায়েল নাদালের কাছে ফাইনালে পরাস্ত হয়েছিলেন। সেই পরিস্থিতিতে অন্য কেউ হলে দুঃখিত ও হতাশ হয়ে পড়তেন। কিন্তু ওঁর ক্ষেত্রে সেরকম কিছু তো হয়ইনি, উলটে ওঁর কথায় সকলের মুখে হাসি ফুটেছে। ওঁর সরল, বিনম্র ব্যবহার আক্ষরিক অর্থে স্পোর্টসম্যান স্পিরিট-এরনিদর্শন। উপস্থিত দর্শকও তাঁর বক্তব্যের সাদর সমাদর করেন।দানিলচ্যাম্পিয়ান নাদালের প্রভূত প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, নাদাল লক্ষ যুবকের কাছে অনুপ্রেরণা। উনি আরও বলেন যেনাদালের মোকাবিলা করা এক দুরূহ বিষয়। কড়া মোকাবিলার পর ফাইনালে হেরে গিয়েও নিজের প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রশংসা করে তিনি স্পোর্টসম্যান স্পিরিট–এর এক জাজ্বল্যমান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ান নাদালও দানিল-এর খেলার প্রশংসা করেন।একই ম্যাচে পরাজিত খেলোয়াড়ের মনোবল ও জয়ী খেলোয়াড়ের বিনম্র ব্যবহার দুটোই শিক্ষণীয়। যদি আপনারা দানিল মেদভেদেভ-এর speech না শুনে থাকেন, তবে আমি সকলকে, বিশেষ করে যুবকদের অনুরোধকরব সেই ভিডিওটি অবশ্যই দেখতে।এতে সব বয়সের, সব অবস্থার মানুষের জন্য অনেককিছু শেখার আছে।এমনকিছু মুহূর্ত থাকে যা হার–জিতের ঊর্ধ্বে। এইসব মুহূর্ত আমাদের শেখায় হার–জিতের আসলে কোনো মানে নেই। আসলে জেতে একমাত্র জীবন। এই বিষয়টাকে আমাদের শাস্ত্রে খুব সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করা আছে, যার থেকে আমরা এও বুঝতে পারি আমাদের পূর্ব পুরুষদের চিন্তাধারা কতখানি অগ্রসর ছিল। আমাদের শাস্ত্র বলে—
“বিদ্যা বিনয় উপেতা হরতি
ন চেতাংন্সি কস্য মনুজস্য
মনিকাঞ্চন সনযোগ
জনয়তি লোকস্যা লোচন আনন্দম”
অর্থাৎ যখন কোন ব্যাক্তির মধ্যে যোগ্যতা ও নম্রতা এই দুই গুণের সমন্বয় হয়, তখন সে দুনিয়ায় সকলের মন জয় করতে পারে। যেমন, এই যুব খেলোয়াড় সকলের মনে স্থান করে নিয়েছেন।
আমার প্রিয় দেশবাসী, বিশেষত আমার যুববন্ধুরা, এখন আমি যা বলতে চলেছি তা শুধুমাত্র আপনাদের ভালোর জন্য। তর্ক–বিতর্ক, বাক-বিতণ্ডা তো চলতেই থাকবে, কিন্তু কোন বিষয় মাত্রাছাড়া হওয়ার আগেই সেই সমস্যার সমাধান করা উচিত। নাহলে সমস্যা এক বৃহদাকার নিয়ে নেয় এবং তার সমাধান করা এক বিষম কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। গোড়াতেই যদি আমরা সচেতন হই, তবে অনেক কিছু বাঁচানো যেতে পারে। এই ভাবনা থেকেই আমার মনে হয়, আমার যুব বন্ধুদের একটি জরুরী বিষয়ে কিছু কথা অবশ্যই বলা উচিত। আমরা সবাই জানি, তামাকের নেশা স্বাস্থ্যের পক্ষে কতখানি ক্ষতিকর এবং একবার এই বদভ্যাস হয়ে গেলে তা ছাড়ানো কঠিন কাজ।
সবাই বলেন যাঁরা তামাক সেবন করেন, তাদের cancer, diabetes, blood pressureইত্যাদি রোগের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।তামাকেরনিকোটিন নেশা করায়।কৈশোর অবস্থায় এই তামাক সেবন শুরু করলে মস্তিস্কের বিকাশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।এই বিষয়গুলো আমরা সকলে মোটামুটি জানি, কিন্তু আজ আমি আপনাদের এক নতুন বিষয় সম্পর্কে অবগত করতে চাই। আপনারা জানেন, সম্প্রতি ভারতেe-cigarette-এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে।সাধারন cigarette থেকে আলাদা এইe-cigaretteএকটি ইলেকট্রনিক উপকরণ। e-cigarette–এ নিকোটিনযুক্ত তরল পদার্থকে গরম করে এক প্রকার কেমিক্যাল ধোঁয়া তৈরি হয়, যার মাধ্যমে নিকোটিন শরীরে প্রবেশ করে। সাধারণcigarette–এর বিপদ সম্পর্কে আমরা জানি, কিন্তু e-cigarette সম্পর্কে এক ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছে যে এটি ক্ষতিকর নয়। সাধারণ cigarette-এর মতো দুর্গন্ধ যাতে না হয়, তার জন্য এতে সুগন্ধী রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। আমরা সচরাচর দেখে থাকি কোন পরিবারে বাবা chain smokerহলেও তিনি চেষ্টা করেন যাতে পরিবারের আর কেউ ধূমপান না করে। আরও চানবাড়ির ছোটোদেরcigarette, বিড়ির থেকে দূরে রাখতে।cigarette সম্পর্কে কোন ধোঁয়াশা নেই, যাঁরা বিক্রি করছেন, যাঁরা কিনছেন বা দেখছেন— তাঁরা সকলে জানেন যে cigarette ক্ষতিকর। কিন্তু e-cigaretteর বিষয়টি একদম আলাদা। এই সম্পর্কে খুব কম সচেতনতা আছে মানুষের মধ্যে। সাধারণ মানুষ e-cigarette-এর ক্ষতিকারক দিকটি সম্পর্কে অবগত নন এবং এই কারণেসন্তর্পণেe-cigarette ঢুকে পড়েছে ঘরেঘরে। অনেকসময় তো পরিবারে মা–বাবার সামনেই বাচ্চারা যাদুর খেলা দেখাচ্ছি বলে, আগুন ছাড়া, দেশলাই ছাড়া ধোঁয়া বের করছি মুখ থেকে বলে e-cigarette নিয়ে খেলে এবং বড়োরা হাততালি দেন। ওঁরা জানেনই না কতবড় ক্ষতি হচ্ছে। একবার যদি কোন কিশোর বা যুবক এর ফাঁদে পড়ে যায়, কখন তারা নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে নিজেরাও জানতে পারেনা। আমাদের যুবশক্তি নিজেদের অজান্তে সর্বনাশের পথে চলে যায়।e-cigarette এ অনেক ক্ষতিকারক পদার্থ মেশানো হয় যা শরীরের ক্ষতি করে। আপনারা জানেন, যখন আমাদের আশেপাশে কেউ cigarette খেয়েছে কিনা সেটা আমরা গন্ধ দিয়ে বুঝতে পারি। এমনকি পকেটে সিগারেটের প্যাকেট থাকলেও গন্ধের মাধ্যমে তা বোঝা যায়। কিন্তু e-cigarette-এর ক্ষেত্রে এমনটা হয়না। যুবকরা জেনে হোক, অজান্তে হোক, কিংবা fashion statementহিসেবে হোক, নিজেদের ব্যাগে, বইয়ের মাঝখানে বা হাতে সগর্বে এটি নিয়ে ঘোরে।তারা এইভাবেই এই নেশার কবলে পড়ে যায়। যুবশক্তি আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ।e-cigaretteর উপর প্রতিবন্ধকতা এই জন্য লাগান হয়েছে যাতে নেশার এই নতুন উপকরণ আমাদের দেশকে বরবাদ না করে, পরিবারের স্বপ্ন ধ্বংস না করে, বাচ্চাদের জীবন নষ্ট না করে। কোন ভাবেই যাতে এই নেশার অসুখ সমাজে শিকড় না গাড়তে পারে।
আমি আপনাদের সকলকে অনুরোধ জানাই, তামাকের বদভ্যাস ত্যাগ করুন এবং
e-cigarette সম্পর্কে কোন ভ্রান্ত ধারনা পোষণ করা বন্ধ করুন। আসুন, আমরা সকলে মিলে এক সুস্থ ভারত গড়ে তুলি।
আপনাদের ‘ফিট ইন্ডিয়া’র কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। ‘ফিট ইন্ডিয়া’ মানে কিন্তু শুধুমাত্র রোজ সকাল-বিকাল দুঘণ্টা জিমে যাওয়া নয়। এই সমস্ত ভ্রান্ত ধারণা থেকে বাঁচার নামও কিন্তু ‘ফিট ইন্ডিয়া’।আমার বিশ্বাস, আমার কথা আপনাদের খারাপ লাগবেনা, বরং ভালই লাগবে।
আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আমাদের কাছে এটা খুব সৌভাগ্যের বিষয় যে ভারতবর্ষ এমন সব মহান ব্যক্তিত্বদের জন্মভুমি ও কর্মভূমি যাঁরা নিজেদের জন্য নয়, অন্যের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমাদের ভারত, আমাদের এই ভুমি বহুরত্না বসুন্ধরা। অনেক মানবরত্ন এই দেশ উপহার দিয়েছে। ভারতবর্ষ এমন বহু অসাধারণ মানুষের জন্মস্থানও কর্মস্থান যাঁরা নিজেদের কথা ভুলে অন্যের জন্য নিজের জীবন নিয়োজিত করেছেন। এমনই একজন মানবাত্মাকে ভ্যাটিকান সিটিতে ১৩ অক্টোবর সম্মানিত করা হতে চলেছে যা আমাদের সারা দেশের কাছে গর্বের বিষয়। ওইদিন পোপ ফ্রান্সিস, মরিয়াম থ্রেসিয়াকে সেন্ট ঘোষণা করতে চলেছেন।সিস্টার মরিয়াম থ্রেসিয়া পঞ্চাশ বছরের স্বল্প আয়ুষ্কালেই মানবকল্যাণে যে অপরিসীম অবদান রেখেছেন,সারা বিশ্বে তা দৃষ্টান্তস্বরূপ। সমাজসেবা ও শিক্ষাক্ষেত্রে ওঁর অনেক অবদান। তিনি অনেক বিদ্যালয়, অনাথালয়, হোস্টেল নির্মাণ করেন। সারা জীবন তিনি এই কাজে নিবেদিত ছিলেন।সিস্টার থ্রেসিয়া যে সমস্ত কাজ করেছেন তা নিষ্ঠা ও সমর্পণের সঙ্গে সম্পন্ন করেন। তিনিCongregation of the Sisters of the Holy Familyপ্রতিষ্ঠা করেন যা আজও তাঁর জীবনদর্শন ও লক্ষ্যকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। আমি আরও একবার সিস্টার মারিয়াম থ্রেসিয়া–কে আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই, এবং ভারতবাসীদের বিশেষত আমার খ্রিস্টান ভাই–বোনেদের এই সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানাই।
আমার প্রিয় দেশবাসী, শুধু ভারত নয়, সমগ্র বিশ্বের কাছে এটা গর্বের বিষয় যে আজ যখন আমরা ‘গান্ধী ১৫০’ পালন করতে চলেছি, এবং সেই একই সময়ে দাঁড়িয়ে ১৩০ কোটি দেশবাসী Single Use Plastic-এর ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার সঙ্কল্প নিয়েছেন। পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়ে যেভাবে বিশ্বের মধ্যে ভারত অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে তাতে সমগ্র বিশ্বের নজর এখন ভারতের ওপর।আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে আগামী ২ অক্টোবর Single Use Plastic–বিরোধী যে অভিযান তাতে আপনারা সবাই সামিল হবেন।বিভিন্ন জায়গায় মানুষ নিজের মতো করে এই অভিযানে তাদের অবদান রাখছেন।তবে আমাদের দেশেরই এক যুবক এক অনন্য অভিযান শুরু করেছেন।ওঁর এই কাজ আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং আমি ওঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলে তাঁর এই নতুন পরিকল্পনা সম্বন্ধে জানার এবং বোঝার চেষ্টা করি। হয়তো তার এই কথাগুলো দেশের অন্যান্য লোকেদেরও কাজে আসবে।শ্রী রিপুদমন বেলভি একটি অনন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।তিনিplogging করেন।আমি যখন প্রথমবার plogging শব্দটি শুনেছিলাম তখন তা আমার কাছেও নতুন ছিল।বিদেশে সম্ভবত এই শব্দটি অল্পবিস্তর ব্যবহৃত হয়।তবে ভারতে রিপুদমন বেলভি এটির বহুল প্রচার করেছেন।আসুন তার সঙ্গে কিছু কথা বলি।
মোদীজি: হ্যালো রিপুদামনজী, আমি নরেন্দ্র মোদী বলছি।
রিপুদমন : হ্যাঁ স্যার আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ স্যার।
মোদীজি: রিপুদমন বাবু।
রিপুদমন : হ্যাঁ স্যার।
মোদীজি: আপনি যে এত উৎসাহের সঙ্গে প্লগিঙ নিয়ে সমর্পিত ভাবে কাজ করেচলেছেন.
রিপুদমন : হ্যাঁ স্যার।
মোদীজি: তা নিয়ে আমার মনে বেশ কিছু জিজ্ঞাসা ছিল তাই ভাবলাম নিজেই ফোন করে আপনার কাছ থেকে জেনে নি।
রিপুদমন : OK।
মোদীজি: এই ভাবনাটা আপনার মাথায় কি করে এলো?
রিপুদমন : হ্যাঁ স্যার।
মোদীজি: এই শব্দ, এই পদ্ধতি, কিভাবে মাথায় এলো?
রিপুদমন : স্যার আজকের যুব সমাজ কিছু কুল, কিছু মজার জিনিস চায়, তাই তাদের অনুপ্রাণিত করতেই আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি। যদি আমার এই অভিযানে 130 কোটি ভারতীয়র যোগদান চাই, তাহলে আমাকে কিছু কুল, কিছু আকর্ষণীয় জিনিস করতেই হবে।আমি নিজে একজন দৌড়বীর আর সকালে যখন আমরা দৌড়াই তখন ট্রাফিক কম থাকে,আর লোকজন কম থাকলে ময়লা আবর্জনা এবং প্লাস্টিক সর্বাধিক দেখা যায়. তাই দোষারোপ এবং অভিযোগ করার পরিবর্তে আমি ভাবলাম এই বিষয়ে কিছু করা উচিত. তাই দিল্লিতে একটি দৌড়ের দল তৈরি করে সেটিকে পরে ভারতজুড়ে নিয়ে যাই, সর্বত্র এর জন্য প্রচুর প্রশংসা পেয়েছি।
মোদীজি: আপনি ঠিক কি করেন? কিছুটা বোঝান যাতে আমিও বুঝি এবং মন কি বাত এর মাধ্যমে দেশবাসীও জানতে পারেন।
রিপুদমন :স্যার আমরা শুরু করলাম রান এন্ড ক্লিনআপ মুভমেন্ট. যেখানে আমরা দৌড়ের দলগুলোকে তাদের ওয়ার্কআউট এরপরে কুলডাউন এক্টিভিটি সময় বললাম যে আপনারা আবর্জনা তোলা শুরু করুন প্লাস্টিক তোলা শুরু করুন,তাহলেএকদিকে যেমন দৌড় চলছে অন্যদিকে সাফাই–এর কাজ চলছে আর হঠাৎ করেই অনেকগুলো ব্যায়াম একসঙ্গে যোগ হয়ে যাচ্ছে। এভাবেআপনারাশুধুমাত্র দৌড়াচ্ছেন না আপনারা squatকরছেন, deep squat করছেন, lunges করছেন, ফরওয়ার্ড bent করছেন.তোএভাবেই এটি একটি সামগ্রিক ওয়ার্ক আউট হয়ে গেল.এবংআপনি জেনে খুশি হবেন যে গত বছর বেশ কিছু ফিটনেস ম্যাগাজিন এটিকে টপ fitness trend হিসেবে মনোনীত করেছে.মোদি–এর জন্য আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন।
রিপুদমন :ধন্যবাদ স্যার।
মোদীজি: তো এখন আপনি 5 সেপ্টেম্বর থেকে কোচি থেকে শুরু করছেন।
রিপুদমন: হ্যাঁ স্যার,এইমিশনের নাম রেখেছি রান টু মেক ইন্ডিয়া লিটার ফ্রি.২রা অক্টোবরআপনিযেভাবে একটি ঐতিহাসিক রায় দেবেন আমি নিশ্চিত আবর্জনা মুক্ত হবে এই দেশ, এবং ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতাও আসবে।আমি 50 টিশহর জুড়ে হাজার কিলোমিটার ছুটে চলেছি এবং পরিষ্কার করছি। প্রত্যেকেই বলেছিল যে এটি সম্ভবত বিশ্বের দীর্ঘতম ক্লিন–আপ ড্রাইভ, এবং আমরা একটি দুর্দান্ত social মিডিয়া # (হ্যাশট্যাগ)ব্যবহারকরেছি #প্লাস্টিক উপবাস যেখানে আমরা মানুষকে বলছি যে আপনারা আমাদের জানান,কোনএকটা জিনিস, একক ব্যবহারের কিছু, কেবল একক ব্যবহারের প্লাস্টিক নয় একক ব্যবহারের কোন একটা কিছু,যাআপনি আপনার জীবন থেকে চিরতরে বাদ দিয়ে দেবেন।
মোদীজি: বাহ…5 সেপ্টেম্বর থেকে এখনওপর্যন্ত আপনার কীরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে?
রিপুদমন: স্যার, এখনপর্যন্তখুবভালঅভিজ্ঞতাহয়েছে।গতদুইবছরে, আমরা প্রায় 300 টি ব্লগিং ড্রাইভ করেছি গোটা ভারত জুড়ে।যখনআমরা কোচি থেকে শুরু করি,তখনদৌড়ের দলগুলো যোগ দিয়েছিলো আমাদের সঙ্গে এবংসেখানকারস্থানীয় ক্লিন উপ ড্রাইভগুলোর সঙ্গেও নিজেকে যুক্ত করেছি।কোচিরপরে আমরা মাদুরাই, কইম্বাতোর, সালেম, উডুপীতেও পরিচ্ছন্নতা অভিযান করেছি।সেখানকারএকটিস্কুলথেকেযখনআমন্ত্রণএসেছিল, তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির ছোট বাচ্চাদের আধ ঘন্টার একটি কর্মশালা করানোর জন্য, স্যার, তখন সেই আধ ঘন্টার কর্মশালা তিন ঘন্টার প্লগিঙ ড্রাইভ এপরিণত হয়েছিল।স্যার, কারণশিশুরা এটি করতে চেয়েছিল, তারা এত উত্সাহী ছিল যে এটিকে বাড়ি গিয়ে নিজেদের মা বাবাকে বিস্তারিত জানাতে, প্রতিবেশীদের জানাতে, তাদের সমবয়সীদের জানাতে যে এটাই সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা আমাদের পরবর্তী স্তরে উত্তরণের ক্ষেত্রে |
মোদীজি : রিপুজি, এটা পরিশ্রমের বিষয় নয়, একরকম সাধনা। সত্যিই আপনি সাধনা করছেন!
রিপু দমন: হ্যাঁস্যার।
মোদীজি :আমার তরফ থেকে আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইলো। কিন্তু ধরুন, আপনি দেশবাসীর উদ্দেশে তিনটি কথা বলতে চান, তাহলে এরকম কোন তিনটি নির্দিষ্ট বার্তা আপনি পৌঁছে দিতে চান?
রিপু দমন:আমি আসলে তিনটি পর্যায় বা ধাপের কথা বলব — আবর্জনা মুক্ত ভারত গঠনের উদ্দেশ্যে। প্রথম ধাপ, বর্জ্য পদার্থ, আবর্জনা ফেলার পাত্রে ফেলুন। দ্বিতীয় ধাপ, মাটিতে যদি কোন ময়লা পড়ে থাকে সেটা তুলে নিয়ে গিয়ে আবর্জনা ফেলার পাত্রে ফেলুন। তৃতীয় ধাপ হল যদি আবর্জনা ফেলার পাত্র না দেখতে পান তাহলে সেই ময়লা নিজের পকেটে রাখুন বা নিজের গাড়ি করে বাড়ি নিয়ে যান। তারপর তাদের ‘শুষ্ক বর্জ্য পদার্থ’ ও ‘আর্দ্র বর্জ্য পদার্থ’ এই ভাগে ভাগ করুন। পরদিন সকালেপুরসভার ময়লা ফেলার গাড়িতে ওই বর্জ্য পদার্থ ফেলে দিন। আমরা যদি এই তিনটি পর্যায় অনুসরণ করি, তাহলেই আবর্জনা মুক্ত ভারতকেপাব।
মোদীজি : দেখুন রিপুজি, খুব সরল ভাষায় আর কিছু সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি একপ্রকারে গান্ধীজীর স্বপ্নকে সঙ্গে নিয়ে চলেছেন। এর সঙ্গে গান্ধীজীর সরল ভাষায় কথা বলার ধরনটাও আপনি রপ্ত করে ফেলেছেন।
রিপু দমন: ধন্যবাদ
মোদীজি : এর জন্য আপনার অভিনন্দন পাওয়া উচিত রিপু দমন জি। আপনার সঙ্গে কথা বলে খুব ভালো লাগল। আপনি আপনার উদ্ভাবনী শক্তির সাহায্যে বিশেষ করে যুবসমাজের পছন্দ হবে এমন পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে এই সমগ্র কার্য সম্পন্ন করেছেন। আমি আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বন্ধুরা, এইবার পূজনীয় বাপুর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ক্রীড়ামন্ত্রক ‘Fit India Plogging Run’-এর আয়োজন করেছে। ২ অক্টোবর দুই কিলোমিটার ‘plogging’। সারাদেশে এটা আয়োজিত হতে চলেছে। এই ক্রিয়া-কলাপ কেমন করে করা উচিত, এতে কি হয় — এটা রিপু দমনজীর অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জেনেছি। ২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে আমাদের সকলকে দু’কিলোমিটার জগিংও করতে হবে আর রাস্তায় পড়ে থাকা প্লাস্টিক–যুক্ত আবর্জনাও জমা করতে হবে। এতে আমরা শুধু নিজেদের স্বাস্থ্যেরই খেয়াল রাখব না, পৃথিবী মায়েরও স্বাস্থ্য রক্ষা করতে পারব। এই অভিযানের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ফিটনেসের সঙ্গে সঙ্গেপরিছন্নতা বিষয়েও সচেতনতা বাড়ছে। আমি বিশ্বাস করি, ১৩০কোটি দেশবাসী এই লক্ষ্যে একধাপ এগোলে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকমুক্ত ভারত গঠনের উদ্দেশ্যে আমাদের দেশ ১৩০কোটি পদক্ষেপ এগিয়ে যাবে। রিপু দমনজী, আপনাকে আরও একবার অনেক ধন্যবাদ! আপনাকে, আপনার টিমকে, আর এই নতুন উদ্ভাবনী শক্তিকে আমার তরফ থেকে অনেক অভিনন্দন! থ্যাঙ্ক ইউ!
আমার প্রিয় দেশবাসী,২ অক্টোবরের প্রস্তুতি তো সারাদেশে এবং সমগ্র পৃথিবীতে চলছে, কিন্তু আমরা ‘গান্ধী ১৫০’-কেকর্তব্যপথের দিকে নিয়ে যেতে চাই। নিজের জীবনকে দেশের কল্যাণে নিয়োজিত করতে চাই। একটা বিষয় অগ্রিম মনে করাতে চাই, যদিও আমি পরের ‘মন কি বাত’-এ এটা বিস্তারিত আলোচনা করব। কিন্তু আমি আগাম এ বিষয়ে কথা বলতে চাই, যাতে আপনারা প্রস্তুত হওয়ার সময় পান। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে ৩১ অক্টোবর সরদার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মজয়ন্তী।‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ এটা আমাদের সকলের স্বপ্ন, আর সেই জন্যেই প্রত্যেক বছর ৩১ অক্টোবর আমরা সমগ্র দেশে ‘রান ফর ইউনিটি’ অর্থাৎ দেশেরএকতার জন্য দৌড়ের আয়োজন করি। আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সকলেই, স্কুল–কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও ভারতের লক্ষ লক্ষ গ্রামে ঐদিন দেশের একতার জন্য দৌড়ান। তাই আপনারা এখন থেকেই তৈরি থাকুন, বিস্তারিত আলোচনা অবশ্যই পরে হবে, কিন্তু এখনও সময় আছে, কেউ চাইলে অনুশীলন শুরু করতে পারেন, আবার কেউ কোনও পরিকল্পনাও করতে পারেন।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনাদের হয়তো মনে থাকবে ১৫ আগস্ট আমি লালকেল্লা থেকে বলেছিলাম যে, ২০২২-এর মধ্যে আপনারা ভারতের পনেরোটি জায়গায় যান। কমপক্ষে ১৫-টি জায়গায় যান এবং ওখানে গিয়ে একরাত বাদুরাত থাকার চেষ্টা করুন। আপনারা ভারতকে দেখুন, বুঝুন, অনুভব করুন। আমাদের কতবিবিধতা আছে। দীপাবলী উপলক্ষে তো ছুটি থাকেই, তখন তো সকলেই বেড়াতে যায়। তাই আমি অনুরোধ করছি আপনারা ভারতেরই পনেরোটি জায়গায় বেড়াতে যান।
আমার প্রিয় দেশবাসী, গত পরশু অর্থাৎ ২৭সেপ্টেম্বর ‘ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম ডে’ পালন করা হল। পৃথিবীর কিছু দায়িত্বশীল এজেন্সি পর্যটনের নিরিখেবিভিন্ন দেশের ক্রম নির্ণয় করে। আপনারা জেনে খুশি হবেন, ভারত ‘ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম কম্পিটিটিভ ইনডেক্স’-এ অনেকটা উন্নতি করেছে, আর এটা আপনাদের সকলের সহযোগিতার ফলেই সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে বেড়াতে যাওয়ার গুরুত্ব বোঝার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। স্বচ্ছতা অভিযানেরও এই বিষয়ে অনেকখানি গুরুত্ব আছে।এই উন্নতি কতখানি আপনারা জানেন? আপনারা জেনে খুশি হবেন, এই সূচকে আমাদের ক্রম এখন ৩৪তম। পাঁচ বছর আগে আমাদের ক্রম ছিল ৬৫-তম। অর্থাৎ, আমরা এই সময়েই অনেকটা এগিয়ে গেছি। আমরা যদি আরও চেষ্টা করি তাহলে স্বাধীনতার ৭৫বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই পর্যটনক্ষেত্রে সমগ্র বিশ্বে অন্যতম স্থান অর্জন করতে পারব।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনাদের সকলের জন্য আবার এই বৈচিত্র্যপূর্ণ ভারতের নানা উৎসব উপলক্ষে অনেক শুভেচ্ছা রইল।এটাও অবশ্যই দেখবেন দীপাবলীর দিনগুলোতেআতসবাজীর জন্য যেন কোথাও আগুন লাগার ঘটনা না ঘটে বা কোন মানুষের ক্ষতি না হয়। এবিষয়ে যতরকম সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়, আপনারা অবশ্যই ততটাই সাবধান থাকবেন। খুশিও থাকা উচিত, আনন্দও থাকা উচিত, উৎসাহও থাকা উচিত, আমাদের উৎসব সকলের জন্য মঙ্গলবার্তা নিয়ে আসে, সামাজিক একতার সংস্কৃতিকে উন্নত করে।সামাজিক জীবনের ঐক্যই আমাদের নতুন শক্তি প্রদান করে। আর এই শক্তির সাধনা করাই উৎসব। আসুন, সকলে মিলে আশা, উৎসাহ, নতুন স্বপ্ন, নতুন সংকল্পের সঙ্গে উৎসব পালন করি।
আরও একবার অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ধন্যবাদ!
आपको जन्मदिन की बहुत-बहुत शुभकामनाएं, अग्रिम बधाई दे दूं | आपका स्वास्थ्य अच्छा रहे,आपका आशीर्वाद हम सभी पर बना रहे, बस यही प्रार्थना और आपको प्रणाम करने के लिए मैंने, अमेरिका जाने से पहले ही आपको फ़ोन कर दिया : PM @narendramodi to @mangeshkarlata Ji
— PMO India (@PMOIndia) September 29, 2019
मैं जानती हूँ कि आपके आने से भारत का चित्र बदल रहा है और वो, वही मुझे बहुत खुशी होती है | बहुत अच्छा लगता है: @mangeshkarlata Ji to PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) September 29, 2019
मेरे प्यारे देशवासियो, नवरात्रि के साथ ही, आज से, त्योहारों का माहौल फिर एक बार, नयी उमंग, नयी ऊर्जा, नया उत्साह, नए संकल्प से भर जाएगा: PM @narendramodi #MannKiBaat
— PMO India (@PMOIndia) September 29, 2019
PM @narendramodi conveys greetings for the festive season. #MannKiBaat pic.twitter.com/3n3p79S08s
— PMO India (@PMOIndia) September 29, 2019
Let us spread joy in this festive season. #MannKiBaat pic.twitter.com/go2y86vr3n
— PMO India (@PMOIndia) September 29, 2019
This festive season, have you thought about delivery in and delivery out?
— PMO India (@PMOIndia) September 29, 2019
PM @narendramodi talks about this idea during #MannKiBaat as a means to spread joy. pic.twitter.com/ZK5zkjXJqX
Let us make this festive season about sharing happiness. #MannKiBaat pic.twitter.com/IyZqXTc1RX
— PMO India (@PMOIndia) September 29, 2019
This Diwali, let us celebrate #BharatKiLakshmi.
— PMO India (@PMOIndia) September 29, 2019
Let us celebrate the skills and strengths of our Nari Shakti. pic.twitter.com/A8lVKLSscf
A young student from Arunachal Pradesh has a request for PM @narendramodi - can you please write more content relating to parents and teachers for the second edition of @examwarriors ? pic.twitter.com/pwPi7tE4I0
— PMO India (@PMOIndia) September 29, 2019
During #MannKiBaat, PM @narendramodi talks about a speech at the @usopen that left him very impressed.
— PMO India (@PMOIndia) September 29, 2019
PM added that this speech and the game personified the spirit of sportsmanship.
Know more... pic.twitter.com/qEWvKS1eD9
Winning hearts through sportsmanship. #MannKiBaat pic.twitter.com/FhohaId7d9
— PMO India (@PMOIndia) September 29, 2019
The speech of young @DaniilMedwed that PM @narendramodi referred to during #MannKiBaat. https://t.co/KlIHHMA9st
— PMO India (@PMOIndia) September 29, 2019
During #MannKiBaat today, PM @narendramodi talks about why e-cigarettes are harmful. pic.twitter.com/mUcj390zPg
— PMO India (@PMOIndia) September 29, 2019
Making a case for a fit and healthy India. #MannKiBaat pic.twitter.com/osv6iD78x1
— PMO India (@PMOIndia) September 29, 2019
A tribute to Blessed Mariam Thresia during #MannKiBaat. pic.twitter.com/HDHmwfogkc
— PMO India (@PMOIndia) September 29, 2019
Another special guest speaks to PM @narendramodi during #MannKiBaat. It is young Ripudaman who is making Plogging popular across India. https://t.co/HpYjIHf7Nx
— PMO India (@PMOIndia) September 29, 2019
Let us free India from the menace of single use plastic. #MannKiBaat pic.twitter.com/cABuLh0mAB
— PMO India (@PMOIndia) September 29, 2019
Do you remember 31st October...
— PMO India (@PMOIndia) September 29, 2019
Do plan where you will run for unity. #MannKiBaat pic.twitter.com/A7kOUOL7sB
Another request from PM @narendramodi- do travel across India in this festive season. #MannKiBaat pic.twitter.com/eD1s9bRBj5
— PMO India (@PMOIndia) September 29, 2019